http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, September 17, 2011

আগামি ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১১, সকাল ১০টা থেকে ১১টা, “বিশ্ব কার মুক্ত দিবস” এর চেতনায় বাংলাদেশে সরকারি ভাবে কার মুক্ত দিবস পালনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশ। স্













আগামি ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১১, সকাল ১০টা থেকে ১১টা, “বিশ্ব কার মুক্ত দিবস” এর চেতনায় বাংলাদেশে সরকারি ভাবে কার মুক্ত দিবস পালনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশ। স্হান :- জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে
রাজধানীর অসহনিয় যানজট এড়াতে “বিশ্ব কার মুক্ত দিবস”র চেতনায় ২২ সেপ্টেম্বর “ঢাকায় কার মুক্ত দিবস” পালন এবং উন্নত গনপরিবহন ব্যাবস্হা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ‘‘সিটিজেনস্ রাইটস মুভমেন্ট/Citizens Rights Movement” এর উদ্যোগে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রিয় রাজধানীবাসি,
একটি দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা তথা ভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ঘনবসতি পুর্ণ্ একটি দেশ এবং একই বিচারে বাংলাদেশ পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম (শুধুমাত্র জনসংখ্যার আধিক্য, স্বল্পভূমির রাষ্ট্রিয় সীমানা ও ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে)। দেশে অত্যধিক জনসংখ্যার কারনে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সরকার সহ রাষ্ট্রিয় সকল প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিমসীম খাচ্ছে। একই কারনে সরকার কতৃক জনকল্যানে গৃহীত অনেক প্রকল্পই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। আজকের সংবাদ সন্মেলনের মুল দাবি “বিশ্ব কার মুক্ত দিবস” ২০১১ এর আলোকে রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজট এড়াতে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে উন্নত গনপরিবহন ব্যাবস্হার প্রতিষ্ঠা চাই।
বিশ্বে প্রথম কার মুক্ত দিবস পালিত হয় ২২শে সেপ্টেম্বর ১৯৭০। দিবসটি পালনের মুল উদ্দেশ্য ছিল প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জ্বালানি সমস্যা মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক সাশ্রয় এবং পরিবেশ সুরক্ষা। একই লক্ষ্য সামনে রেখে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও বড় শহর গুলোয় ১৯৯০ সালে “বিশ্ব কার মুক্ত দিবস” পালন করা হয়। এর পর ১৯৯৯ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রথম “বিশ্ব কার মুক্ত দিবস” পালন করে। বিশ্বব্যাপি কারমুক্ত দিবস পালনের চেতনায় বিশ্বের অনেক দেশে, ২০০০ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। এরই আলোকে এখন বিশ্বের অনেক দেশের নগর ও মহানগরে ”প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রনে” নেওয়া হচ্ছে বিশেষ পদক্ষেপ। বাংলাদেশে আমরা গত ৭ বছর যাবৎ “বিশ্ব কারমুক্ত দিবস”র চেতনায় এই দিবস পালন করে আসছি।
রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে প্রাইভেট কারের ব্যাবহার অত্যধিক হারে বেড়ে গেছে ও যাচ্ছে। গনমানুষের যাতায়াত সুবিধা, পরিবেশ সুরক্ষা সাশ্রয়ী ও ভ্রমন বান্ধব উন্নত “পাবলিক বাস সার্ভিস” চালু হলেপ্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব। কারন একটি বাসে যে পরিমান যাত্রি বহন করতে পারে, একই পরিমান যাত্রি পরিবহনে ৩০টি প্রাইভেট কার প্রয়োজন।
এছাড়া প্রাইভেট কার বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দুষন, জ্বালানি ব্যায়, দুর্ঘটনা, পরিবহন খরচ এবং শহরের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য জায়গা কমে আসে।গনপরিবহন উন্নয়নের পাশাপাশি বিদেশ নির্ভর জ্বালানি সংকট এড়াতে ও আমাদের দুর্বল অর্থনীতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি। অত্যন্ত যৌক্তিক কারনেই বাংলাদেশে ”বিশ্ব কার মুক্ত দিবস” এর চেতনা প্রতিষ্ঠা জরুরী।
১) উন্নত গণপরিবহন ব্যাবস্হা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সড়ক, রেল ও নৌ-পথ উন্নয়নের মাধ্যমে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যাবস্হা প্রতিষ্ঠাকরণ।
২) রাজধানীর অসহনীয় যানজট এড়তে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাবলিক বাস, যাত্রি ছাউনি, বাসের পৃথক লেন, নগর বাসের কর কমানো ও প্রয়োজনিয় ভতূকি প্রদান এবং হাঁটা, সাইকেল ও রিক্সার সঙ্গে ঢাকার সর্বত্র বাসে চলাচলে সুবিধার লক্ষ্যে সমন্বিত ও পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যাবস্হা প্রতিষ্ঠাকরণ।
৩) প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রনের আমদানি কর বৃদ্ধি, একদিন জোড় সংখ্যা ও অন্যদিন বেজোড় সংখ্যার নম্বরযুক্ত প্রাইভেট কার চলাচলের এবং সরকারি অফিস আদালতে শীর্ষ চাকুরে কর্তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০/১২ সিটের মাইক্রো/কোস্টার বাস সার্ভিস ব্যাবস্হা প্রবর্তন চাই।
৪) রাজধানীর ব্যাস্ততম এলাকায় প্রাইভেট কার চলাচলের ক্ষেত্রে কনজেশন চার্জ গ্রহন, সকল স্হানে পার্কিং এর জন্য জায়গা ও সময়ের মুল্য অনুযায়ী পার্কিং ফি বৃদ্ধি, শুধুমাত্র মেয়াদোত্তীর্ন প্রাইভেট কারের বিপরীতে নতুন প্রাইভেট কারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের ব্যাবস্হা করতে হবে।
৫) প্রাইভেট কার ও জীপ গাড়িতে সিএনজি গ্যাস ব্যাবহারের সুবিধা বাতিল করতে হবে।

ধন্যবাদান্তে,
এস সাজু

No comments: