বিবৃতি
মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রতারণা ও সাইবার ক্রাইম বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই
মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রতারণা ও সাইবার ক্রাইম বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই
দেশে মুঠোফোন
ভিত্তিক সন্ত্রাসী,
হয়রানি, চাঁদাবাজি ও
মিথ্যা প্রলোভনে ফেলে
সর্বশান্ত করা
বন্ধ করতেই গত
১৫ ডিসেম্বর-২০১৫
তারিখ থেকে সারা
দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে
সিম নিবন্ধন কার্যক্রম
শুরু হয়। যার
কার্যক্রম প্রথমে
৩০ এপ্রিল ও
পরে সময় বর্ধিত
করে ৩১ মে
পর্যন্ত করা
হয়। এ কার্যক্রম
শুরুর থেকেই আমরা
এ কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ
শুরু করি। সেখানে
লক্ষ্য করি যে,
গ্রাহকদেরকে হয়রানি,
অতিরিক্ত অর্থ
আদায় এবং একজনের
আঙ্গুলের ছাপ
দিয়ে অন্য অনেক
অনিবন্ধিত সিম
নিবন্ধন করা
হচ্ছে। এ নিয়ে
আমরা বিভিন্ন সময়
সংবাদ সম্মেলন বিবৃতি,
সেমিনার ও
স্মারকলিপি প্রদান
করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
কমিশনকে অবহিত
করেছিলাম। যা
দেশের বহুল আলোচিত
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত
হয়েছে এবং স্বয়ং
মন্ত্রীও অভিযোগগুলি
স্বীকার করে
এ নিয়ে তদন্ত
কমিটি গঠন করার
কথা। কিন্তু বাস্তবে
এ সকল তদন্ত
কমিটি বা মনিটরিং
সেল কোনটিই করা
হয় নি। পরবর্তীতে
আমরা এ নিয়ে
উদ্যোগ প্রকাশ করি
এবং এক বিবৃতিতে
আমরা উল্লেখ করি
যে, এ বায়োমেট্রিক
পদ্ধতির জালিয়াতি
ভবিষ্যতে জাতিকে
ভোগাবে। যা
দেশের অনেক দৈনিক
পত্রিকা সমূহে
হেড লাইন আকারে
প্রকাশ করে। কিন্তু
তাতেও এর কোন
সুরাহ্ বা সঠিক
তদন্ত না হবার
ফলে স্বয়ং টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশনের
নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন
গ্রাহককে ফোন
করে পিন নাম্বার,
গোপন তথ্য, ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট জেনে
নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত
করে। পরবর্তীতে বিটিআরসি
শুধুমাত্র পত্র-পত্রিকায় সর্তকতা
বাণী দিয়ে দায়
সারেন। গত মাস
দু এক যাবৎ
গ্রাহকদের মোবাইলে
বিভিন্ন ধরনের
বিশাল অঙ্কের লটারি
প্রাপ্তির প্রলোভন
দিয়ে আসছে এক
শ্রেণির প্রতারক।
যার অনেক ম্যাসেজ
এসেছে ইন্টারনেট বা
মুঠোফোনের মাধ্যমে।
গত ১লা ডিসেম্বর
আমার মোবাইলে +০০-০১৯৯৫৫৮৬৮৭১ থেকে
রাত্রে ১১.১৩
মিনিটে একটি ম্যাসেজ
আসে। যাতে লিখা
ছিল ............................
এর পূর্বেও বিভিন্ন
ধরনের অফার দিয়ে
ম্যাসেজ ও
ফোন করে অফার
দিয়েছিল। যে
অভিযোগ আমি নিজেই
বিটিআরসিতে দিয়েছিলাম।
কিন্তু এর কোন
প্রতিকার পাওয়া
যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান
থেকে। যার ফলে
এসকল অপরাধী দেশের
সাধারণ গ্রাহকদের প্রতারণার
ফাঁদে ফেলে কোটি
কোটি টাকা আত্মসাৎ
করছে। এই প্রতারক
চক্রটির অর্থ
লেনদেনের সহজ
পথ করে দিয়েছে
বিকাশ। এই আর্থিক
প্রতিষ্ঠানের বিন্দুমাত্র
জবাবদিহিতা না
থাকায় দিনের পর
দিন রাষ্ট্রের কোটি
কোটি টাকা লুটপাট
করলেও যেন দেখার
কেউ নেই। একমাত্র
র্যাপিড অ্যাকশন
বেটালিয়ান র্যাব মাঝে মাঝে
কিছু অভিযান পরিচালনা
করে কিছু বিদেশী
চক্র ও তাদের
সহযোগী দেশীয় চক্রকে
আটক করতে সক্ষম
হয়। কিন্তু যাদের
উপর এ তথ্য
প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ
করার সক্ষমতা ছিল
তারা কিছুই করতে
পাচ্ছে না। যা
অত্যন্ত দুঃখজনক।
অন্যদিকে ফেসবুকে
যেহেতু ফ্যাক আইডি
খোলা সহজ তাই
এর মাধ্যমেও ভয়াবহ
অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে।
যেমনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাসির
নগরের ঘটনা অন্যতম।
অনেকের অজান্তেই বিভিন্ন
অসামাজিক ছবি
ডাউনলোড করে
ফেসবুক বা ইউটিউব
এ ছেড়ে দিচ্ছে।
যার পরিণাম অনেক
তরুন-তরুনি আত্মহত্যা
পর্যন্ত করছে।
গত ৬ মাসে
এ ধরনের অভিযোগ
বিটিআরসিতে জমা
পড়েছে প্রায় ১
হাজার ১শত ৩টি।
অপারেটর গ্রাহকদের সাথে অপারেটররা বিভিন্ন সেবা দেওয়ার নামে যে প্রতারণা করে থাকে তাও এক ধরনের সাইবার ক্রাইম বলে আমরা মনে করি। গত ৬ মাসে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সংক্রান্ত ৭ হাজার ৫শত ৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গত অক্টোবরেও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৩৮৬টি। প্রকৃত পক্ষে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ এ পরিস্থিতির স্বীকার। গ্রাহকেরা জানে না বা ঝামেলায় জড়াতে চায় না বলেই অভিযোগ দায়েল করতে চায় না। অচিরেই এ সকল সাইবার অপরাধ বন্ধ না করা গেলে ভবিষ্যতে জাতি সত্যিকার অর্থেই এক মহা সংকটে পতিত হবে।
ধন্যবাদান্তে,
(মহিউদ্দীন আহমেদ)
সভাপতি
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন
অপারেটর গ্রাহকদের সাথে অপারেটররা বিভিন্ন সেবা দেওয়ার নামে যে প্রতারণা করে থাকে তাও এক ধরনের সাইবার ক্রাইম বলে আমরা মনে করি। গত ৬ মাসে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা সংক্রান্ত ৭ হাজার ৫শত ৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গত অক্টোবরেও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৩৮৬টি। প্রকৃত পক্ষে দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ এ পরিস্থিতির স্বীকার। গ্রাহকেরা জানে না বা ঝামেলায় জড়াতে চায় না বলেই অভিযোগ দায়েল করতে চায় না। অচিরেই এ সকল সাইবার অপরাধ বন্ধ না করা গেলে ভবিষ্যতে জাতি সত্যিকার অর্থেই এক মহা সংকটে পতিত হবে।
ধন্যবাদান্তে,
(মহিউদ্দীন আহমেদ)
সভাপতি
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন