http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Wednesday, May 29, 2013

"জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না"


জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না


সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া

তারিখ: 30 May, 2013

টা   লা

১৯৩৬ :       বগুড়ার বাগবাড়িয়ায় ১৯ জানুয়ারি জন্ম

১৯৫৩ :       কাকুল মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান

১৯৫৫  :       সামরিক বাহিনীতে কমিশন লাভ

১৯৬০ :       খালেদার সঙ্গে বিয়ে

১৯৬৫ :       পাক-ভারত যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ

১৯৭০ :       ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ট্রান্সফার

১৯৭১  :       পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান। মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক। স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্যবীর উত্তমখেতাবে ভূষিত

১৯৭২ :       ডেপুটি চিফ অব স্টাফ পদে পদোন্নতি

১৯৭৩ :       মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি

১৯৭৫ :       চিফ অব আর্মি স্টাফ নিযুক্ত। নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে নিযুক্ত

১৯৭৬         :       প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ

১৯৭৭ :       রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ

১৯৭৮ :       রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাগদলের প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী। একই বছরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করা

১৯৭৯ :       জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামরিক আইন প্রত্যাহার

১৯৮১  :       চট্টগ্রামে এক সামরিক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত

 

জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে আবির্ভূত একজন দুঃসাহসিক ব্যক্তির নাম জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক আকাশে যখন দুর্যোগের ঘনঘটা, অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো মেঘ, গুমোট হাওয়া দম বন্ধ হয়ে আসার মতো পরিবেশ। তখন বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র আলোকবর্তিকা হিসেবে আগমন ঘটে জিয়ার। কর্দমাক্ত পিচ্ছিল কঠিন দুর্গম পথে জাতির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়ে, মুক্তি পথের সন্ধান দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার দেশপ্রেম, সততা, উদারতা, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার মাধ্যমেতলাবিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশকে এক আত্মনির্ভরশীল স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং রাজনীতিতে তার আগমনের সময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

১৯৭১ সালে মার্চের ভাষণের পর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রেখে যেতে পারেননি মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে। জেলে যাওয়ার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা কেন্দ্রীয় নেতাদের কারো কাছেই তিনি কিছুই দিয়ে যাননি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতা তাজউদ্দীন আহমদ টেপ রেকর্ডারে বক্তব্য ধারণ করতে গিয়ে নিরাশ হয়েছেন। কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য, দিকনির্দেশনা এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া থেকে শেখ মুজিবুর রহমান বিরত ছিলেন। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকহানাদার বাহিনী সপরিকল্পিতভাবে নিরস্ত্র বাংলাদেশী মানুষের ওপর আকস্মিক হামলা চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে রক্তাক্ত ইতিহাস সৃষ্টি করে

আজকে আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় মন্ত্রী কথায় কথায় বলেন, জিয়াউর রহমান তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি, সোয়াত জাহাজের অস্ত্র খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং পাকিস্তানি অফিসার জাঞ্জুয়ার একজন কাছের ব্যক্তি ছিলেন বলে, যেসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের এই বক্তব্য বাস্তবতার সাথে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইতিহাসের দিকে তাকালেই দেখতে পাই, সোয়াত জাহাজের অস্ত্র খালাসের দায়িত্ব দেয়ার সাথে সাথে সেদিনই প্রথম বিদ্রোহ করেন মেজর জিয়া এবং ব্রি. জেনারেল জাঞ্জুয়াকে সমুচিত জবাব দেন। ২৬ মার্চের গভীর রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মেজর জিয়া।  তার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শোনার পর বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষ স্বাধীনতার লক্ষ্যে করণীয় কী সেটা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়। এই ঘোষণা দেয়ার পর সামরিক বাহিনী ইপিআর সাথে আছে, এটা জেনে জনগণ আশ্বস্ত সাহসী হয়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ, যা ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়

মেজর জিয়া কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা এবং জনগণের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর, আওয়ামী লীগের নেতারা চেতনা ফিরে পেলেন। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিচক্ষণ মেজর জিয়া বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তার দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণায়শেখ মুজিবের পক্ষ থেকে/ নির্দেশে স্বাধীনতার ঘোষণায়উল্লেখ না করলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে বেড়াতে পারে। আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিতে এই চিন্তা-চেতনা থেকেই দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার সময় সংশোধন করে, শেখ মুজিবের নাম সংযুক্ত করে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়েছিল

শেখ মুজিবের নামের বরাত দিয়ে, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণা বলে দাবি করার মধ্য দিয়ে মূলত শেখ মুজিবের অবদানকে সীমাবদ্ধ এবং একজন কীর্তিমান পুরুষ হিসেবে তার নেতৃত্বকে খাটো করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবেই তার কর্মপরিধি নির্দিষ্ট করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ তাকে দলের বৃত্তবন্দী করে ফেলে। ফলে অবমূল্যায়ন ঘটেছে বৃহৎ হৃদয় উদার নেতা শেখ মুজিবের

স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে আওয়ামী লীগ যতই বিতর্ক করুক না কেন, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মার্চের শেখ মুজিবের ভাষণের শেষের অংশবিশেষ সংবিধানে প্রতিস্থাপন করেই ২৫ মার্চের ঘোষণা দিয়ে গেছেন মর্মে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এতে সত্যের অপলাপ হয়েছে এবং তরুণ প্রজন্মকে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে বিকৃত ইতিহাস উপহার দেয়া হয়েছে। মার্চের বক্তব্য যদি স্বাধীনতার ঘোষণা হয় তাহলে মার্চ থেকে যুদ্ধ শুরু হলো না কেন?

মেজর জিয়ার নিজকণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা ইথারে ইথারে প্রচারিত হয়েছে, যা আকাশে বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছে এবং বর্তমানে যা রক্ষিত আছে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের কানে পৌঁছেছিল সে ঘোষণা। জিয়াউর রহমানই যে স্বাধীনতার ঘোষক, সেই দেখা শোনা সাক্ষীরা বাংলাদেশের কোন আদালতে সাক্ষ্য দেবেন, আওয়ামী নেতারা বলতে পারবেন কি?

বিচারপতি খায়রুল হক কি মেজর জিয়ার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণাটি শোনেননি? কোন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিকে তিনি ভিন্ন রায় দিয়ে গেলেন? ইতিহাসের কাঠগড়ায় যেদিন দাঁড়াতে হবে সে দিন বুঝবেন, বিচারক হিসেবে যে শপথ তিনি নিয়েছিলেন, সেই শপথ তিনি সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করেছিলেন। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তারা যখন জিয়া সম্পর্কে অশালীন কটূক্তি করে এবং প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে শেখ মুজিবের সাথে তুলনা করেন, তখন কি তাদের একবারও মনে হয় না তারা দুজন দুজনের কাজের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করেছেন। একজনকে আরেকজনের সাথে তুলনা করলে নিজেকেই খাটো করা হয়। ইতিহাসে যার যার কর্মমাফিক তার স্থান নির্ধারিত। ইচ্ছা করলেই একজনের স্থান আরেকজনকে দেয়া যায় না

বর্তমান সরকার, ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে কতটা বিতর্কিত করা যায়, সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখিয়ে ইতিহাস বিকৃত করা সম্ভব। কিন্তু সঠিক তথ্যের সাক্ষ্য-প্রমাণ মুছে ফেলা সম্ভব নয়।  নভেম্বর গৃহবন্দী থেকে জিয়াউর রহমান হলেন মুক্ত। এরপর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আলোয় উদ্ভাসিত পথের সন্ধান মানুষকে দিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে

জিয়ার আবির্ভাব, রাজনীতি, সমাজনীতি অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য এবং নতুন উদ্যম সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমানের ইতিহাস আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তার ইতিহাস। বাংলাদেশের মানুষের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর ইতিহাস। সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ করার ইতিহাস। দুর্ভিক্ষের পরিসমাপ্তি বাসন্তীর শরীরে শাড়ি পরানোর, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, সেচের জন্য খাল খনন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন খাদ্য রফতানির এবং সামাজিক শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইতিহাস। বাংলাদেশে এমন অনেকে আছেন, যারা বাংলাদেশে চাকরি করে ভিন দেশে জমি কেনেন। বাংলাদেশে রাজনীতি করেন এবং ক্ষমতায় আসার নামে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভিন দেশের স্বার্থ রক্ষা করেন। সব দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্র, সমাজ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিচলিত হয়ে পড়েছিল। এসব উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার একমাত্র পথ হিসেবে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা হলো। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের এক নম্বর কক্ষে জিয়া বুলেটবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নেতার কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়েছিল, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ।যে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

যারা জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম মুছে ফেলেছে, মুজিবনগর থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুরালগুলো ভেঙে ফেলেছে তাদের শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাইÑ কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম কিভাবে মুছবেন?

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতেবিসমিল্লাহির রাহমানির রহিমসংযোজন করেন। সেই সাথে ব্যাখ্যা দেয়া হয় যে, সমাজতন্ত্রের অর্থসামাজিক অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার। জাতীয় ঐক্য সংহতি বৃদ্ধির জন্য তিনি জাতীয়তাবাদকে জনপ্রিয় করার বিষয়ে জোর দেন। সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ২১ মে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দেশের সবশ্রেণীর মানুষের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা স্বনির্ভরতা অর্জনই ছিল এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য

বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং এর চেয়ারম্যান হন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এপ্রিল মাসে সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর এপ্রিল সামরিক আইন তুলে নেয়া হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাসী জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সব বাধা তুলে নেন। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। জিয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়

তিনি দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা, যা পরে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জিয়া জেরুসালেম মুক্তির জন্য ১৯৮১ সালে গঠিত আল কুদস কমিটির এবং ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধের শান্তিমিশনের (১৯৮১) সদস্য ছিলেন। ১৯৭৮ সালেবাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক’ (বিআইআইএসএস) প্রতিষ্ঠা করেন

বর্তমান সরকারের দায়িত্বশীল কিছু ব্যক্তি মন্ত্রী জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিষোদগার করতে দ্বিধা করেন না। কর্নেল তাহের হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িতÑ কথাটি সত্য নয়, রক্ষীবাহিনী গণবাহিনীর নেতৃত্বে যে গণহত্যা হয়েছিল তা দেশদ্রোহিতার শামিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ। ওই সব অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি করছি

লেখক: জাতীয় সংসদ সদস্য

 

No comments: