‘গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না’
১৭ জানুয়ারি ২০১৫: সারাদেশে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে গুলি চালিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ।
জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে শনিবার আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবে হামলা, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়া, সাংবাদিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ, সেন্সরশিপ প্রত্যাহার, সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল, মাহমুদুর রহমানের মুক্তিসহ সাগর-রুনীর খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা সংলাপে বসুন, নইলে সারাদেশে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে তা মোকাবেলা করুন। গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না। যাদের দিয়ে গুলি চালাবেন তারাই একদিন আপনার দিকে বন্দুক ধরবে।’
শওকত মাহমুদ অভিযোগ করেন, ‘৫ জানুয়ারি আমরা সাংবাদিকদের দাবি ও অধিকার আদায়ের সমাবেশ করছিলাম, সেখানে মায়া বাহিনী আমাদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। কিন্তু আমাদের সে আন্দোলন বৃথা যায়নি। আমাদের সেই দাবি আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সংলাপের জন্য যে সাত দফা পেশ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হল বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়া। তাই এখন এটি জাতীয় দাবি।’
সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আবার সেখানেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে খালেদা যাতে কথা বলতে না পারেন সে জন্য পিপার স্প্রে করে তাকে অসুস্থ করে দেওয়া হয়। আমরা এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কাজ আপনি তার কার্যালয়ে বসে করবেন, প্রেস ক্লাবে নয়। কারণ এটা প্রেস ক্লাবের নীতিবহির্ভূত।’
প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অপরাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের উস্কানি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, সিনিয়র সাংবাদিক কাদের গনি সিদ্দিকী প্রমুখ।
Press release
Majid,Peelkhana, Dhaka