গণপরিবহনে গণনৈরাজ্যের প্রতিবাদ
গণপরিবহনে গণনৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে
...........কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন
বৃহস্পতিবার(২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। তিনি বলেন,বিআরটিসির আইনে সিটিং সার্ভিস বলে কিছু নেই কিন্তু বাসের মালিকরা স্থানীয় মালিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যাত্রী হয়রানির এই ষড়যন্ত্রমূলক কাজটি নিয়মিত করে চলেছে। যার ফলে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সাধারন মানুষগুলো। এ ব্যাপারে সরকার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের লক্ষনীয় কোন পদক্ষেপ না ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহনে আরেকটি বড় সমস্যা গাড়ির আকারের তুলনায় অধিক পরিমাণ সিট রাখা। বিআরটিএ অনুমোদিত সিটের চেয়ে বেশি সিট রাখায় যাত্রীদের বসতে কষ্ট হয়। চালকসহ ৩১ সিটের বাসে বহন করা হয় ৫০ জনের অধিক যাত্রী। এ ছাড়া প্রতিটি বাসেই নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সিট বরাদ্দের কথা থাকলেও বিআরটিসি ছাড়া অধিকাংশ বাসে এ নিয়ম মানা হয় না। এসব বাসে বসে থাকেন পুরুষ যাত্রীরা।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় চলছে সবচেয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। অধিকাংস বাসে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে চিটিংবাজী। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। মহিলা যাত্রীদের পক্ষে ভদ্রোচিতভাবে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ন্ত্রীনহীনভাবে বাড়ছে। যত্রতত্র প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে, বেড়ে গেছে দূর্ঘটনা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন-জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি,গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক মনোয়ার হোসেন বেগ, সংগঠনের নেতা সিরাজুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোঃ নাজিমুদ্দিন, জামশেদ আলম প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক