http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Wednesday, October 5, 2016

"Press Release from BANGLADESH NARIMUKTI PORISHOD "Demand for justice for Khatija Case""



বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় কমিটি
২২/ তোপখানা রোড, ঢাকা- ১০০০। ফোন : ৯৫৭৬৩৭৩, মোবাইল: ০১৭১২৯৮১৪২২, ০১৬৮৪৭১৪৭৩১ 
-মেইল: narimuktikendra@gmail.com


খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর ছাত্রলীগ শাবিপ্রবি শাখার সহসম্পাদক বদরুল আলমের নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ   দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা খাতুন। তাঁরা বলেন তনু, আফসানা, রিশা, নিতুর বিচার চেয়ে যখন সারাদেশের মানুষ আন্দোলন করছে ঠিক সেই সময়ে আবারও এক নির্মম নৃশংস ঘটনার জন্ম দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। সারাদেশে আওয়ামীলীগ- ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের বাধাহীন তান্ডব দেশের মানুষ আগেও দেখেছে। মায়ের পেটে শিশু সুমাইয়ার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা মানুষের মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তাদের এহেন আচরণে সরকার বরাবরই নিশ্চুপ থেকেছে। ফলে সমাজবিরোধীরা সমাজে তাদের ভিত শক্ত করছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বদরুল আলমসহ অতীতের সকল নারী শিশু নির্যাতনকারীদের বিচার করে সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তাঁরা দেশের সকল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিবান মানুষকে সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান। 


Majid, Peelkhana Post Office, Dhaka

Monday, October 3, 2016

" ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা যেকোন মূল্যে রামপালসহ জনবিরোধী সকল প্রকল্প প্রতিরোধ করা হবে - "


সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ও দেশের স্বার্থে বিএনপি কোনো কম্প্রোমাইজ  করবে না, কাউকে করতেও দেবে না। এমনকি জনবিরোধী যে কোনো প্রকল্প  করা হলে তা প্রতিরোধ করা হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে  তিনি এসব কথা বলেন। “রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কারিগরি, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ত্রিমাত্রিক বিপত্তি” শীর্ষক এ গোলটেবিল  বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ আমদের প্রয়োজন এ কথা কেউ অস্বীকার করে না। তবে সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়। সুন্দরবনের বিনিময়ে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না। এ সরকার যেহেতেু অবৈধ, জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই এবং সে কারণে জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা না থাকায় এ রকম ক্ষতিকারক প্রকল্প হাতে নিতে পারে। তিনি বলেন, খুলনা শহরের মানুষই ঠিক সেইভাবে কনভিন্সড না যে, তাদের আন্দোলন করার দরকার আছে। রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। শুধু রাস্তায়  নামলে হবে না। এসব এলাকায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদেরকে সচেতন করতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে লিফলেট তৈরি করে বিতরণ ও ছোট ছোট জনসভা করার পরমর্শ দেন ফখরুল। : অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, সরকার অন্য দেশের স্বার্থে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এখন সরকার বাঁধা আছে। কারণ তারা ক্ষমতায় টিকে আছে অনৈতিকভাবে। ভবিষ্যতেও তথাকথিত একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার জন্য কৌশল নির্ধারণ করছে। সে কৌশল নির্ধারণের একটি উপায় হচ্ছে, যারা তাদের এই অনৈতিক কাজটি করতে সাহায্য করেছিল, তাদের স্বার্থকে তারা বজায় রাখছে। রামপাল প্রকল্পকে জনবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপির এই নেতা  বলেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে বিএনপি কখনো আপস করেনি, করবে না। অন্য কাউকেও আপস করতে দেবে না। বিএনপি দেশের জনগণের পক্ষেই সব সময় কাজ করেছে। হয়তো সব সময় সফল হয়নি। কিন্তু বিএনপির আন্তরিকতার অভাব নেই। জনগণকে পাশে নিয়েই বিএনপি সংকট মোকাবিলা করবে। জনবিরোধী যেকোনো প্রকল্প প্রতিরোধ করবে। : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণের স্বার্থে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উচিত হবে রামপালে প্রথম জনসভা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করে কিছু বিকল্প পরামর্শ দেন তিনি । সেগুলো হলো ভুটানের হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা, সোলার বিদ্যুৎ করা বা রামপালে না করে পূর্ব সীমান্তে এই কেন্দ্র স্থাপন করা। : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, এখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো ভারতের দালাল হওয়ার কোনো রকমের প্রতিযোগিতায় আপনাদের নামার দরকার নাই। আর ভারতের  যারা দালাল আছে তারা এমন জায়গায় নিজেদেরকে নামাতে পারে. যা আপনারা চেষ্টা করেও পারবেন না। বরং আপনাদের বাংলাদেশের কন্ঠস্বর হওয়ার চেষ্টা সব সময়ে অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, রামপালের ব্যাপারে আপনারা যে ভূমিকা রেখেছেন, তা আমি প্রশংসা করি। আপনারা কখনোই এ ভূমিকা থেকে বিরত হবেন না। আপনারা ক্ষমতায় যান কি না যান এসব আপনাদের মাথায় রাখার দরকার নাই। যখন দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে। সেখানে আপনাদের সবসময়ে কঠোরভাবে কথা বলতে হবে। : তিনি বলেন, যাদের সন্তানরা এদেশে থাকেন না, লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা বিদেশের মাটিতে আছে। যারা এদেশকে নিয়ে ভাবে না, তারা মনে করেন, আমাদের জেনারেশন এবং তাদের পরের জেনারেশন। বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্র্রের দাসদাসীতে পরিণত হবে। বাংলাদেশ অনুন্নত হবে তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। শুধু মাত্রই তাদের পক্ষেই রামপালের পক্ষে কথা বলা সম্ভব।  অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। : আসিফ নজরুল বলেন, একটি অদ্ভুত কথা বলা হয়Ñ যারা রামপালের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা নাকি ভারত বিরোধী। আমার কথা হচ্ছে বাংলাদেশে সুলতানা কামাল, খুশী কবির, আনু মোহাম্মাদরা যদি ভারত বিরোধী হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে যারা ক্ষমতায় আছেন সেরকম কয়েক শ ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই ভারত বিরোধী। তিনি বলেন, এখানে কোনো যুক্তির্তকের বালাই নাই। ইউনেস্কো থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে সেটাও নাকি ভারত বিরোধীদের মতামতের প্রভাবিত হয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের একটা কথাই বলার আছেÑ রামপাল প্রজেক্টে অর্থনৈতিক, পরিবেশের ক্ষতি হবে। আমার নিজের কাছে মনে হয় রামপাল প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো ক্ষতি না হলে শুধু জুন মাসে কেন ভারতে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির জন্য মহাক্ষেত্র বানানো হয়েছে রামপাল প্রকল্প। এই প্রকল্প নিয়ে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হতে পারে। কেউ কোনো মন্তব্য না করে শেয়ার করলেই তার জন্য জেলের ব্যবস্থা আছে। সরকার বলেÑ এই সরকার উন্নয়নের মূলমন্ত্র। আসলে এই সরকারের মূলমন্ত্র হল দুর্নীতি। : গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাবের  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ন হ আখতার হোসেন। আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন  অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রহুল আমিন গাজী, সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরি এস ইসলাম, ড. সুকোমল বড়–য়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, শিক্ষা সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন। : :

Complementary reproduced from The Daily Dinkal
Majid, Peelkhana Post Office, Dhaka

"বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) প্রেস রিলিজ "

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)
কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটি
২২/ তোপখানা রোড (৬ষ্ঠ তলা) ঢাকা-১০০০। ফোন ফ্যাক্স : ৯৫৭৬৩৭৩

আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে
শুরু হলো ঢাকা-কুড়িগ্রাম রোডমার্চ

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)- এর উদ্যোগে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদ, বাংলাদেশ সরকারের নতজানু নীতি এবং ভারতের আগ্রাসী পানি নীতির বিরুদ্ধে আজ আজ অক্টোবর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রোডমার্চ শুরু হয়েছে। রোডমার্চ শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট পানি নদী বিশেষজ্ঞ . ইনামুল হক, দৈনিক সমকালের সহ-সম্পাদক এবং পানি বিশেষজ্ঞ শেখ রোকন, ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মজহারুল ইসলাম বাবলা

কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বাংলাদেশ নদী দিয়ে গঠিত। ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ-প্রকৃতি এবং তার সাথে যুক্ত দেশের জনগণের ভবিষ্য নির্ভর করছে নদী প্রবাহের উপর। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকার নদী নিয়ে, দেশের পানি সম্পদ নিয়ে কোনো কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করেনি। প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের আগ্রাসী পানি নীতি বহাল রেখেছে স্বাধীনতা পূর্ব এবং তার পরবর্তীতে। ভারত থেকে আসা সবগুলো নদীতেই তারা বাঁধ দিয়েছে। এর আগে পরীক্ষার কথা বলে ফারাক্কা নদীতে তারা বাঁধ দিয়েছিল। ফারাক্কা নদীতে দেয়া বাঁধের কুফল আজও বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছে। বছরে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে এই সর্বনাশা বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে। এবার ভারত সরকার তাদের দেশের পুঁজিপতিদের স্বার্থে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের নামে বাংলাদেশের সর্ববৃহ পানির যোগানদাতা ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা যদি তারা সম্পন্ন করতে পারে তবে তা আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। উত্তরবঙ্গ ক্রমাগত মরুকরণের দিকে যাবে। আমাদের কৃষিজমি-প্রকৃতি-প্রাণ ধ্বংস হয়ে যাবে। 
বন্ধুত্বের কথা বলে ভারত অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট, রামপালে বিদ্যু প্রকল্পসহ অর্থনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্ত ক্ষেত্রগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। অথচ পানিসম্পদের ন্যায্য অধিকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে সরকার ন্যূনতম দায়িত্ববোধেরও পরিচয় দিতে পারেনি। যেখানে খোদ ভারতেরই বড় বড় পরিবেশবিদ বিশেষজ্ঞরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে অথচ বাংলাদেশের সরকার তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারতের সাথে যুক্তিসঙ্গত পানি বন্টন নীতিমালার ভিত্তিতে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারছে না। তাই দেশের ভবিষ্য রক্ষা করতে হলে এই সর্বনাশা মহাপরিকল্পনার বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে।'

. ইনামুল হক বলেন, ‘ভারত যে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের স্বার্থবিরোধী। একইসাথে এটি ভারতেরও ৯৯ শতাংশ মানুষের স্বার্থকে ক্ষুণœ করবে। নদীকে এভাবে শাসন করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। কেননা প্রকৃতিও প্রতিশোধ নেয়।

শেখ রোকন বলেন, ‘নদী নিয়ে ভারতের আগ্রাসী নীতি এবং বাংলাদেশ সরকারের অবহেলার প্রতিবাদে যে আন্দোলন এই রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শুরু হলো তা আগামী দিনে রাজনীতির নতুন মেরুকরণ ঘটাতে পারে। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প ভারত সরকার কেবল পরিকল্পনাই করেনি, তা সম্পাদনের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। এই প্রকল্প যদি বাস্তবায়িত হয় তবে তা বাংলাদেশের জন্য ডেকে আনবে ভয়াবহ পরিণতি। সময় থাকতেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। এই আন্দোলন হলো সর্বব্যাপক, তাই দেশপ্রেমিক-প্রগতিশীল সকল মানুষ সংগঠনকে এই লড়াইয়ে শামিল হতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান পর্যন্ত যাবার পরিকল্পনা থাকলেও প্রতিকূল প্রাকৃতিক অবস্থার কারণে হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারার এসে শেষ হয়। এরপর রোডমার্চের নেতা-কর্মীরা বাসযোগে যাত্রা শুরু করেন। আজ বিকেলে রোডমার্চ বগুড়ার শেরপুরে পথসভা এবং সাতমাথায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। এরপর রোডমার্চ আগামী , , অক্টোবর যথাক্রমে গাইবান্ধা, রংপুর কুড়িগ্রামে গিয়ে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে মিলিত হবে।  


Majid, Peelkhana, Dhaka