http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Thursday, October 13, 2011

সংঘাতময় রাজনীতিতে সংসদ অকার্যকর

সিপিডির সংলাপে রাজনীতিক ও বিশিষ্টজনদের অভিমত

রাজনীতিক, সংসদ সদস্য ও বিশিষ্টজনরা বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সংঘাতময় হয়ে উঠেছে। জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাহী বিভাগসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আজ প্রশ্নবিব্ধ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইস্যুতে প্রধান দুটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিপরীতমুখী অবস্থান নেয়ায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সংকটের মুখে পড়েছে। জাতীয় সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নির্বাচনে যে দলই পরাজিত হয় তারা সংসদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সংসদ বয়কটের সংস্কৃতি এর অন্যতম কারণ। সংসদ বয়কটকে এক ধরনের ‘দুর্নীতি’ আখ্যায়িত করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই অপসংস্কৃতি বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুসহ রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে এবং আগামীতে আর কোনো অসাংবিধানিক সরকার যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘দ্য পার্লামেন্ট অব বাংলাদেশ : রিপ্রেজেন্টেশন এ্যান্ড একাউন্টেবিলিটি’ শীর্ষক সংলাপে তারা এই আহ্বান জানান। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর রেহমান সোবহান।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্ন করার জন্য বিরোধী দলের সদস্যদের সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা প্রাণবন্ত বিতর্ক চাই, তবে সেটি হতে হবে গালাগালমুক্ত। স্পিকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর দেয়া হয়; কিন্তু অনেক সময় যে ইস্যুতে কথা বলা হয় তা যথাযথ পয়েন্ট অব অর্ডার হয় না। দেখা যায়, বাইরে কোনো একটা ইস্যু তৈরি করে তা সংসদে এসে পয়েন্ট অব অর্ডারে তোলা হয়।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, স্বীকার করছি— দেশ ও জাতি আজ সংকটে। শুধু সরকার বা বিরোধী দল নয়, আমরা সবাই মিলেই এটি করেছি। সংসদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাহী বিভাগসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিকরাই ধ্বংস করেছি। অসাংবিধানিক সরকার মানে সামরিক শাসন, এটিকে ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার দরকার নেই।

তিনি বলেন, এতকিছুর পরেও আমি হতাশ নই। এখন যা হচ্ছে এসব ক্ষণস্থায়ী। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবাই এগিয়ে এলে এই পরিস্থিতি থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারবো। ’৭২-এর সংবিধানে আমাদের ফিরে যেতেই হবে। সাংবিধানিক সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমরা যেভাবেই হোক সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতিতে দাঁড়িয়ে গেছি। সংসদ বয়কটও এক ধরনের দুর্নীতি। অসুস্থ রাজনীতির মাধ্যমে সুস্থ রাজনীতি আসতে পারে না। সুস্থ রাজনীতির জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া লাগবে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকেই সেটি আসতে হবে। আমাদের সবার ধৈর্যের দরকার। আমাদের সংসদ আজ অকার্যকর। বিরোধী দল না থাকলে সংসদ কাজ করে কিভাবে? এটা যে এখন শুধু বিএনপি করছে তা নয়, আমরাও (আওয়ামী লীগ) একই কাজ করেছি। সংসদ যেন এখন চাকাবিহীন একটি বাইসাইকেল। তিনি বলেন, বিরোধী দল রাজপথে অবশ্যই যাবে; কিন্তু একই সঙ্গে সংসদকেও ব্যবহার করতে হবে। যেমনটি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাবস্থায় করেছিল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ কমিটি সাবেক তিনজন প্রধান বিচারপতিসহ সকল বিশেষজ্ঞকে ডেকেছিল। তারা সবাই বলেছেন— তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন; কিন্তু বিশেষ কমিটি কারো মতামত গ্রহণ করেনি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমেই রাজনীতি ও সংসদকে বিপাকে ফেলে দেয়া হয়েছে। সংকট সমাধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।

বিরোধী দলের সংসদ বয়কট সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে বিরোধী দলকে কটাক্ষ ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়। বুধবারও নীলফামারীতে এক জনসভায় বিরোধী দলীয় নেতাকে ‘পাগল’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ একসময় এই শেখ হাসিনাকেই উচ্চ আদালত ‘রং হেডেড’ বলেছিলেন। এসব কারণে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, এই সংসদে যাওয়া উচিত নয়।

এমকে আনোয়ার বলেন, অসাংবিধানিক সরকারের সূচনা হয় ’৭৫ সালে; কিন্তু জিয়াউর রহমানের সরকার সামরিক ছিল না। তিনি বলেন, গণমাধ্যমও আজ চাপে রয়েছে। এর ফলে গণতন্ত্র আবারো বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এটা সত্য যে বিশেষ কমিটিতে সবাই তত্ত্বাবধায়ক রাখার পক্ষে বলেছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগের পক্ষে শেখ হাসিনাও এর পক্ষে বলেন; কিন্তু আদালতের রায়ে এই ব্যবস্থাকে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে আবার এটিকে দুই মেয়াদে রাখা যেতে পারে বলা হয়েছে ‘অবৈধ’ বলার পর এই ব্যবস্থা চলমান রাখার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, একটি দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার একটিই পথ, গণতন্ত্র। সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসবে কেন? সেদিন তত্ত্বাবধায়কের ফাঁক ছিল বলেই সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পেয়েছে। তার মতে— অর্থবিল ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু এবং সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া যাবে না, এই তিনটি বিষয় সংরক্ষিত রেখে অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের কথা বলার স্বাধীনতা দেয়ার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা উচিত। একটানা তিন বছর কোনো দলের সদস্য না হলে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, এটিও বাদ দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির ডিস্টিংগুইস্ট ফেলো প্রফেসর রওনক জাহান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সংসদ। সেই সংসদকেও গণতান্ত্রিক হতে হবে। কারণ সংসদই হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদের জবাবদিহি করার একমাত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান; কিন্তু এখানে নির্বাচনের পর পরাজিত দল সংসদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। দেশে দুটি দলই পালা করে ক্ষমতায় আসে। যখনই তারা বিরোধী দলে যায় তখন আর দায়িত্ববোধ রাখে না। এর ফলে সংসদ যেন কেবল সরকারি দলের হয়ে যায়।

প্রফেসর রওনক বলেন, সামরিক, রাষ্ট্রপতি শাসিত ও সংসদীয় গণতন্ত্র— এরকম বারবার পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণেও গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে না। সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসে। অন্য নির্বাচনগুলোও বিতর্কমুক্ত ছিল না। পরাজিত দল সবসময় ফলাফল বর্জন করে। এক সময় মনে হয়েছিল, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিশ্বে হয়তো মডেল হবে; কিন্তু এখন সেটিও বিতর্কে। এক সময় সংসদে প্রধান দুটি দলের বাইরেও ছোট ছোট ৪/৫টি দলের প্রতিনিধিত্ব থাকতো। এখন ছোট দলগুলোও সব বড় জোটে বিলীন হয়ে গেছে। বিরোধী দল সংসদ বয়কট করলেও স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এবং বিদেশ সফরে যায়। এছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০-এর মাধ্যমে এমপিদের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।

প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, সংসদের নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ভারতসহ অনেক দেশেই সংসদের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো থাকলেও বাংলাদেশে স্পিকারের পিএসসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই দেয়া হয় সরকার থেকে। এটিও সংসদের দুর্বলতার অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, এমপিদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। এবারের সংসদেও ব্যবসায়ীর হার শতকরা ৫৬ ভাগ। নির্বাচনী ব্যয় কমানো উচিত। না হলে সংসদ এক সময় বড় লোকদের ক্লাব হয়ে যাবে। এমপিরা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নিজ এলাকার উন্নয়ন কাজে জড়িত থাকায় স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। এমপিদের বাসার দরজা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখতে হয়। মানুষ প্রায় সব কাজেই এমপির দ্বারস্থ হয়।

রওনক জাহান বলেন, গণমাধ্যমে প্রতিদিনই এমপিদের বিরুদ্ধে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সংসদের কোন বক্তব্য নেই। অথচ অন্য দেশে সংসদ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। অবশ্য এবার ৪৮টি স্থায়ী কমিটি বেশ সক্রিয়। তবে অর্থ বিলগুলোর ওপর সংসদে যথেষ্ট আলোচনা হয় না। অনেক সময় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সুবিধামতো সরকারের পক্ষের প্রশ্নগুলো গ্রহণ করা হয়। যেগুলো সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে সেসব প্রশ্ন গ্রহণ করা হয় না।

সংলাপে নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশের সংসদের ভালো দৃষ্টান্তগুলোর ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষক ড. ইনজে এমান্ডসেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় মনজুর হাসান বলেন, নির্বাচন আসে, আমরা ভোট দিই— এই পর্যন্তই গণতন্ত্র। নির্বাচনের পর সবকিছু অগণতান্ত্রিক হয়ে যায়। মানুষ ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করে, কিন্তু অবস্থার কোন বদল ঘটে না। গত ১৫ বছরে সংসদের চেয়েও মিডিয়া অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তার মতে, স্পিকারকে নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। নির্বাচনের পর তার উচিত দল থেকে পদত্যাগ করা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্থায়ী কমিটিগুলোর ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য গত ৪০ বছরেও দেশে আইন করা যায়নি। সেজন্য কমিটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে ডাকলেও তিনি যাননি। ডাকার পরে কেউ না গেলেও কমিটির কিছুই করার ক্ষমতা নেই। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সংসদ বয়কটের কারণ চারটি। এগুলো হলো-সংসদে নির্মম অপমান সইতে হয়, দলের যেসব সিনিয়র নেতা নির্বাচনে পরাজিত হন তারা নেত্রীকে সংসদে না যাওয়ার পরামর্শ দেন, প্রপাগান্ডা চালানো হয় সংসদে গেলে সরকারের কাজের বৈধতা দেয়া হবে এবং ৯০ কার্যদিবস পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকা যায়।

ড. আসিফ বলেন, আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ করা সম্ভব না হলেও বিশেষজ্ঞদের সংসদে আনতে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করা যায়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেখা গেছে কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেই সরকার পরিবর্তন হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ব্যবসায়ীরা সংসদে বেশি আসার কারণ মনোনয়ন বাণিজ্য। তিনি বলেন, সংসদে ওয়াকআউট থাকবে। তবে বয়কট বন্ধ হওয়া উচিত। স্পিকারকেও নির্দলীয় হতে হবে।

এমএম আকাশ বলেন, একজন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তার প্রথম কাজ হয় কিভাবে পরেরবারও জয়ী হওয়া যায় সেজন্য কাজ করা। এজন্য সেই এমপি তিনটি কাজ করেন-পরবর্তি নির্বাচনের জন্য টাকা রোজগার, যিনি মনোনয়ন দিয়েছেন তার গুডবুকে থাকা এবং এলাকার ভোট ব্যাংকগুলোকে ঠিক রাখা।

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এমপিদের কাছে এলাকার লোকজনের বহুমাত্রিক প্রত্যাশা। স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা, চাকরি ও বদলির সুপারিশ, হাসপাতালে ভর্তি, বিদেশে যাওয়াসহ সব কাজেই মানুষ এমপিদের দ্বারস্থ হয়।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, সুশীল সমাজ সবসময়ই অসাংবিধানিক সরকারকে খুব বাহবা দেয়। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি এডভোকেট তারানা হালিম বলেন, এমপি হিসেবে সংসদের ভেতর-বাইরে স্বাধীনতা সীমিত।

স্বতন্ত্র এমপি ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল আজিম বলেন, স্পিকার সংসদের অভিভাবক হলেও তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় সংসদ নেতার মুখের দিকে তাকিয়ে। তার মতে, নির্বাচনের মাধ্যমে শুধু ব্যবসায়ী কেন, যে কারোই সংসদে আসার ক্ষেত্রে ক্ষতির কিছু নেই।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডিম আগে না মুরগি আগে- এই বিতর্কে না গিয়ে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের ও এমপিদের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেয়া হলে সংঘর্ষ হবে না।

No comments: