http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, February 17, 2018

Press Release Sher e Bangla Schoool and College

mvjvgRvb‡eb| 18/02/2012 iweevimKvj 10:30 NwUKvqAÎcÖwZôv‡bievwl©K µxovcÖwZ‡hvwMZv I cyi¯‹vi weZiYxAbyôvb-2018AbywôZn‡e| D³Abyôv‡bwb‡¤œv³AwZw_e„›` Dcw¯’Z _vK‡eb|
cÖavbAwZw_     : RbveAvmv`y¾vgvbLuvbKvgvj,
gvbbxq ¯^ivóª gš¿x, MYcÖRvZš¿xevsjv‡`k miKvi|
we‡klAwZw_    : Rbvebyiæbœex †PŠayixkvIb,
          gvbbxqmsm` m`m¨, †fvjv-3 Gesmsm`xq ¯’vqxKwgwUim`m¨, gyw³‡hv×vwelqKgš¿Yvjq|
we‡klAwZw_    : RbveAvjnvR¡ †gvL‡jmyiingvb, mfvcwZ, igbv _vbvAvIqvgxjxM, XvKvgnvbMiDËi|
we‡klAwZw_    : RbveAvjnvR¡ BwÄwbqvi ˆZgyi †iRv †LvKb
                   KvDwÝji, 36 bsIqvW©, XvKvDËiwmwUK‡c©v‡ikb, XvKv|

mfvcwZZ¡ Ki‡ebRbveAvjnvR¡ LvqiæjAvjgPvKjv`vi,mfvcwZ I `vZvm`m¨, Mfwb©sewW, †ki-B-evsjv ¯‹zjGÛK‡jR|

Wednesday, February 14, 2018

আগামী অর্থ বছরে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ছাত্রাবাস করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আব্দুল কাদের মোল্লা

আগামী অর্থ বছরে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ছাত্রাবাস করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সমাজ সেবক আব্দুল কাদের মোল্লা

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সমাজ সেবক দেশের বার বার নির্বাচিত কর বাহাদুর আব্দুল কাদের মোল্লা তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবক মত বিনিময় সভায় আগামী অর্থ বছরে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ছাত্রাবাস করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমার জেলা নরসিংদীতে ৩১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ৪টি আমাদের ফাউন্ডেশনের সরাসরি অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। বাকী ৩১১ টিতে কম বেশি অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ জেলারও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবদান রেখেছেন তিনি। ইতিপূর্বে তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের জন্য ২টি বাস উপহার দিয়েছেন তিনি। তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার চোখে জল এসে গিয়েছিল। উপস্থিত শিক্ষক, ছাত্র অভিভাবকরাও তার বক্তব্যে কান্না থামাতে পারে নি। তার বড় হওয়ার গল্প, বেড়ে উঠার গল্প, সত্যিই সবাইকে অবাক করে নতুন পথ দেখায়। তিনি বক্তব্যে বলেন, মাত্র টাকা পুঁজি নিয়ে আমি যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। এখন আমার কত টাকা আছে আমি নিজেও জানি না। তিনি আল্লাহ প্রতি গভীর শ্রদ্ধা বিশ্বাস রেখে বলেন আমার পিছনে প্রেরণা হিসেবে একজন শিক্ষক ছিল। নিজের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন তখন তার বাবা মাঠে কাজ করে যে উপার্জন করত, সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলত। অবেলায় অসময় বাবা না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখলেন আব্দুল কাদের মোল্লা। যে একদিন অনেক বড় হবে সে তো পিছনের দিক তাকাতে পারে না। শুরু হলো তার নতুন সংগ্রাম। জাইগির থেকে কোনো রকম এসএসসি পাশ করে যখন এইচএসসিতে ভরতি হলেন মাত্র ৬৬০/- টাকার জন্য সেদিন ফরম ফিলাপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। নরসিংদীর ইটাখোলায় চার দিন কাজ করে যে পয়সা পেয়েছিলেন তাই নিয়েই তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। সেখানেও বিপত্তি পথ ভুল করে তিনি নারায়নগঞ্জে গিয়ে থামলেন। সেখানে গিয়ে আবার শুরু করলেন নতুন যুদ্ধ। মায়ের গল্প বলতে গিয়ে আব্দুল কাদের মোল্লা বললেন আমার বাবা যখন না ফেরার দেশে চলে গেছেন তখন আমার মা আমার ছোট দুই ভাই সাড়ে তিন বছরের বোনকে রেখে মামা বাড়ি গেলেন। সেখানে তিনি বেশিদিন থাকতে পারলেন না। মামাদের পিড়াপীড়িতে অন্যত্র বিবাহ করলেন। আমার দুই ভাই মামা বাড়ি  রাখালে পরিণত হল। সাড়ে তিন বছরের বোন সীমাহীন কষ্টে সেও না ফেরার দেশে চলে গেল। পরে প্রতিবাদ করেছিলাম কিন্তু সেদিন কোন প্রতিকার পায়নি। জীবনে পথ চলতে এসে আজ ৬০ বছরে পা দিয়েছি। বহুবার সিআইপি হয়েছি, শ্রেষ্ঠ করদাতা হয়েছি, কিন্তু আমি এগুলোতে বিশ্বাসী নয়। আমি বিশ্বাসী মানুষের ভালোবাসায়। আপনারা যদি আমাকে ভালোবাসেন এতেই আমি তৃপ্ত। জীবনে কোনদিনও কোন রাজনীতি দলের সাথে যুক্ত হয়নি। আগামীতেও হবার কোন ইচ্ছা নেই। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা আমার চেয়ে মেধাবী। আমি জিপিএ কিবা গোল্ডেন পায়নি। তোমরা সবাই জিপিএ গোল্ডেন নিয়ে এখানে এসেছো। জিপিএ জীবনকে পরিবর্তন করে না। যদি মানুষ হতে পারো তাহলেই তোমাদের জীবন সুন্দর হবে। তিনি আরো বলেন আমার তিন মেয়ে, ছোট মেয়ে তোমাদের সাথেই আমার গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে পড়ছে। সে আমার কাছে মোবাইল দাবী করেছিল। আমি তাকে মোবাইল দেয় নি। কারণ মোবাইল আমাদের জীবনে আমাদের সন্তানের জীবনে এখন দারুন প্রভাব ফেলেছে। আমি আমার মেয়েকে বলেছি, তুমি ইউনিভার্সিটিতে গেলে পৃথিবীর সব চেয়ে দামী মোবাইল কিনে দিব। সে আমাকে বিশ্বাস করেছে। অভিভাবকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনাদের সন্তানদের প্রতি আরো যতœবান হোন। ওরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। আমি বিশ্বাস করি এই কলেজের যারা ছাত্র তারা একদিন বাংলাদেশের বড় বড় জায়গায় নিজেদের নিয়ে যাবে। 

১৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ১১ টায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজ তেজগাঁও এর উদ্যোগে ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজের উপাধাক্ষ প্রফেসার . হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলেজের অধ্যক্ষ বনমালী ভট্টাচার্য্য, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসার . শফিকুর রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধিদের সম্পাদক প্রফেসার আঞ্জুমান আরা। অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপ্পী সহ প্রমূখ।

অভিভাবকদের পক্ষে মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, সাড়া অঙ্গে ব্যথা, ঔষুধ দেব কোথা? আমরা শিক্ষার মান নিয়ে কথা বলতে এসেছি, এইতো সেদিন শিক্ষামন্ত্রী বললেন, নতুন করে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করবে তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে লক্ষ টাকা পুরস্কার। ইংরেজী প্রশ্ন পত্র ফাঁসের দিন তিনি এই হুশিয়ারী দিয়েছিলেন। একদিন পর দেখলাম তার ঘোষণার পরের দিন অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে প্রশ্ন পত্র ফাঁস বন্ধ করতে হবে। আরো বলেন, আমাদের ছেলেরা গোল্ডেন প্লাস পেয়ে এই কলেজে ভর্তি হয়েছে। এখন মনে হয় মুক্তিযোদ্ধাদের পদকে যেমন গোল্ড ছিলনা আমাদের সন্তানদের গোল্ডেনেও সোনা নেই। আমরা উদ্বিঘœ আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ে। তিনি অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাত ১২ টার পর আমাদের সন্তানরা যখন ঘুমাতে যায় তখন তারা সারারাত ঘুমায় নাকি সারারাত তারা ফেইসবুক ইমুতে থাকে। খোঁজ খরব আমাদের রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে এর দায়ভার শিক্ষকদের পাশাপাশি আমাদেরকে বহন করতে হবে। ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকের সমন্বয়ে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি