http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, November 26, 2011

Progrumme Held Oil Gas Protection National Committee জাতিয় কমিটির মহাসমাবেশ সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠিত / নভেম্বর 26, 2011



PRESS RELEASE FROM International Anti-Imperialist and People’s Solidarity Coordinating Committee (IAPSCC

August 11 , 2011

22 November 2011
PRESS RELEASE
Anti-imperialist fighters from different parts of the world meet at the
Third International Anti-imperialist Conference
Jointly organized by the IAPSCC and SPB
at Dhaka, Bangladesh on November 27-29, 2011

In the backdrop of savage imperialist attacks on Iraq, Afghanistan, Palestine and Libya, the heinous machinations and threats of regime change in Syria and Iran, blockades against Cuba and North Korea, the 3rd International Anti-imperialist Conference of International Anti-imperialist and People’s Solidarity Coordinating Committee (IAPSCC) jointly organized with Socialist Party of Bangladesh (SPB) is going to be held at Dhaka, Bangladesh. The Open Inaugural Session of the Conference will be held on November 27 and the Delegates Sessions will be held on November 28 and 29. The theme of the Conference is “ IMPERIALIST ATTACK : Economic, Political, Cultural and Military Aggression and Occupation, with special reference to imperialist attack and aggression in Latin America, Middle East, Afghanistan, Cuba and DPRK.”
Delegates from Bangladesh and from different countries, including, USA, Canada, Venezuela, Democratic People’s Republic of Korea (North Korea), France, Ghana, Mauritius, Algeria, Morocco, Egypt, Lebanon, Syria, Jordan, Iran, Turkey, Pakistan, Sri Lanka, India and Nepal will attend the Conference. The delegates will discuss the many faces of imperialist aggression, share their experiences of struggle, and deliberate on the ways and means of building up global coordinated movement against imperialism and developing solidarity among the anti-imperialist fighters in different countries. Dhaka is an appropriate venue for holding this anti-imperialist Conference, because Bangladesh is a victim of imperialist intrigues and exploitation of its natural resources (Petroleum, Natural Gas, Coal and Water) and cheap labour by the corporate houses of the imperialist powers, particularly USA and neighbouring India. The Conference will be inaugurated at 10 a.m. on November 27, at the open air field adjoining Mahanagar Natyamancha, Dhaka, through an Open session by Ramsey Clark, former Attorney General of USA and well-known campaigner against imperialist attacks. The inaugural Open Session will also be addressed by Manik Mukherjee, General Secretary of IAPSCC, Khalequzzaman, General Secretary of SPB, Pushpa Kamal Dahal (Prachanda), Chairman of Unified Communist Party of Nepal, S K Mohammad Shahidullah, Convener of National Committee to Protect Oil, Gas, Mineral Resources, Power and Port, from Bangladesh, and delegates from North Korea, Lebanon, Syria and Sudan. The Delegates Sessions will be held in two parallel meets at the Mahanagar Natyamancha Hall and Shilpakala Academy Hall on November 28-29, 2011. The themes of the different Delegates Sessions are : Economic and Cultural Attack of Imperialism, Military Attack of Imperialism, Imperialist Globalization and its All-out Attack, Imperialist Domination and Exploitation in South-East Asia, Crisis of World Capitalism-Imperialism and Task Ahead. Finally, at the end of the Conference the Dhaka Declaration against Imperialism would be discussed and adopted. This Conference would be an important milestone in the fight against imperialist camp headed by USA and its cohorts.
IAPSCC expresses its solidarity with people’s movement against capitalism-imperialism all over the globe, notably “Occupy Wall Street” movement of USA, and in its wake massive people’s demonstrations against capitalism-imperialism in Europe, and popular revolt in Egypt. The call of the Conference to the people of all the countries, and particularly of the host country Bangladesh, is to sharpen and strengthen the movements against imperialism and to strive for coordination of these movements so that a mighty current of global anti-imperialist movement can be released. Only concerted, militant, global anti-imperialist movement can stop the naked onslaught of imperialist powers in different corners of the globe.
Manik Mukherjee, General Secretary, IAPSCC
Khalequzzaman, Secretariat Member, IAPSCC
Mobinul Hayder Choudhury, Member IAPSCC

BANGABANDHU PARISHAD ANNOUNCEMENT

Monday, November 21, 2011

এমপি সানজিদার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের যত অভিযোগ


শ্যামপুর-কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সানজিদা খানম এমপি নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার আগে ঢাকা-৪ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের ন্যাম ভবনের বাসভবনে আসার জন্য খবর দেন। তারপর গাড়িবহর নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন। যে কোনো সময় এলাকায় যাওয়ার আগে তার পিএস থানায় খবর দেন প্রটোকলের জন্য। থানার আগের ওসিদের মতো বর্তমান ওসিরাও নিজে সঙ্গে থেকে অথবা অন্য কর্মকর্তাসহ গাড়ি নিয়ে প্রটোকল দেন। ফলে এলাকার লোকজন এমপির সিন্ডিকেট সদস্যদের অপকর্ম সম্পর্কে মুখ খুলতে সাহস পান না। অপরাধীরাও বিপুল উৎসাহ নিয়ে নির্ভয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে এমপি নিজে কোর্টে মুভ করে জামিন করিয়ে নিয়ে আসেন। সম্প্রতি এমনই একজন অপরাধী র‌্যাব-১-এর হাতে ১২টি চোরাই সিএনজিসহ গ্রেফতার হয়। র‌্যাব গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রেফতার ব্যক্তি ঢাকা শহরে সিএনজি অটোরিকশা চোরের সরদার। আশ্চর্য হলেও সত্য, এমপি নিজে ওই সিএনজি চোরকে মুক্ত করান। অভিযোগে আরও বলা হয়, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই কক্ষবিশিষ্ট ছাপড়া ঘরে বসবাস করলেও এখন বিলাসবহুল অট্টালিকা তৈরি করেছেন, যদিও তিনি এখন ঢাকা-৪ এলাকায় বসবাস করেন না। যখনই নির্বাচনী এলাকায় থাকেন তখন তার সিন্ডিকেট তাকে ঘিরে রাখে। তার সিন্ডিকেটের সদস্য মুদি আকাশ (নির্বাচনের আগে মুদি দোকানদার ছিল), তাইজু (পূর্বপুরুষ আওয়ামী লীগবিরোধী মুসলিম লীগ পরিবার, বর্তমানে জাতীয় পার্টি), টেম্পো বাবুল (কয়েক দিন আগে টেম্পো ছিনতাইকারী হিসেবে র‌্যাব-১-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল), চাঁদাবাজ টিটো (বিএনপি জোট সরকার আমলে যুবদল নেতা, নব্য আওয়ামী লীগার), ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাবু, মাদক ব্যবসায়ী রাসেল, মানিক ও কাওছার গং আন্ডারওয়ার্ল্ভ্রের সদস্য সেবক। আওয়ামী লীগের পুরনো নেতা-কর্মীরা ধারেকাছেও যেতে পারেন না। ফলে নব্য আওয়ামী লীগার অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় যেসব সুবিধাবাদী এমপি সালাহউদ্দিনের চারদিকে ছিল, তারাই এখন এমপি সানজিদার চারদিকে বেষ্টনী সৃষ্টি করে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে, লুটপাট করছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার শ্যামপুর ইউনিয়নের গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য দুই হাজার ৫০০ ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দেয়। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি চাল বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় সার্কেল অফিস থেকে জানানো হয়, কার্ডের মধ্যে ৩০০ চেয়ারম্যান কর্তৃক এবং বাকি দুই হাজার ২০০টি এমপি কর্তৃক বিতরণ করা হবে। কিন্তু বরাদ্দকৃত চাল শুধু শ্যামপুর ইউনিয়নবাসীর জন্য এবং প্রতিটি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানকে দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে। ফলে সঙ্গত কারণেই চেয়ারম্যান সিও অফিসের প্রস্তাবে সম্মত হননি। পরে সিও অফিস থেকে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয় সমান-সমান ভাগাভাগির। বিষয়টি চেয়ারম্যান টেলিফোনে ঢাকা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন এবং সিও অফিসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে এমপির নির্দেশে সিও অফিস চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়। চাল নিতে আসা ভুখানাঙা মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। চালের দাবিতে এমপির বিরুদ্ধে মিছিল এবং তার পদত্যাগ দাবি করে। বিএনপি পরিবার থেকে আসা, একসময়ের আওয়ামী লীগবিরোধী ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী সানজিদা খানম নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে, তার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শামীমের পরামর্শে ঢাকা-৪ এলাকায় ছাত্রদল ও যুবদল নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা করছেন না। ফলে এলাকাবাসী আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে নৌকায় ভোট চাওয়া কষ্টকর হবে। স্থানীয় কোনো নেতা এ ব্যাপারে তাকে পরামর্শ দিলে তিনি উত্তরে বলেন, 'টাকা থাকলে নির্বাচনের সময় মানুষ পাওয়া কোনো সমস্যাই নয়। নির্বাচনের প্রাক্কালে পার্টির ফান্ডে টাকা ঢেলে দিলে মনোনয়ন পাওয়া যাবে।'

ড. আকবর আলি খান তত্ত্বাবধায়ক সমঝোতা না হলে নির্বাচন অনিশ্চিত


বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাজনৈতিক সমঝোতার একটি ইস্যু। একতরফাভাবে এর পরিবর্তন আনা হলে শাসনতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হবে। দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতে শীঘ্রই এ ইস্যুতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নইলে আগামী সংসদ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা কাজ করবে বলে মন্তব্য করলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। গতকাল বিকালে গুলশানের বাসভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন দেশের বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ।

দেশের সার্বিক অবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, প্রধান দুই রাজনৈতক দলের কর্মকাণ্ড, বিদ্যমান অর্থনীতি, পুঁজিবাজার, মন্ত্রিসভা ও আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলাপে ড. আকবর আলি খান বলেন, গত চার দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি যতটা এগিয়েছে, ঠিক ততটাই পিছিয়েছে রাজনীতি। অবশ্য আশাবাদী ড. খান বলেন, সামনে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রে দেশ সমানভাবে এগিয়ে গিয়ে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ড. আকবর আলি খান বলেন, ১৯৯৬ সালে এক সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা গ্রহণ করে। এখন একতরফাভাবে এ ব্যবস্থার পরিবর্তন করা হলে শাসনতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হবে। এ ব্যাপারে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা বা সিদ্ধান্ত গৃহীত না হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা কাজ করবে। পুঁজিবাজারের বিদ্যমান সংকট নিয়ে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক বা চটজলদি সমাধানে পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তাতে চলমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। পুঁজিবাজারে ধস নামানোয় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সরকার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পাবে না। সরকারি যেসব কর্মকর্তা পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ না করে এ বাজারকে তার মতো ছেড়ে দেওয়া উচিত। সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, এ নিয়ে কখনোই তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট ছিলেন না। বর্তমান অর্থনীতির বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের মূল্যায়নের ভিত্তিতে। তার মতে, দেশে বর্তমানে অর্থ প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ কমছে, রয়েছে অবকাঠামোগত ঘাটতিও। অর্থমন্ত্রী এ বছর যে হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশা করেছেন তাতে সংশয় দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। আমদানি ব্যয় বাড়ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি না বাড়ায় ডলারের উচ্চমূল্যের ফলে টাকার অবমূল্যায়ন হবে। সার্বিকভাবে রিজার্ভ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ব্যয় বাড়ছে যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়। এর জন্য সরকারকে নতুন করে মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও টাকার মূল্য বাড়াতে অবিলম্বে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে এ সরকারের আমলে কৃষি খাতে উৎপাদন বেড়েছে। এ বছরের উৎপাদনও সন্তোষজনক। রাজস্ব আদায়ও ভালো। কিন্তু ভৌতঅবকাঠামোগত যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। ভারতের মন্ত্রিসভার সঙ্গে দেশের মন্ত্রিসভার কার্যক্রম মূল্যায়ন করে সাবেক উপদেষ্টা বলেন, কাজে গতি সৃষ্টির জন্য ভারতের কর্মসভার মেয়াদকালে চার থেকে পাঁচবার মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হয়। কিন্তু বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে মন্ত্রিপরিষদের কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ড. আকবর আলি খান বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে হৈ চৈ করে লাভ নেই। কারণ আমন মৌসুম ছাড়া তিস্তায় পানি থাকে না। বরং ভারত তার অংশের তিস্তা অববাহিকায় যেসব প্রকল্প তৈরি করবে, তা বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে তিস্তা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অববাহিকাভিত্তিক চুক্তি হওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকার প্রধানমন্ত্রী ফেরেশতা নন ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নন ওবায়দুল কাদের


আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ফেরেশতা কিংবা দেবতা নন। ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নন। টিমলিডার হিসেবে যোগ্য ও দক্ষ। কিন্তু তার টিম সদস্যরা তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। সরকারের তিন বছর পার হতে চলল, প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কার কি যোগ্যতা। স্পিকার আবদুল হামিদ ভুল বলেননি_ ক্ষমতায় আসার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সময়ের আলোচিত, স্পষ্টবাদী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সব মহলে প্রশংসিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ওবায়দুল কাদের শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের ভাষা ও উপলব্ধি বিচার-বিশ্লেষণ করে তার সরকারকে সতর্ক করে আসছেন। একজন গঠনমূলক সমালোচক হিসেবে দেশবাসীর নজর কেড়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরই আওয়ামী লীগ রাজনীতির প্রেসিডিয়ামে টিকে আছেন। দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

পঁচাত্তর-উত্তর দুঃসময়ে কারাবন্দী অবস্থায় ছাত্রলীগ সভাপতি নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন '৯৬-এর সরকারে যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। দলাদলির ঊর্ধ্বে থেকে দলে ভূমিকা রাখেন। ওয়ান-ইলেভেনে কারাবন্দী ও নির্যাতিত হন। সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে দুবার পরাজিত করেন তিনি। সোমবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সরকার, দল, মানুষের ভাবনা ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে কথা বলেন। আগামীতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ যে মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে কোনো দ্বিমত না করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় আসার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। তবে আমি আশাবাদী আওয়ামী লীগ যদি মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজন ৭০-৮০ ভাগও মেটাতে পারে, সে ক্ষেত্রে দল আবারও ক্ষমতায় আসবে। সরকার সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভার রদবদল দরকার কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একটি রুটিনওয়ার্ক। মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। ভারতেও বছরে দুই-তিনবার মন্ত্রিসভার রদবদল হয়। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বাস্তবতা বোঝেন, যেহেতু তিনি দেশ চালাচ্ছেন। কে ব্যর্থ আর কে সফল, এটি বোঝার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে। কারণ তিনি জনগণের ভেতর থেকেই উঠে এসেছেন। আমি দেখেছি, নেত্রীকে যদি ঠিকভাবে বোঝানো যায় উনি বোঝার চেষ্টা করেন। আমার বিশ্বাস তিন বছরের উপলব্ধিতে প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অ্যারাবিয়ান হর্সের মতোই কাজ করছেন। টিমলিডার হিসেবে তিনি আনপ্যারালাল। কিন্তু তার টিমের সদস্যরা কেউ তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। সত্যিকার অর্থে টিমলিডার একা কখনো সফল হতে পারেন না, যদি তার টিমওয়ার্ক সুন্দরভাবে না হয়। টিমের সমন্বয় আর কখন হবে, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। আসলে সব ভালো তার, শেষ ভালো যার। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এমন কিছু আশা করতে পারেন। বিএনপির একাধিক নেতার অভিযোগ আপনার দলে কোন্দল রয়েছে, আর সরকার প্রতিনিয়ত সংকটে_ জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃত্বে কোনো সংকট নেই, বিএনপিতে রয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দলীয় কোন্দলে আক্রান্ত বলেই বারবার আওয়ামী লীগে সংকট খুঁজছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে আত্মসমালোচনার সুযোগ রয়েছে, বিএনপিতে নেই। দলের সিনিয়র নেতা আমু ভাই, তোফায়েল ভাই এবং সুরঞ্জিতদা সরকার ও দল নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করলেও প্রধানমন্ত্রী ঠিকই আবার তাদের কাছ থেকেই পরামর্শ নিচ্ছেন। কাউকে দল থেকে শোকজ কিংবা বহিষ্কার করা হচ্ছে না। আমি নিজেও সরকার ও দল নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কখনো আমাকে কিছু বুঝতে দেননি। এটিই হচ্ছে সত্যিকারের গণতন্ত্রচর্চা। বিএনপিতে আত্মসমালোচনা করায় একজন সিনিয়র নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার নজির রয়েছে। আওয়ামী লীগে যত কোন্দলই থাকুক, আমাদের মূল নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, নেত্রীর প্রশ্নে সবাই এক।

বিরোধী দলের অব্যাহত সংসদ বর্জন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করছে। তাদের ইতিবাচক জয়াগায় ফিরে আসা দরকার। তিনি বলেন, সংসদে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত জুড়ে দেওয়াটাও অপ্রত্যাশিত। সংসদ কেবল আওয়ামী লীগের নয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সবার সমান অধিকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি শেখ হাসিনার কোনো অনীহা নেই। কিন্তু অতীতে এর অপপ্রয়োগ হয়েছে, সময়সীমা লক্সিঘত হয়েছে, সে জন্যই এখন অনাগ্রহ কাজ করছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করাই সরকারের দায়িত্ব। তার পরও বিএনপি যদি এই ইস্যুতে সংসদে বেসরকারি বিল উত্থাপন করে, আমরা অবশ্যই চিন্তাভাবনা করব। এমনকি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়কের আদলে বিএনপি যদি সংসদে কোনো প্রস্তাব আনে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, লক্ষ্য তো আমাদের এক ও অভিন্ন_ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে প্রস্তাবিত কমিশনারদের নাম হিসেবে বিএনপি যদি কোনো নিরপেক্ষ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করে, আমরা তা বিবেচনায় রাখব। এমনকি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছেও বিএনপি এ প্রস্তাব রাখতে পারে। চলমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংকট উত্তরণে দুই প্রধান নেত্রীর বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, যত দিন মাইন্ড সেট না হবে তত দিন দুই নেত্রীর বৈঠক করেও কোনো লাভ হবে না। ১৫ আগস্টের খুনিদের পুরস্কৃত করা, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন আর হাওয়া ভবনের চক্রান্তে যখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়, তখন দুই নেত্রীর বৈঠক করে লাভ কী।

তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কি বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্বাচনের পথে যাচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি আগামী নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। সে ক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনও হবে ইনশা আল্লাহ।

তারেক রহমানের দুর্নীতিসংক্রান্ত এক মামলায় এফবিআই প্রতিনিধি আদালতে সাক্ষী হিসেবে হাজির হয়েছেন। এফবিআই প্রতিনিধিকে ভাড়া করে এনে খালেদা জিয়ার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব যে অভিযোগ করছেন তার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সাহস থাকলে সত্যের মুখোমুখি হোক। দীর্ঘ ১৬ বছরের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ভাড়াটে বলা লজ্জার বিষয়।

ICT would be highest sector for Employment: Finance Minister Abul Mal Abdul Muhit



PRESS RELEASE FROM PLAMA LEAGUE