http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Friday, February 22, 2019

জামিলা খাতুনের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির শোক প্রকাশ


kxl© KvMR WUKg I mvßvwnK kxl© KvMRi m¤úv`K GKivgyj nK Gi gvZv Rwgjv LvZzb Gi gZz¨‡Z Mfxi kvK I `y:L cÖKvk KiQb RvZxq cvwU©i  Pqvig¨vb I mveK gš¿x gv¯Ídv Rvgvj nvq`vi I gnvmwPe RvdiDjøvn Lvb PŠayix jnvix|


GK kvKevZ©vq ejb, Òkxl© KvMR WUKg I mvßvwnK kxl© KvMRi m¤úv`K GKivgyj nK Gi gvZv Rwgjv LvZzb Gi gZz¨‡Z Zvi cwievieM© I AvZ¥xq¯^Rb`i gZv Avgiv Mfxifve kvKvnZ nqwQ| civcKvix I ag©fxiæ gwnjv wnme giûgv Rwgjv LvZzb wbR GjvKvi gvbyli wbKU AZ¨šÍ wcÖqfvRb wQjb| gnvb iveŸyj Avjvgxb Gi `ievi `vqv Kwi wZwb hb giûgv Rwgjv LvZzbK en¯Í bmxe KiæK Ges kvKmšÍß cwievieM©‡K kvK mn¨ Kivi ÿgZv `vb Kib| Avgiv giûgvi iæ‡ni gvMwdivZ Kvgbv KiwQ Ges kvKweneŸj cwievii m`m¨eM©, AvZ¥xq¯^Rb, ¸YMÖvnx I ïfvKvLx`i cÖwZ Rvbvw”Q Mfxi mge`bv|Ó

Thursday, February 21, 2019

প্রেস রিলিজে : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন:

আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি’র নেতৃত্বে জাসদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাহান্নর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাসদ সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, ফজলুর রহমান বাবুল, শফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. হাবিবুর রহমান শওকত, নাদের চৌধুরী, নইমুল আহসান জুয়েল, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদ সহ-দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, মুনির হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ সামসুল ইসলাম সুমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান ননী প্রমুখ।

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুরিহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতাহত’র ঘটনায় 
ইনু-শিরীনের শোক

বর্তমানে আরব আমিরাতের দুবাই সফররত জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুরিহাট্টায় গতরাতের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৭৮জনের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং শতাধিক জনের আগুনে পুড়ে আহত হওয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নেতৃদ্বয় আজ এক শোকবার্তায় বলেন, মানুষের এ ভাবে পুরে মরার ঘটানায় আমরা ব্যথিত। তারা, নিহত ও আহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। নিমতলীর ঘটনার পরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করলে, এ মর্মান্তিক ঘটনা হয়তো রোধ করা যেত। ভবিষতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বার্তা প্রেরক,

সাজ্জাদ হোসেন
সহ-দফতর সম্পাদক 

কোন কিছু থেমে নেই মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা

সবকিছুই চলছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মিছিলের পর মিছিল, চারিদিকে কবিতা উৎসব, কালো ব্যজ, কালো পোষাক, আর লাল-হলুদ ফুলের মিছিল যেন থামছেই না। অথচ বাতাসে লাশের গন্ধ। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পরে আছে অসংখ্য লাশের মিছিল। চকবাজারের চিরচেনা জনপথ যেন এক অগ্নিগিরি। কেউ চিৎকার করে কাঁদছে, আর কারো বোবা কান্না, কোথায় কোন শব্দ নেই শুধু চোখের পানি ঝরছে। কেউ সন্তান হারিয়েছে, কেউ বাবা হারিয়েছে, কেউ  ভাই হারিয়ে, কেউ হারিয়েছে তাঁর প্রিয় স্বজন। পৃথিবীতে মৃত্যুর সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা হচ্ছে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ। কল্পনা করলেও কষ্টে বুকটা ভেঙ্গে যায়। আলতো আগুনের ছোয়া হাতে  স্পর্ষ হলে উহ করে উঠি। কি নৃশংসভাবে নিরীহ মানুষ গুলো পুড়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। চারিদিকে শোকের বিবৃতি আর সমবেদনার কান্না। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন কেউ বাদ যায়নি। তার পরেও কোন কিছু থেমে নেই। নিষ্ঠুর এই বাস্তবতার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। তার পরেও কিসের আমাদের অহংকার। কার জন্য প্রাসাদসম অট্টালিকা গড়ে তুলি। কার জন্য ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা অলস রেখে দেই। আমার মৃত্যুর পর এই সব কিছুইতো সংগে যাবে না। তবে কেন ক্ষমতার এত বাহাদুরী। আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারী। শহীদ ভাষা সৈনিক রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুস সালাম, আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, শফিউর রহমান তারা কি জন্য সেদিন পিচঢালা পথে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিল। একুশের আবেগ, একুশের কর্তব্য, ফাগুনের কৃষ্ণ চূড়ার ফুলের সৌন্দর্য্যে সেই প্রকৃতি আর সেই প্রেম কি আছে? সবার আগে দেশ এই মন্ত্র কয়জনের হৃদয়ে ধারণ করেছে। মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাঙলা ভাষা, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি। গান রয়েয়ে, সুর রয়েছে, শব্দ রয়েছে, শহীদ মিনারে মিছিলের পর মিছিল রয়েছে। দেশপ্রেম কই? সবকিছুই ঠিক ঠাক চলছে। কোন কিছুই থেমে নেই। পাষ- হৃদয় কিছুই দেখতে চায়না নিজের স্বার্থ ছাড়া। অথচ একদিন সবাই বিদায় নিতে হবে। নির্মম অগ্নিদগ্ধে ৭০ জনের বেশী লাশ হয়ে শুয়ে আছে। অপেক্ষায় আছে আরো কতজন, নিখোঁজের সংখ্যাও কম নয়। তারপরেও কিছু থেমে নেই। থামবে কেন? আমরা তো শোক বিবৃতি, সমবেদনা জানিয়েছি। স্বাধীনতার সাত্চল্লিশ বছর শেষ হয়ে গেলো। আমরা নতুন করে একজন বঙ্গবন্ধুকে সৃষ্টি করতে পারি নি। আমরা নতুন প্রজন্ম পাই নি। নতুন করে কোন শেরে-বাংলা, সরওয়ার্দী, ভাসানী, ওসমানী, নজরুল, কিংবা তর্কবাগিস। আমরা যাদেরকে পেয়েছি তারা তাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত। জাতি গোল্লায় যাক। আমার কি, আমি তো ভালো আছি। সংকীর্নœতার ভাইরাসে আক্রান্ত সবাই। আমাদের কলম এখন জয় বাংলা জিন্দাবাদের কথা বলে। কলম কবে দেশের কথা বলবে, বলবে দশের কথা, এইতো  সেদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আল মাহমুদ না ফেরার দেশে চলে গেলো। তার মরদেহ আমরা শহীদ মিনারে নিতে পারি নি। পরিবারের শেষ ইচ্ছানুযায়ী বুদ্ধিজীবী কবরে তাকে দাফন করতে পারি নি। কবি শামসুর রহমানের পর বাংলাদেশের আধুনিক কবি আল মাহমুদ আর দ্বিতীয় কেউ আসে নি। শত্রুরাও স্বীকার করে তবে স্বীকৃতি নেই কেন? কবে আমরা সংকীর্ণতার বেড়াজাল ভাংতে পারবো। ছোট বেলায় একটি ডায়ালগ শুনে ছিলাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’। তাহলে আমরা আজও মানুষ হতে পারি নি। বাবা মারা সন্তানদেরকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট বানাবার স্বপ্ন দেখে। মানুষ হওয়ার স্বপ্ন কবে থেকে দেখবে? খুব কষ্ট হচ্ছে, বাতাসে লাশে গন্ধ। চারিদিকে লাশ আর লাশ। আমাকে তো বিদায় নিতে হবে। কিছুই তো হতে পারলাম না। আত্মউপলব্ধি থেকে যদি মানুষ হতে পারি হয়তো অপ্রতাশিত্য আগুন আর কাউকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করবে না। কারণ মানুষ কখনোই অসচেতন নয়। যারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আর যারা এখনো যাবার অপেক্ষায় রয়েছে তাদের কষ্টগুলো হৃদয়ে ধারণ করে এক সঙ্গে বলে উঠি সবার আগে দেশ।  লেখক, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান।

মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পার্টির পুস্পমাল্য অর্পণ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে আজ সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান এর নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহসীন সরকার, জাপা নেতা লোকমান পাটোয়ারী, জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন সরকার, এ্যাড. তৈবুর রহমান সৈকত, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক কাজী ফয়েজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা রাসেল মাহমুদ, মরহুম কাজী জাফর আহমদের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তফাসহ জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় যুব সংগতি, জাতীয় শ্রমিক পার্টির প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

evZ©v †cÖiK

(†Mvjvg †gv¯Ídv)

যেভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় চকবাজারে: ভিডিও Published: February 21, 2019 6:29 pm | Updated: February 21, 2019


প্রেস রিলিজ - বাংলাদেশ বার কাউন্সিল



Wednesday, February 20, 2019

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন


একুশ না আট ফাল্গুন ও আজকের প্রেক্ষাপট
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি নিতে যারা জীবন দিয়েছিলেন, তারা সবাই মুসলমান ছিলো, বাংলা ভাষায় কথা বলতো। কিন্তু যখন ৮ ফাল্গুন, ১৩৬৮ যখন এর স্বীকৃতি পেলো, তখনই ২১ ফেব্রুয়ারী হয়ে পরা কি একটা সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র ছিলো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আজ! বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে তমাদ্দুন মজলিস প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারপর পর্যায়ক্রমে এর সাথে সংযুক্ত হলো মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী সহ ছাত্র-শিক্ষক। যা পর্যায়ক্রমে ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারী) তমাদ্দুন মজলিসের শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ হরতাল আহ্বান করে। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদও আলাদা কর্মসূচী গ্রহণ করে। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের হরতাল বানচালের জন্য সরকার থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে কিনা, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৭ই ফাল্গুন (২০ ফেব্রুয়ারী) বৈঠক বসে। ১৪, নবাবপুর রোডে আওয়ামী মুসলিম লীগের অফিসে সর্বদলীয় দলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের বৈঠক আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন তমাদ্দুন মজলিসের রাজনৈতিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক আবুল হাশিম। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের বেশিরভাগ নেতা ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার পক্ষে মত দেন। অলি আহাদ, মুহাম্মদ তোহা, আব্দুল মতিন, শামসুল আলম ও গোলাম মওলা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে মত দেন। তবে উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটিতে তাদের মত টেকেনি। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে ভোট পড়ে ১৮টি, বিপক্ষে ভোট ৪টি। ৮ ফাল্গুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচী ছিল। ভোটাভুটি শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আব্দুল মতিন আবুল হাশিমের কাছে একটি প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাব আসে, ১৪৪ ধারা ভাঙ্গা-না ভাঙ্গার বিষয়টি যেহেতু আগামীকাল (২১ ফেব্রুয়ারী) ৮ ফাল্গুন ঘটবে, তাই আগামীকাল আমতলায় ছাত্র সমাবেশ পর্যন্ত মূলতবি রাখা হোক এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু গাজীউল হকের মতে, ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে অনড় ছিল এবং তমাদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবুল কাশেম ভাঙ্গার পক্ষে ছিলেন। প্রফেসর আবুল কাশেম তমাদ্দুন মজলিস, ঢাবি শাখাকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। চৌধুরী শাহাবুদ্দীন আহম্মেদকে ঢাবির আমতলার সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের জন্য মনোনয়ন করা হয়। ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারী) ছাত্র/ছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গে, রাষ্ট্রীয় ভাষা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরুতেই বাংলা ভাষা দিবস ৮ ফাল্গুনের পরিবর্তে অত্যন্ত সুকৌশলে ২১ ফেব্রুয়ারী চিহ্নিত হয়। তারপরও যারা মহান ভাষা আন্দোলনের জন্যে আত্মাহুতি দিলেন, তারা ছিলেন মুসলমান। তাদের এ আত্মাহুতিকে কয়েকটি প্লাড়ে ফুলের মালা দিয়ে ১৩৬৯ সালে স্মরণ করা শুরু হয়।
বাংলা মাস ও সন অনুযায়ী দিবস পালনের সুযোগ আর থাকে না। এ দেশে বহু ভাষাভাষী বসবাস করলেও ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভুত উপভাষীদের সর্বশান্ত করার চক্রান্ত শুরু হয়, কারণ তারা মুসলমান! দীর্ঘ পরিকল্পনা অনুযায়ী যখন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিমত দেখা দেয়, গণহত্যা দেখে দেশপ্রেমী সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়া সেদিন দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন, আমি রিভল্‌ড বা বিদ্রোহ করলাম, রাষ্ট্রপতি হিসাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই উর্দূভাষী হত্যা শুরু হয়। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানী বললেন, উর্দূভাষীদের হত্যার চক্রান্তের অংশ! যারা এদেশকে স্বাধীন করতে নয়, করদ রাজ্যে পরিণত করতে চায়, তাদেরই এ কাজ চক্রান্তের অংশ – এ হত্যা বন্ধ করো! তারপর প্রথম ছিলো আমরা মুসলমান, তারপর বাঙালী। এখন মুসলমান শব্দ বাদ দিয়ে শুধু বাঙালী করায় হায়েনার আক্রোশ বেড়েছে। আজ আর ৮ ফাল্গুন (২১ ফেব্রুয়ারী)-এর মত ছাত্র সমাজের মধ্যে ঐক্য নাই। ছাত্র সমাজ নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হওয়ায় তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার পথে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের একমাত্র নিরাপদ স্থল, সেটিও এখন আর সে অবস্থানে নেই! ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ থেকে দেশে আর ভোটারদের ভোটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুত্ব বহন করে না। জাতির বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত ৮ ফাল্গুন, ১৩৬৮-তে শুরু, তা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের ঢাবির প্রশাসন ও শিক্ষকদের আচরণ দেখে মনে হয়, ঢাবির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখন মেরুদন্ডহীনরা বসে আছে। তাদের কাছে দেশ কিংবা ছাত্র সমাজের ন্যায়সঙ্গত অধিকার সম্পর্কে তাদের আর ভূমিকা নাই। এখন আমাদের হত্যা, খুন, গুম, অপহরণ, আইনের দুঃশাসন থেকে মুক্তির নেতৃত্ব কারা দেবে? ৮ ফাল্গুন আমাদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। প্রথমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমরা আগে মুসলমান, তারপর বাঙালী, তাহলে সংকট দূর হবে।

লেখকঃ            সাংবাদিক ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন
যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা