http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Wednesday, October 26, 2011

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অকথ্য অপবাদ, আত্মহত্যা করল কলেজছাত্রী ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ক্লোজড Is it human being!!!


অকথ্য ও অসত্য অপবাদ সহ্য করতে না পেরে ঠাকুরগাঁওয়ে এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাত্রিতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এ ঘটনা ঘটে।



নিহত ছাত্রী মুক্তা নাহার বানু, ১৮, ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। শনিবার রাতে কীটনাশক পান করার তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার দিবাগত রাত্রিতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।



মুক্তার বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার নতুন বাজার গ্রামে। সে ঠাকুরগাঁও শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে মামা শাহ আলমের বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছিল।



রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিনাজপুর মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মুক্তার লাশ তার মামার বাড়ি আনলে কান্নার রোল পড়ে। মৃত্যুর খবর শুনে সহপাঠি, শিক্ষকসহ প্রতিবেশীরা মুর্ছা যায়।



মুক্তার আত্মহত্যার আগে তার ডায়রির ছয় পৃষ্ঠা জুড়ে একটি চিঠি লিখে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।



মুক্তার মা আয়শা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, তাদের প্রতিবেশি আফসানা, তাসু ও মোহাম্মদ আলী মুক্তার নামে কুৎসা রটিয়ে দেয় যে সে তিন মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছে। এর ফলে সম্প্রতি বেশ ক'বার মুক্তার বিয়ের প্রস্তাব এলেও পাত্র পক্ষ গর্ভধারণের অপবাদ শুনে পিছিয়ে যায়।



পরিবারের সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতিবেশি মোহাম্মদ আলীর বিয়ের প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ার জের ধরেই এই কুৎসা রটানো হয়।



জানা গিয়েছে এই শনিবার কলেজ থেকে ফিরে সকলের অগোচরে মুক্তা তরল কীটনাশক পান করে। পরিবারের সদস্যরা রাতে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।



মুক্তার বাবা সমশের আলী তার মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের বিচার দাবি করে বলেন, আর যেন কোন বাবা-মার কোল এভাবে খালি না হয়।



রবিবার রাতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শাহ আলম ও এএসপি সার্কেল মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা জানান দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।





ওসি ক্লোজড



এদিকে ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও থানার ওসি গোপাল চক্রবর্তীকে ক্লোজড করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে ঠাকুরগাঁও সদর থানা থেকে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলার রানীশংকৈল থানার ওসি জাহিদুল ইসলামকে অস্থায়ী ভাবে এ থানার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।



অবশ্য ওসি ক্লোজ কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এসপি মো: শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসনিক কারণের কথা উল্লেখ করেন।

We are confused how officials avoid such sensitive cases!!!

No comments: