শনিবার বিএনপির সমাবেশের ঘোষনা আন্দোলনের নতুন মাত্রাঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
আগামী ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার বিএনপির সমাবেশ যেকোন মূল্যে সফল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন পুলিশ অনুমতি না দিলেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অনেক বছর পর এমন একটি ঘোষণা অবশ্যই বিএনপির আন্দোলনের নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বন্দী মায়ের মুক্তির জন্য অস্থির হয়ে আছেন। বার বার শীর্ষ নেতাদের কাছে আন্দোলনের তাগিদ দিয়ে আসছেন। গত ২২ শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর মহানগর নাট্য মঞ্চে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছে এবং ১লা অক্টোবর ২০১৮ থেকে বৃহত্তর ঐক্যের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী নতুন আন্দোলনের কর্মসূচী আসছে। দেখতে দেখতে আগামী ৮ ই অক্টোবর ৮ মাস পূর্ণ হবে বন্দী মায়ের কারাগারে থাকা। ইতিমধ্যেই নাজিমদ্দিন রোডের পরিত্যাক্ত কারাগারে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিভিন্নভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবেনা। আগামী দিনের আন্দোলনের স্রোতই বলে দিবে বিএনপির ভবিষ্যত কোথায়? বিগত দিনেও নানা আন্দোলন ও কর্মসূচী পালন করেছে। সারা দেশ থেকে প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সত্য কথাগুলো গণমাধ্যমে কিংবা ফেইসবুকে প্রকাশ না করা যায় সেই জন্য ডিজিটাল আইন ২০১৮ রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি স্বাক্ষর করলেই মুগরী ধরে ধরে যেমন খোয়ারে ভরা হয়, ঠিক তেমনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গণ গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর দঃ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সহ অনেক রাজপথের পরিক্ষিত নেতাকর্মীদেরকে সারা দেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ১০ই অক্টোবর ২১ শে গ্রেনেড হামলার মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে। সেখানেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ অনেককেই নতুন করে ফাঁসানো হবে। ঠিক সেই মুহুর্তে বিএনপির মহাসচিব অনুমতি না পেলেও ২৯ শে সেপ্টেম্বর যেই সমাবেশের ডাক দিয়েছেন এই সমাবেশ হবে বিএনপির আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। হেরে গেলেন তো, সব শেষ। আর সামনে এগিয়ে গেলেই গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ। যারা জাতীয়তাবাদী শক্তির বিশ্বাসী এবং মনেপ্রাণে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার চান তারা ফেসবুকে লড়াই সংগ্রাম না করে ২৯ শে সেপ্টেম্বর মাঠে এসে দাড়িয়ে থাকুন। আপনার উপস্থিতি ইতিহাসে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে। স্লোগানের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন এগিয়ে যাওয়ার। ঘরে বসে মামলা না খেয়ে আর গ্রেফতার না হয়ে রাজপথকেই বেছে নিন। মুক্তি আসবেই। আসতেই হবে। যারা বন্দি মায়ের জন্য ফেসবুকে ঝড় তুলছেন, ঘরে বসে কাঁদছেন কিন্তু আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন না শুধুমাত্র ছবি সংগ্রহ করে বিপ্লবী হচ্ছেন আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ এবার বিপ্লব থামান। আর নিজের প্রতি নিজেকে সেরা প্রতারক হিসেবে উপস্থাপন করবেন না। জনগণের নেতা হতে চান, জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। যারা আগামী একাদশ নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে এমপি, মন্ত্রী হতে চান তারা যদি রাজপথে নেমে না আসেন, আল্লাহর কসম আপনাদের জামানতও থাকবে না। কারণ দেশবাসী আর কোন মুনাফেক, প্রতারককে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবে না। দেশকে ভালোবাসুন, ভালোবাসুন দেশমাতা, দেশনেত্রীকে। বন্দি মায়ের মুক্তিই হবে জনগণের সাথে আপনাদের আন্দোলনের নতুন সন্ধি।