প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক/প্রকাশক/মুদ্রাকর : ইশফাকুল মজিদ সম্পাদনা নির্বাহী /প্রকাশক : মামুনুল মজিদ lপ্রতিষ্ঠা:১৯৯৩(মার্চ),ডিএ:৬১২৫ lসম্পাদনা ঠিকানা : ৩৮ এনায়েতগঞ্জ আবু আর্ট প্রেস পিলখানা ১ নং গেট,লালবাগ, ঢাকা ] lপ্রেস : ইস্টার্ন কমেরসিএল সার্ভিসেস , ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি - ৮/৪-এ তোপখানা ঢাকাl##সম্পাদনা নির্বাহী সাবেক সংবাদ সংস্থা ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সী বিশেষসংবাদদাতা,দৈনিক দেশ বাংলা
http://themonthlymuktidooth.blogspot.com
Saturday, August 10, 2019
দেশবাসীকে জাসদের ঈদের শুভেচ্ছা
দেশবাসীকে জাসদের ঈদের শুভেচ্ছা
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ এক শুভেচ্ছা বার্তায়, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশের মুসলমান সমাজসহ বিশ্ব মুসলমান সমাজকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তারা বলেন, ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষাকে ধারণ করে মানবতার সেবায় ত্যাগের মধ্য দিয়েই ঈদুল আজহা পালন স্বার্থকতা লাভ করবে।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন
Friday, August 9, 2019
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র চাচী গুলশান আরার ইন্তেকাল
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র চাচী গুলশান আরার ইন্তেকাল
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র চাচী, শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আনোয়ারের স্ত্রী গুলশান আরা আজ ৯ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার ভোর ৫ টায় ঢাকার উত্তরাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না.....রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি ৩ কন্যা, ১ পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল ১০ আগস্ট ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ভূইয়া পাড়া জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হবে।
জাসদের শোক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি আজ এক শোক বার্তায় জাসদ সধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র চাচী, শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আনোয়ারের স্ত্রী গুলশান আরা’র মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন সহ-দফতর সম্পাদক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র চাচী, শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আনোয়ারের স্ত্রী গুলশান আরা আজ ৯ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার ভোর ৫ টায় ঢাকার উত্তরাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না.....রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি ৩ কন্যা, ১ পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল ১০ আগস্ট ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ভূইয়া পাড়া জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন কাজ সম্পন্ন হবে।
জাসদের শোক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি আজ এক শোক বার্তায় জাসদ সধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র চাচী, শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আনোয়ারের স্ত্রী গুলশান আরা’র মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন সহ-দফতর সম্পাদক
Thursday, August 8, 2019
নিরংকার নির্লোভ একজন খাটি বাঙালি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব রেনুর হত্যাকারী মোস্তাক জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবী....................লায়ন গণি মিয়া বাবুল
নিরংকার নির্লোভ একজন খাটি বাঙালি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব রেনুর হত্যাকারী মোস্তাক জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবী....................লায়ন গণি মিয়া বাবুল
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা নির্লভ নিরংকার দেশপ্রেমিক খাটি বাঙালি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মজিব রেনুর ৮৯তম জন্মবার্ষিকতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আজ ৮ আগস্ট ২০১৯ বিকাল ৪.৩০ তোপখানা রোডে সাংবাদিক নির্মলসেন মিলনায়তন, ঢাকা।
সভাপতিত্ব করবেন ঃ বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি- এম এ জলিল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল।
বক্তব্য রাখেন-ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শেখ শাহে আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ নেতা আ সম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবুল আহাদ দীপু মীর,জাগো গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, নারী নেত্রী কবি এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম ও দপ্তর সম্পাদক কামাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মজিব রেনু ছিলেন সর্বগুনে গুনাম্বিত একজন মানবিক মহিলা। তিনি তার স্বামীকে মানবিক দৃষ্টিকোণে দেখেছেন। সেই গুনাবলী হলো বঙ্গবন্ধু বাঙালিদেরকে ভালোবাসতেন, দেশের জন কল্যাণে কাজ করেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও বঙ্গবন্ধু মানুষ সেবা থেকে বিরত থাকেন নি। এইসব গুনের একই রকম গুনাম্বিত ছিলেন বেগম মুজিব। তার দুইটি উদাহরণ আগরতলা অভিযুক্ত মামলা ও ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জড়িয়ে যখন হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো তাতেও তিনি ভীত হন নাই। অন্যায়ের কাছে মাথানত করেন নাই। সত্য ও ন্যায়ের পথে কাজ করেছেন। তার ফলেই বঙ্গবন্ধু নেতা হওয়ার একজন ভালো সহযোগি পেয়েছিলেন তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। যখন বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮সন থেকে ভাষা আন্দোলনের জন্য সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের জন্য বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬ দফা পেশ করার জন্য ইহার পর আগরতলা অভিযুক্ত মামলা এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই সকল সময়ে বেগম মুজিব ছিলেন নিবেদিত মানবতার পক্ষে বাঙালিদের পক্ষে এই জন্য তার কাছে বাঙালি জাতি চিরকৃতজ্ঞ। এই মহিয়সী নারীকে ১৯৭৫ সালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এই হত্যাকারী মোস্তাক জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবী করছি। আমরা যদি এই বিচার করতে পারি তবেই স্বার্থক এই আলোচনা সভা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা নির্লভ নিরংকার দেশপ্রেমিক খাটি বাঙালি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মজিব রেনুর ৮৯তম জন্মবার্ষিকতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আজ ৮ আগস্ট ২০১৯ বিকাল ৪.৩০ তোপখানা রোডে সাংবাদিক নির্মলসেন মিলনায়তন, ঢাকা।
সভাপতিত্ব করবেন ঃ বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি- এম এ জলিল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল।
বক্তব্য রাখেন-ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শেখ শাহে আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ নেতা আ সম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবুল আহাদ দীপু মীর,জাগো গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, নারী নেত্রী কবি এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম ও দপ্তর সম্পাদক কামাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মজিব রেনু ছিলেন সর্বগুনে গুনাম্বিত একজন মানবিক মহিলা। তিনি তার স্বামীকে মানবিক দৃষ্টিকোণে দেখেছেন। সেই গুনাবলী হলো বঙ্গবন্ধু বাঙালিদেরকে ভালোবাসতেন, দেশের জন কল্যাণে কাজ করেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও বঙ্গবন্ধু মানুষ সেবা থেকে বিরত থাকেন নি। এইসব গুনের একই রকম গুনাম্বিত ছিলেন বেগম মুজিব। তার দুইটি উদাহরণ আগরতলা অভিযুক্ত মামলা ও ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জড়িয়ে যখন হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো তাতেও তিনি ভীত হন নাই। অন্যায়ের কাছে মাথানত করেন নাই। সত্য ও ন্যায়ের পথে কাজ করেছেন। তার ফলেই বঙ্গবন্ধু নেতা হওয়ার একজন ভালো সহযোগি পেয়েছিলেন তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। যখন বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮সন থেকে ভাষা আন্দোলনের জন্য সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের জন্য বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬ দফা পেশ করার জন্য ইহার পর আগরতলা অভিযুক্ত মামলা এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই সকল সময়ে বেগম মুজিব ছিলেন নিবেদিত মানবতার পক্ষে বাঙালিদের পক্ষে এই জন্য তার কাছে বাঙালি জাতি চিরকৃতজ্ঞ। এই মহিয়সী নারীকে ১৯৭৫ সালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এই হত্যাকারী মোস্তাক জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবী করছি। আমরা যদি এই বিচার করতে পারি তবেই স্বার্থক এই আলোচনা সভা।
Wednesday, August 7, 2019
স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেগম মুজিব প্রথম সারির সংগঠক ও সাহসী নারী। ....এম এ জলিল
স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেগম মুজিব প্রথম সারির সংগঠক ও সাহসী নারী।
....এম এ জলিল
তিকন বুদ্ধির অধিকারী নির্লোভ নিরাহংকার সাহসী প্রজ্ঞা পান্ডিত্বের অধিকারী মহয়ষী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেনু। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জন্ম গ্রহণ করেছিলেন গোপালগঞ্জের টংগীপাড়ায় ৮ই আগস্ট ১৯৩০ খ্রিঃ। বেগম মুজিবের বয়স যখন তিন-পাঁচ বছর সেই মূহুর্তে তার মাতা-পিতা মারা যান। এই এতিম ছোট বাচ্চাকে তার নানা শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা মাকে বলেন, তোমাদের ছেলে মুজিবের কাছে আমার নাতনী রেনুকে বিবাহ দিতে চাই। শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা মা এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ফজিলাতুন্নেছা রেনুকে শেখ মজিবুর রহমানের সাথে বিয়ে পরিয়ে দেন। এই কথাগুলো বললাম এই জন্য যে, অতি অল্প বয়সে স্বামী ভক্ত হন এবং স্বামীকে তার চলার পথে বুদ্ধি ও সাহস যুগিয়েছেন। ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সাল পাক-ভারত মহাদেশ ভাগ হয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে একটি পাকিস্তান ও একটি হিন্দুস্থান দুইটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এই পাকিস্তান জন্মের পিছনে বাঙালিদের অবদান ছিল বেশী। সেই পাকিস্তানের তথাকথিত জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে প্রথম দিকে ঢাকা সফর করেন। সেই সফরের সময় জিন্নাহ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কার্জন হলে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) দুইটি বক্তব্য দেন। প্রতিটি বক্তবেই জিন্নাহ বাঙালিদের মাতৃভাষার পরিবর্তে উর্দূ ভাষাকে বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছিলো। কিন্তু দুইটি সভায়ই শেখ মুজিবুর রহমান জিন্নাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন তার সহযোগিদের নিয়ে। ইহার পরও পাকিস্তানে জিন্নাহর বক্তরা থেমে থাকে নেই। তারা বাংলা ভাষাকে মেনে নিতে পারে নাই এবং বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে কাজ করতে ছিলেন। সেই মূহুর্তে বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে ১১ই মার্চ ১৯৪৮ সাল শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিক বাহাউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সচিবালয় ঘেরাও করেন। ঐ ঘেরাউর দিন শেখ মুজিবুর রহমান ও বাহাউদ্দিন চৌধুরীসহ প্রায় দেড়শতাধিক আন্দোলনকারী ছাত্র যুবকে গ্রেফতার করেন। পুলিশের লাঠি পিটায় বাহাউদ্দিন চৌধুরী হাত ভেঙ্গে যায়। বন্দী অবস্থায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শেখ রহমানের কাছে চিঠি লিখেন। বেগম মুজিব সেই চিঠিতে লিখেন আপনি আপনার রাজনীতির কাজ চালিয়ে যান। আমাদের জন্য কোন চিন্তা করবেন না। আমরা ভালো আছি। আমার শ^শুর বাবা (শেখ লুৎফর রহমান) আমাদের খোঁজখবর রাখছেন। কোন অসুবিধা নেই। ইহাতেই প্রমাণ হয় তিনি কত সাহসী নারী। পরবর্তীতে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাষন শোষণ নির্যাতন অর্থনৈতিক বৈষ্যম্যের কারণে ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬সালে পাকিস্তানের লাহোরে বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এই ৬দফা উত্থাপনের পর পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব শাহী বার বার বা দুইদনি চারদিন পরপরই শেখ মুজিবুর রহমান কে গ্রেফতার করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বেগম মুজিবকে শেখ মুজিবের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি করতে পারে নাই। পাকিস্তান সরকারের কোন অসৎ শক্তি। ৬দফা ঘোষণার পর আতাউর রহমান, এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাদী আওয়ামীলীগ থেকে বের হয়ে যান। এই ৬দফা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গ্রহণ করার জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গ্রহণ করিয়াছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৬দফাটি উত্থাপন করেন তখনকার ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন চৌধুরী। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে শেখ মুজিবুর রহমানকে ১নং আসামী ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২য় আসামী করে আগরতলা অভিযুক্ত মামলা হয়। এই মামলার যখন ঢাকা সেনানিবাসে বিচার চলছিলো, তখন ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সালে ঢাকা সেনানিবাসে অভিযুক্ত দুইজন আসামীকে গুলি করে। মিথ্যা কথা বলে যে তারা পালিয়ে যেতে চেয়েছিলো। ইহাতে সার্জেন্ট জহুরুল হক মুত্যুবরণ করেন ও সার্জেন্ট ফজলুল হক চিকিৎসায় বেঁচে যান। সেই মূহুর্তে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনেম ও তার পান্ডারা প্রচার করতে ছিলো শেখ মুজিবকে ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ফাঁসি দেওয়া হবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না। এই সব প্রচারে বেগম মুজিব বিচলিত হন নাই। তিনি সাহসের সাথে প্রজ্ঞা পান্ডিত্য বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বাঙালিদের শ্রমিক কৃষক ছাত্র জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাদেরকে টাকা পয়সা দিয়েও উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং ৬৯এ ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে আইউব শাহী শেখ মুজিবর রহমানকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে আইউব শাহীর সাথে সংলাপ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম মুজিবের সাহস ও বুদ্ধিমত্তার কাছে আইউব শাহী পরাজিত হয়েছেন। বেগম মুজিব বলেছিলেন প্যারোলের মাধ্যমে কোন সংলাপ হবে। একমাত্র মুক্তির মাধ্যমেই সংলাপ হবে। তার ফলস্বরূফ ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে আউয়ুব শাহী ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তার সাথে আগরতলা অভিযুক্ত মামলার সকল আসামীরাই মুক্তিলাভ করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সাল সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি জননেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভুষিত করেন। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়। সামরিক শাসক ইয়াহিয়া তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের নির্বাচনে পূব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন। এই বিজয়ী দলের নেতা হলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেনুর স্বামী বাংলাদেশের অবিসাংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু পাকিস্তানী সামরিক শাসক ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর কাছে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা না দিয়ে ২৫ মার্চ ১৯৭১ বাঙালি নিরস্ত্র জনগণের উপর সশস্ত্র আক্রমন চালায় এবং বাঙালিদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে নেন। এবং রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে বিচার আরম্ভ করেন। সেই সময়েও বেগম মুজিব এর কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতো মুজিবকে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতে বলো নইলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। ইহাতেও বেগম মুজিব সাহসের সাথে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রতিবাদ করেছে এবং তাদের কথায় কান দেন নাই। ইহাতেই বুঝা যায় বেগম মুজিবের কতবড় সাহস এবং তিনি যে একজন তিকনো বুদ্ধির অধিকারী মহসী নারী তার প্রমাণ হয়। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে ৭ই মার্চ ১৯৭১সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের সামনে বক্তৃতা দেওয়া জন্য সেই সময় ৩২ নম্বরের বাসায় দুপুর বেলা পায়চারি করতে ছিলো এবং চিন্তিত ছিলেন। তখন বেগম মুজিব বলেছেন, আপনি যেভাবে বাঙালিদের ভালোবাসেন এবং বাঙালিরাও আপনাকে ভালোবাসে। সেই ভালবাসারই বক্তব্য দিতে হবে। কেউর কথায় কোন কান দিবেন না। বেগম মুজিব যে একজন বুদ্ধিমতি নারী তার প্রমাণও তিনি রেখেছেন। বেগম মুজিবের কাছে কো হিসংসা বিদ্বেশ ছিলো না। তিনি কে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান উপজাতী বা মুসলমান তার কাছে সবাই সমান অধিকার পেয়েছেন, ভালোবাসা পেয়েছেন। বাসায় মাছ-ভাত খাওয়াইয়েছেন। আমরা বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য বেগম মুজিবের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এই মহিয়সী নারীকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তার স্বামী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার দেবর শেখ নাছের, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং দুইপুত্র বধু সহ ৩২ নাম্বারের বাড়ীতে ও মিন্টু রোডে তার ননদ জামাই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী পরিষদের অন্যতম সদস্য আব্দুর রব ছেরনিয়াবাত সহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং গুলশানে তার ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি ও শেখ মণির স্ত্রী আরজু মণিকে মোস্তাক জিয়া গংরা নির্মমভাবে হত্যা করে। আমরা আজকে মরনোত্তর মোস্তাক জিয়ার বিচারের দাবী করছি। আজ ৮ আগস্ট ২০১৯ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। লেখক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ।
....এম এ জলিল
তিকন বুদ্ধির অধিকারী নির্লোভ নিরাহংকার সাহসী প্রজ্ঞা পান্ডিত্বের অধিকারী মহয়ষী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেনু। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জন্ম গ্রহণ করেছিলেন গোপালগঞ্জের টংগীপাড়ায় ৮ই আগস্ট ১৯৩০ খ্রিঃ। বেগম মুজিবের বয়স যখন তিন-পাঁচ বছর সেই মূহুর্তে তার মাতা-পিতা মারা যান। এই এতিম ছোট বাচ্চাকে তার নানা শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা মাকে বলেন, তোমাদের ছেলে মুজিবের কাছে আমার নাতনী রেনুকে বিবাহ দিতে চাই। শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা মা এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ফজিলাতুন্নেছা রেনুকে শেখ মজিবুর রহমানের সাথে বিয়ে পরিয়ে দেন। এই কথাগুলো বললাম এই জন্য যে, অতি অল্প বয়সে স্বামী ভক্ত হন এবং স্বামীকে তার চলার পথে বুদ্ধি ও সাহস যুগিয়েছেন। ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সাল পাক-ভারত মহাদেশ ভাগ হয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে একটি পাকিস্তান ও একটি হিন্দুস্থান দুইটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এই পাকিস্তান জন্মের পিছনে বাঙালিদের অবদান ছিল বেশী। সেই পাকিস্তানের তথাকথিত জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে প্রথম দিকে ঢাকা সফর করেন। সেই সফরের সময় জিন্নাহ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কার্জন হলে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) দুইটি বক্তব্য দেন। প্রতিটি বক্তবেই জিন্নাহ বাঙালিদের মাতৃভাষার পরিবর্তে উর্দূ ভাষাকে বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছিলো। কিন্তু দুইটি সভায়ই শেখ মুজিবুর রহমান জিন্নাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন তার সহযোগিদের নিয়ে। ইহার পরও পাকিস্তানে জিন্নাহর বক্তরা থেমে থাকে নেই। তারা বাংলা ভাষাকে মেনে নিতে পারে নাই এবং বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে কাজ করতে ছিলেন। সেই মূহুর্তে বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে ১১ই মার্চ ১৯৪৮ সাল শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিক বাহাউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সচিবালয় ঘেরাও করেন। ঐ ঘেরাউর দিন শেখ মুজিবুর রহমান ও বাহাউদ্দিন চৌধুরীসহ প্রায় দেড়শতাধিক আন্দোলনকারী ছাত্র যুবকে গ্রেফতার করেন। পুলিশের লাঠি পিটায় বাহাউদ্দিন চৌধুরী হাত ভেঙ্গে যায়। বন্দী অবস্থায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শেখ রহমানের কাছে চিঠি লিখেন। বেগম মুজিব সেই চিঠিতে লিখেন আপনি আপনার রাজনীতির কাজ চালিয়ে যান। আমাদের জন্য কোন চিন্তা করবেন না। আমরা ভালো আছি। আমার শ^শুর বাবা (শেখ লুৎফর রহমান) আমাদের খোঁজখবর রাখছেন। কোন অসুবিধা নেই। ইহাতেই প্রমাণ হয় তিনি কত সাহসী নারী। পরবর্তীতে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাষন শোষণ নির্যাতন অর্থনৈতিক বৈষ্যম্যের কারণে ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬সালে পাকিস্তানের লাহোরে বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এই ৬দফা উত্থাপনের পর পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব শাহী বার বার বা দুইদনি চারদিন পরপরই শেখ মুজিবুর রহমান কে গ্রেফতার করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বেগম মুজিবকে শেখ মুজিবের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি করতে পারে নাই। পাকিস্তান সরকারের কোন অসৎ শক্তি। ৬দফা ঘোষণার পর আতাউর রহমান, এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাদী আওয়ামীলীগ থেকে বের হয়ে যান। এই ৬দফা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গ্রহণ করার জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গ্রহণ করিয়াছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৬দফাটি উত্থাপন করেন তখনকার ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন চৌধুরী। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে শেখ মুজিবুর রহমানকে ১নং আসামী ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২য় আসামী করে আগরতলা অভিযুক্ত মামলা হয়। এই মামলার যখন ঢাকা সেনানিবাসে বিচার চলছিলো, তখন ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সালে ঢাকা সেনানিবাসে অভিযুক্ত দুইজন আসামীকে গুলি করে। মিথ্যা কথা বলে যে তারা পালিয়ে যেতে চেয়েছিলো। ইহাতে সার্জেন্ট জহুরুল হক মুত্যুবরণ করেন ও সার্জেন্ট ফজলুল হক চিকিৎসায় বেঁচে যান। সেই মূহুর্তে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনেম ও তার পান্ডারা প্রচার করতে ছিলো শেখ মুজিবকে ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ফাঁসি দেওয়া হবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না। এই সব প্রচারে বেগম মুজিব বিচলিত হন নাই। তিনি সাহসের সাথে প্রজ্ঞা পান্ডিত্য বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বাঙালিদের শ্রমিক কৃষক ছাত্র জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাদেরকে টাকা পয়সা দিয়েও উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং ৬৯এ ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে আইউব শাহী শেখ মুজিবর রহমানকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে আইউব শাহীর সাথে সংলাপ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম মুজিবের সাহস ও বুদ্ধিমত্তার কাছে আইউব শাহী পরাজিত হয়েছেন। বেগম মুজিব বলেছিলেন প্যারোলের মাধ্যমে কোন সংলাপ হবে। একমাত্র মুক্তির মাধ্যমেই সংলাপ হবে। তার ফলস্বরূফ ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে আউয়ুব শাহী ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তার সাথে আগরতলা অভিযুক্ত মামলার সকল আসামীরাই মুক্তিলাভ করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সাল সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি জননেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভুষিত করেন। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়। সামরিক শাসক ইয়াহিয়া তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের নির্বাচনে পূব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন। এই বিজয়ী দলের নেতা হলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেনুর স্বামী বাংলাদেশের অবিসাংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু পাকিস্তানী সামরিক শাসক ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর কাছে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা না দিয়ে ২৫ মার্চ ১৯৭১ বাঙালি নিরস্ত্র জনগণের উপর সশস্ত্র আক্রমন চালায় এবং বাঙালিদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে নেন। এবং রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দিয়ে বিচার আরম্ভ করেন। সেই সময়েও বেগম মুজিব এর কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতো মুজিবকে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতে বলো নইলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। ইহাতেও বেগম মুজিব সাহসের সাথে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রতিবাদ করেছে এবং তাদের কথায় কান দেন নাই। ইহাতেই বুঝা যায় বেগম মুজিবের কতবড় সাহস এবং তিনি যে একজন তিকনো বুদ্ধির অধিকারী মহসী নারী তার প্রমাণ হয়। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে ৭ই মার্চ ১৯৭১সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের সামনে বক্তৃতা দেওয়া জন্য সেই সময় ৩২ নম্বরের বাসায় দুপুর বেলা পায়চারি করতে ছিলো এবং চিন্তিত ছিলেন। তখন বেগম মুজিব বলেছেন, আপনি যেভাবে বাঙালিদের ভালোবাসেন এবং বাঙালিরাও আপনাকে ভালোবাসে। সেই ভালবাসারই বক্তব্য দিতে হবে। কেউর কথায় কোন কান দিবেন না। বেগম মুজিব যে একজন বুদ্ধিমতি নারী তার প্রমাণও তিনি রেখেছেন। বেগম মুজিবের কাছে কো হিসংসা বিদ্বেশ ছিলো না। তিনি কে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান উপজাতী বা মুসলমান তার কাছে সবাই সমান অধিকার পেয়েছেন, ভালোবাসা পেয়েছেন। বাসায় মাছ-ভাত খাওয়াইয়েছেন। আমরা বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য বেগম মুজিবের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এই মহিয়সী নারীকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তার স্বামী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার দেবর শেখ নাছের, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং দুইপুত্র বধু সহ ৩২ নাম্বারের বাড়ীতে ও মিন্টু রোডে তার ননদ জামাই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী পরিষদের অন্যতম সদস্য আব্দুর রব ছেরনিয়াবাত সহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং গুলশানে তার ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি ও শেখ মণির স্ত্রী আরজু মণিকে মোস্তাক জিয়া গংরা নির্মমভাবে হত্যা করে। আমরা আজকে মরনোত্তর মোস্তাক জিয়ার বিচারের দাবী করছি। আজ ৮ আগস্ট ২০১৯ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। লেখক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক লীগ
evsjv‡`k RvZxq MYZvwš¿K jxM
evox- 13/5, †ivW- 13,
Kj¨vYcyi, XvKv-1207,
m~Ît ZvwiLt 07/08/2019Bs
e½gvZv †eMg dwRjvZz‡bœQv
gywR‡ei 89 Zg Rb¥evwl©Kx‡Z Av‡jvPbv mfv
8 AvM÷ 2019 weKvj 4.30
mvsevw`K wbg©j‡mb wgjbvqZb †ZvcLvbv †ivW XvKv
me©Kv‡ji me©‡kÖô evOvwj RvwZi RbK e½eÜz †kL
gywReyi ingv‡bi mnawg©bx e½gvZv †eMg dwRjvZz‡bœQv gywRe ‡ibyi 89Zg Rb¥evwl©Kx‡Z
GK Av‡jvPbv mfvi Av‡qvRb K‡i‡Q evsjv‡`k RvZxq MYZvwš¿K jxM 8 AvM÷ 2019 weKvj
4.30 mvsevw`K wbg©j‡mb wgjbvqZb †ZvcLvbv †ivW XvKv| Avcwb Avgwš¿Z|
Av‡jvPbv mfvq cÖavb AwZw_t
BwZnvmwe` wmivR DÏxb Avn‡g`, mv‡eK mwPe
wewb‡qvM †ev‡W©i †Pqvig¨vb I wcGmwmÕi m`m¨
we‡kl AwZw_t
G¨vW.
KvRx Gg mvRvIqvi †nv‡mb, mv‡eK mn mfvcwZ,
mycÖxg †KvU© AvBbxRxex mwgwZ
jvqb Mwb
wgqv eveyj, mfvcwZ, e½eÜz M‡elYv cwil`
†kL kv‡n
Avjg, mfvcwZ, e½gvZv mvs¯‹…wZK †RvU
Kwe bvwn` †ivKmvbv, mfvcwZ, evsjv‡`k KweZv msm`
Av m g †gv¯Ídv Kvgvj, XvKv gnvbMi DËi AvIqvgx jxM †bZv
ûgvqyb Kwei, evsjv‡`k Rvm` †bZv
mfvcwZZ¡ Ki‡eb t Gg
G Rwjj, mfvcwZ-evsjv‡`k RvZxq MYZvwš¿K jxM
ab¨ev`v‡šÍ
G¨vW.
dvinvbv Bqvmwgb gwb
hyM¥
mvaviY m¤úv`K
evsjv‡`k
RvZxq MYZvwš¿K jxM
আগামীকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ জাসদ কার্য ালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমাবেশ
সহমর্মীষু,
সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানবেন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত রাখা ও ডেঙ্গু মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার বিষয়ে ১৪ দল আগামীকাল ৮ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায়, জিপিও’র সামনে ৩৫-৩৬, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাসদ কার্যালয়ের সামনে সচেতনতামূলক সমাবেশ করবে। এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এমপি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান এমপিসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানবেন। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত রাখা ও ডেঙ্গু মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার বিষয়ে ১৪ দল আগামীকাল ৮ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায়, জিপিও’র সামনে ৩৫-৩৬, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাসদ কার্যালয়ের সামনে সচেতনতামূলক সমাবেশ করবে। এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এমপি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান এমপিসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
সাজ্জাদ হোসেন
সহ-দফতর সম্পাদক
সহ-দফতর সম্পাদক
Tuesday, August 6, 2019
Sunday, August 4, 2019
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রেস রিলিজ
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জাসদের সংবাদ সম্মেলন
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নগরীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে। সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন দলের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি। কেন ডেঙ্গুকে জাতীয় বিপদ, দুর্যোগ হিসাবে চিহ্নিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করছেনÑ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে জনাব হাসানুল হক ইনু বলেন, যেহেতু ডেঙ্গুর ব্যাপকতা বেড়েছে, ডেঙ্গু ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পরেছে, যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রলম্বিত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে, যেহেতু আগাম সতর্কতার পরও ডেঙ্গু মোকাবেলার প্রস্তুতি ও সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে তাই শুধুমাত্র ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের উপরে দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলায় এই জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল গঠণ করা সময়ের দাবি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে জনাব ইনু বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত যতটুকু হয়েছে তা যথেষ্ট নয় সমন্বিতও নয়। ভিন্ন এক প্রশ্নের জবাবে জনাব ইনু বলেন, ঢাকা দুই মেয়রকে পদত্যাগ করানোর চাইতেও এখন জরুরি গাফিলতি ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে কাজ করা।
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখাতর, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. হাবিবুর রহমান শওকত, নুরুল আকতার, সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য:
ডেঙ্গুর প্রকোপকে জাতীয় দুর্যোগ এবং ঢাকাসহ সংলগ্ন অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য
১ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১ টা, শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তন
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ,
আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের স্বল্প সময়ের আমন্ত্রণে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হবার জন্য আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ,
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় সব জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিনেদিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলা গুলোতে ডেঙ্গুতে মানুষের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। খোদ রাজধানীতেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ও হিমশিম অবস্থা চলছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামর্থ্যরে অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঢাকায় এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধে এখনো কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং এ ক্ষেত্রে গাফিলতি ও ব্যর্থতা এখনো কাটিয়ে উঠেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষের বিপদকে পুজি করে কিছু বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার নামে ডাকাতি এবং মশা মারার স্প্রে, ঔষধ নিয়ে মজুতদারী ব্যবসা শুরু হয়েছে। মানুষের মধ্যে হতাশা, আতংক, উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এখন এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবার ভরপুর মওসুম চলছে। ডেঙ্গুর মওসুম আরও ৮ সপ্তাহ বা তার বেশী সময় ধরে চলবে। ঢাকার বাইরেও সারা দেশে এডিস মশা ছড়িয়ে পড়া এবং এডিস মশা বিস্তারের আশংকা রয়েছে।
এরকম বিপদ ও দুর্যোগকালে শুধুমাত্র ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশন এবং স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের উপর সব দায়দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া ভুল ও আত্মঘাতি হবে।
জাসদ মনে করে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি একটি জাতীয় বিপদ ও দুর্যোগ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
তাই জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ২। (২) ধারা অনুযায়ী ডেঙ্গুকে আপদ এবং ২। (১১) ধারা অনুযায়ী দুর্যোগ ঘোষণা করা ও ২২। (১) ধারা অনুযায়ী ঢাকাসহ সংলগ্ন অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে ৪। (১) ও (২) ধারা অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
জাসদ ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতা ও গাফিলতি নিয়ে অজুহাত না দেখিয়ে, একে অপরকে দোষারোপ না করে, ডেঙ্গু নিয়ে সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি না করে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের নেতৃত্বে ডেঙ্গু মোকাবেলা, এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ডেঙ্গু বিরোধী সমন্বিত জাতীয় অভিযান শুরু করা এবং দেশবাসীকে এ অভিযানে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
একজন ডেঙ্গু রোগীও যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য সকল সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিক-স্বাস্থ কেন্দ্রকে ঘড় জবভঁংধষ পদ্ধতিতে ডেঙ্গু রোগী যাওয়া মাত্রই চিকিৎসা করতে হবে।
জাসদ বড় বড় সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ছাড়াও সকল সরকারী-বেসরকারী স্বাস্থ কেন্দ্র ক্লিনিককে ডেঙ্গু চিকিৎসা প্রদানে লোকবল, যন্ত্রপাতি, উপকরণ দিয়ে সক্ষম করার আহ্বান জানাচ্ছে।
জাসদ মশা মারার ঔষধ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি দশার অবসানে এডিস মশার বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ঔষধ দ্রুত গতিতে আমদানী ও সংগ্রহের জন্য আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছে। জাসদ প্রয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ এর ৫৩। (১) ধারা অনুযায়ী মশা মারার ঔষধ উৎপাদনকারী বন্ধু রাষ্ট্র ও দেশ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে মশা মারার ঔষধ সহযোগিতা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
জাসদ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিঙ্গাপুর, কোলকতা, ফিলিপাইন, চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
জাসদ অবিলম্বে ঢাকার সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ^বিদ্যালয়, কোচিং সেন্টারে ছুটি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
জাসদ ঢাকা থেকে বহি:গামী সকল বাস, রেল, লঞ্চ, স্টিমার, প্রাইভেট কার, জীপ, মাইক্রোবাস, বিমান, পরিবহনকে মশক মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। যেন এডিস মশা ঢাকার বাইরে যেতে এবং বংশ বিস্তার করতে না পারে। সকল বাস টার্মিনাাল, লঞ্চ স্টীমার ঘাটে স্বাস্থ টিম মোতায়েন ও স্বাস্থ পরামর্শ কেন্দ্র খোলার দাবি জানাচ্ছে।
জাসদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ এর ৩৪ ধারা অনুযায়ী ডেঙ্গু মোকাবেলায় সকল গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক জনসেচতনামূলক প্রচারাভিযান জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছে।
জাসদ নিজ দলের কর্মীসহ দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক কর্মী, সমাজকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন-সংস্থা, নাগরিক সমাজ এবং সর্বস্তরের জনগণকে নিজ পরিবার, ঘর-বাড়ি, সরকারী-বেসরকারী বহুতল ভবন, পাড়া-মহল্লা-এলাকায় ছাত্র-যুবক, স্কাউট, গার্লস গাইড, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদের সম্পৃক্ত করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো, এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস, ডেঙ্গু আক্রান্ত অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
জাসদ আশা করে অতীতের যে কোন দুর্যোগ ও বিপদের মতই দেশের গণমাধ্যম জাতিকে আত্মপ্রত্যয়ী ও সাহসী করে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে অভিযানকে সফল করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
জাসদ বিশ^াস করে যে জাতি মুক্তিযদ্ধ করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে, সে জাতি ডেঙ্গুকে পরাজিত করে নিজেদের নিরাপদ করবে।
এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস, এডিস মশার বিস্তার রোধ, ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসা প্রদান, এডিস মশার জীবন প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করে এডিস মশা নির্মূলে প্রয়োজনীয় কিটনাশক নিজ দেশে উৎপাদন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় ভ্যাকসিন আবিস্কারসহ গবেষণা, শুধু ডেঙ্গু মৌসুম নয় সারা বছর ধরে ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান-পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান-স্বস্থ সচেতনতা অভিযান চালিয়ে জাতিকে ডেঙ্গুসহ রোগবালাই মোকাবেলা করে সুস্থ্যতা অর্জনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবেই।
সবাইকে ধন্যবাদ।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন
সহ-দফতর সম্পাদক
আনোয়ারা বেগমের ইন্তেকালে জাতীয় পার্টির শোক
আনোয়ারা বেগমের ইন্তেকালে জাতীয় পার্টির শোক
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এম পি আনোয়ারা বেগমের ইন্তেকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার ও মহাসচিব জনাব জাফরউল্লাহ খান চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এম পি আনোয়ারা বেগমের ইন্তেকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার ও মহাসচিব জনাব জাফরউল্লাহ খান চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সাবেক এমপি আনোয়ারা বেগম আর নেই
উল্লেখ্য যে, বিগত ৩রা আগষ্ট শনিবার ভোর রাতের দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর প্রকট নিউমোনিয়া ও হৃদরোগ ধরা পড়ায় তৎক্ষণাৎ তাঁকে আই.সি.ইউ বিভাগে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। অধ্যাপক ডা: মাকসুমুল হকের চিকিৎসাধীন থাকাকালে যদিও তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি সাধিত হয় কিন্তু হঠাৎ করেই আজ রবিবার ভোর পাঁচটায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
মিসেস আনোয়ারা বেগম কালীগঞ্জ থানাধীন খলাপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরে তিনি কালীগঞ্জ ন্যাশনাল জুট মিলের অবিসংবাদিত শ্রমিক নেতা ও তদানিন্তন ন্যাশনাল জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক বড় ভাই ফকির সামসুদ্দীনের হাতে শ্রমিক আন্দোলনে হাতে খড়ি গ্রহণ করেন এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন অগ্রসৈনিক হিসাবে নিজেকে বিকশিত করতে থাকেন। পরবর্তীকালে তিনি জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি সপ্তম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মহিলা সদস্য হিসাবে মনোনীত হন।
আজ বাদ যোহর উত্তরা ৩নং সেক্টর জামে মসজিদে তাঁর জানাজার প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব জনাব জাফরউল্লাহ খান চৌধুরী লাহরী, সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান, আলহাজ¦ মো: সেলিম মাষ্টার, কাজী মো: ইকবাল, এ এস এম শামীম, কাজী মো: নজরুল, ডা: নাজিম উদ্দিন আহমেদ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জানাজায় শরীক হন। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলীয় পতাকা দিয়ে কপিনে এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অত:পর সেখান থেকে তাঁর লাশ কালীগঞ্জ থানাধীন তাঁর নিজ জন্মস্থান খলাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বিতীয় জানাযা আজ বিকাল ৪টায় গাজীপুর জেলা, কালিগঞ্জ উপজেলায় বান্দাখোলা মক্তব স্কুল মাঠে জানাযা এবং তৃতীয় জানাযা বাদ আছর খলাপাড়া হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আগামী ৮ই আগষ্ট, বৃহস্পতিবার বাদ আসর জাতীয় পার্টির পুরানা পল্টন কার্যালয়ে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য যে, বিগত ৩রা আগষ্ট শনিবার ভোর রাতের দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর প্রকট নিউমোনিয়া ও হৃদরোগ ধরা পড়ায় তৎক্ষণাৎ তাঁকে আই.সি.ইউ বিভাগে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। অধ্যাপক ডা: মাকসুমুল হকের চিকিৎসাধীন থাকাকালে যদিও তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি সাধিত হয় কিন্তু হঠাৎ করেই আজ রবিবার ভোর পাঁচটায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
মিসেস আনোয়ারা বেগম কালীগঞ্জ থানাধীন খলাপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরে তিনি কালীগঞ্জ ন্যাশনাল জুট মিলের অবিসংবাদিত শ্রমিক নেতা ও তদানিন্তন ন্যাশনাল জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক বড় ভাই ফকির সামসুদ্দীনের হাতে শ্রমিক আন্দোলনে হাতে খড়ি গ্রহণ করেন এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন অগ্রসৈনিক হিসাবে নিজেকে বিকশিত করতে থাকেন। পরবর্তীকালে তিনি জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি সপ্তম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মহিলা সদস্য হিসাবে মনোনীত হন।
আজ বাদ যোহর উত্তরা ৩নং সেক্টর জামে মসজিদে তাঁর জানাজার প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব জনাব জাফরউল্লাহ খান চৌধুরী লাহরী, সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান, আলহাজ¦ মো: সেলিম মাষ্টার, কাজী মো: ইকবাল, এ এস এম শামীম, কাজী মো: নজরুল, ডা: নাজিম উদ্দিন আহমেদ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জানাজায় শরীক হন। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলীয় পতাকা দিয়ে কপিনে এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অত:পর সেখান থেকে তাঁর লাশ কালীগঞ্জ থানাধীন তাঁর নিজ জন্মস্থান খলাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। দ্বিতীয় জানাযা আজ বিকাল ৪টায় গাজীপুর জেলা, কালিগঞ্জ উপজেলায় বান্দাখোলা মক্তব স্কুল মাঠে জানাযা এবং তৃতীয় জানাযা বাদ আছর খলাপাড়া হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আগামী ৮ই আগষ্ট, বৃহস্পতিবার বাদ আসর জাতীয় পার্টির পুরানা পল্টন কার্যালয়ে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)