প্রেস বিজ্ঞপ্তি
লংগদুতে বাঙালিদের আটক নির্যাতন
বন্ধ না করলে ৭২ ঘন্টার হরতালের ডাক দেওয়া হবে
প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, সচিব
নববিক্রম ত্রিপুরা, বানচিতা চাকমা, পুরনেন্দু
বিকাশ
চাকমাসহ উপজাতীয় সাম্প্রদায়িক
নেতাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণার ডাক
...........পাহাড়ের ৫
বাঙালি সংগঠন
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার
আন্দোলন, পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ, সমঅধিকার
নারী আন্দোলন ও সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন সহ পাহাড়ী ৫ বাঙালি সংগঠনের উদ্যোগে আজ
বুধবার ০৭/০৬/২০১৭ ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন পালিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও সমঅধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয়
মহাসচিব জনাব মনিরুজ্জামান মনির। প্রধান বক্তা ছিলেন- পার্বত্য গণপরিষদের মহাসচিব এডভোকেট আলম
খান। মানববন্ধনের সাথে একাত্ত্বতা ঘোষণা
করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও এনডিপির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব
মঞ্জুর হোসেন ঈশা, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি
জেলা শাখার সভাপতি মোরশেদ আহমেদ খান, সমঅধিকার নেতা এম আনোয়ার উল্লাহ, সমঅধিকার
ছাত্র নেতা প্রকৌশলী মোকাদ্দাস অনিক ও সমঅধিকার নারী আন্দোলনের মহাসচিব মিসেস
রোজিনা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে অবিলম্বে লংগদু উপজেলায়
আটক বাঙালিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, সচিব
নববিক্রম ত্রিপুরা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে
সাম্প্রদায়িক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাঙালি বিদ্বেশী পুরনেন্দু বিকাশ চাকমার বরখাস্ত/অপসারণ
দাবী করা হয়েছে এবং তাদেরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। অবিলম্বে উপরোক্ত দাবী না মানা হলে
তিন পার্বত্য জেলায় ৫ বাঙালি সংগঠনের ডাকে ৭২ ঘন্টার হরতাল পালন করা হবে বলে
সমাবেশে বক্তারা ঘোষণা করেন।
সমাবেশে বিভিন্ন বক্তা বলেন- “পার্বত্য
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, দেশের এক দশমাংশ ভূমি কেড়ে নিয়ে
তথাকথিত “স্বাধীন জুমল্যান্ড” ঘোষণার ষড়যন্ত্র চলছে বিগত ৪ দশক যাবত। ৩০ হাজার বাঙালি, ১২০০ সৈনিক, পুলিশ-বিডিআর-আনসার
বিগত সময়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসী খুনী শান্তিবাহিনীর হামলায় শহীদ হয়েছেন। ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ইং সরকার শান্তিচুক্তি
করলেও পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালি ও সাধারণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এর সুফল থেকে বঞ্চিত। কতিপয় চাকমা নেতা এবং জেএসএস ও
ইউপিডিএফ ব্যানারে কর্মরত পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা শান্তিচুক্তির ১৬ আনা সুফল ভোগ করছে। অথচ,
পাহাড়ে আজো বে-আইনী অস্ত্রধারী
রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডব বন্ধ হয় নাই। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২০ বছরে ও
পাহাড়ীরা খুন, চাঁদাবাজী, লুটপাট,
মুক্তিপন, নির্যাতন
অপহরন, অত্যাচার থেকে মুক্তিপায় নাই। বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়া প্রত্যন্ত
দুর্গমপাহাড়ী এলাকার প্রশাসন এবং ঢাকার সরকারের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে নিরীহ বাঙালি-উপজাতি জনগণকে হতে
হচ্ছে বলির পাঠা। তাদের
নিরাপত্তা দানের জন্য প্রশাসন ও কোন ব্যবস্থা না নেয়াতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের
ধারাবাহিকতায় গত ২ জুন, শুক্রবার, লংগদুতে
যুবলীগ নেতা নয়নের মোটর সাইকেল কেড়ে নিয়ে হত্যার পরবর্তীতে ৮ হাজার বাঙালির শোকসভা/নামাজে
জানাজা এবং উপজাতি বাঙালিদের কাঁচা ঘর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ঘটানো হয়েছে সু-পরিকল্পিত
ভাবে। আমরা এর নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত
এবং ঘটনার মূল হোতাদের আটকের দাবী জানাই।
এই লংগদুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকারকে বর্বর হানাদার উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা (শান্তি
বাহিনী) ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করেছিল। লংগদুর দরিদ্র শ্রমিক কাঠুরিয়াদের পাকুয়াখালীর গহীন অরন্যে
ডেকে নিয়ে প্রতারনার ফাদে ফেলে শতাধিক বাঙালিকে খুনী শান্তিবাহিনী হত্যা করেছিল। তাদের বিদেহী আশরীরী আত্মা আজো লংগদুর
আকাশে-বাতাসে কেঁদে বেড়ায়। সেসব
হত্যাকান্ডেরও বিচার কিংবা নিহত বাঙালিদের পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হয় নাই। বিভিন্ন গণকবর ঐসব হত্যাকান্ডের
স্বাক্ষী হয়ে আছে। বিচারের
বানী নীরবে নিভৃতে কাদছে। অথচ
গত ৫ জুন বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখা গেল সরকারী ত্রান সামগ্রীর সাথে উপজাতীরা লাখ লাখ
টাকার পূনর্বাসনের টাকা দাবী করছে (নেতাদের শিখানো বলি)। লংগদু ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ অবরোধ ডেকে
বিভিন্ন স্থানে বাঙালিদের কে নির্যাতন করেছে। খাগড়াছড়িতে পুলিশের উপর পেট্রোল বোমা
হামলার পরও পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের কে আটক করা হয় নাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের উপর
যাবতীয় বিমাতাসুলভ আচরণ বন্ধ না করা হলে ঐ অঞ্চলকে রক্ষা করা যাবে না। লংগদুতে বাঙালিদের বাড়ীঘর আজ
পুরুষশূন্য কেন? ৩০০ বাঙালিকে অকারণে আসামী করে গ্রেপ্তার নির্যাতনের অপর নাম হলো
মানবাধিকার লঙ্ঘন”।
অনুলিপি: সদয় অবগতি ও বহুল
প্রচারের আবেদন সহ প্রেরিত হলঃ
১। মাননীয় চীফ রির্পোটার/বার্তা সম্পাদক,
সকলজাতীয়
দৈনিক/বার্তা সংস্থা/টিভি চ্যানেল, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
বার্তা
প্রেরক
প্রকৌশলী ফেরদৌস মানিক
প্রচার সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার
আন্দোলন