http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Tuesday, February 10, 2015

"NATIONALIST YOUTH LAWYER ASSOCIATION/Jaritutabadi Jubo Aunjibi Somitee "



Majid, Peelkhana

"WE WANT DIALOGUE FOR PEACE FOR THE PROSPERITY OF BANGLADESH - MAULANA VASHANI ONUSHARI PORISHOD "


"অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা উচিত ........মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এম.পি //BONGOBONDHU GOBESHONA PORISHOD"


"SHORBO DOLIO MONCHO RALLY-PARTICIPATION OF ALL FOR DIALOGUE "


"বিলম্বে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা উচিত"


"BONGOBONDHU GOBESHONA PORISHOD"


"সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি স্মরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা"




আজ ১০ ফেব্র“য়ারি। ২০১২ সালের এই দিনে শিশু মেঘ তার বাবা-মা’র সাথে আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিল। একদিন পরেই তার জীবনে সবচেয়ে বড় অন্ধকার নেমে আসবে সে জানতো না। তার পৃথিবী অন্ধকার করে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে যাবে তার প্রিয়
মা-বাবা তাও বুঝতে পারলো না। ২০১২ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি পূর্ব রাজাবাজারের নিজ বাসভবনে নৃশংস ঘটনা ঘটলো। শিশু মেঘের সামনে নির্দয়ভাবে হত্যা করলো প্রতিভাবান দু’জন তারকা সাংবাদিকদের। একজন সাগর অন্যজন রুনি। হত্যার পরপরই তৎকালীন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনীদের বের করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ৪৮ ঘন্টা এখন ৩৬ মাসে পরিণত হল। কিন্তু ৪৮ ঘন্টা শেষ হলো না। যারা সেই সময় সোচ্চার ছিল সাগর-রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে তাদের অনেকেই এখন মুখে কুলুপ
এঁটেছে। কোন কথা বলছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকেই বলছি আপনিতো গণমাধ্যমে মেঘের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আজ থেকে মেঘের সব দায়-দায়িত্ব আমার। মাঝে মধ্যে  আপনার প্রিয় নাতিকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করার দৃশ্য দেখা যায় কিন্তু ৩ বছর পার হয়ে গেলো একদিনও মেঘকে নিয়ে মাথায় রাখেননি। তবে কি সেদিনের ঘোষণা ছিল শুধুমাত্র লোক দেখানো। যারা মেঘকে হত্যা করেছে তাদের ব্যাপারে প্রেসক্লাবের রাজপথে সব সাংবাদিকরা এককাতারে চলে এসেছিল। তখন নির্মল সেন বেঁচে ছিলেন। তিনি একদিন সাংবাদিক সমাবেশে বলেছিলেন আমার আনন্দ হচ্ছে অনেকদিন পর সবদলের সবমতের সাংবাদিকদের সাগর-রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে একসাথে দেখতে পাচ্ছি। তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার সাথে সাথে সাংবাদিকদের ঐক্যতে যেন কবর রচিত হয়েছে। সোচ্চার সাংবাদিকের কেউ কেউ সরাসরি আপনার বিশেষ পুরস্কারে  আর
বিশেষ দায়িত্বে পুরুস্কৃত হয়ে এখন নীরব, পাথর হয়ে আছে। প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। নিজেদেরকে খুচরা মূল্যেই মনে হয় বিক্রি করে ফেলেছে। মেঘের চোখ থেকে এত অশ্র“ ঝরেছে এখন আর মেঘ কাঁদে না। সে জানে তার বাবা-মা’র হত্যার বিচার হবে না। শিশু মেঘ বেশ বুঝতে পেরেছে তার কাছে যারা শান্তনার বাণী নিয়ে এসেছিল সবাই তার সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছে। মাঝে মধ্যেই মেঘ তার বাবা-মায়ের কবরে গিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে এই বুঝি আকাশ থেকে তারা হয়ে তার মা-বাবা তার কাছে ফিরে এলো। কিন্তু তারা তো আর ফিরে আসবে না।
মেঘের মত প্রতিদিন অনেক অসহায় শিশু তার মা-বাবাকে হারাচ্ছে। কেউ হারাচ্ছে ভয়ংকর পেট্রোল বোমার আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রিয়জন আবার কেউ বা হারাচ্ছে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে নৃশংস মৃত্যু। দেশ আজ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। এখনও
শীতলক্ষ্মায় লাশের মিছিল দেখা যায়। গ্রাম থেকে শহরে বিভিন্ন জায়গায় ছোপছোপ রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। রক্তের দাগ পিচঢালা পথে এখন প্রতিদিনের করুণ চিত্রে পরিণত হয়েছে। শত শত পরিবার স্বজনহারা হয়ে আর্তচিৎকার করছে। আমার সন্তানকে আমার
প্রিয়জনকে ফিরিয়ে দাও। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। আপনিতো সাংবিধানিকভাবেশপথ গ্রহণ করে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় রয়েছেন। আপনার শপথে স্পষ্ট ছিল জনগণে জানমালের নিরাপত্তা দেবেন। কিন্তু জনগণ যখন কুকুরের মত লাশ হয়ে রাস্তায় পড়ে
থাকে তখন আপনার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা যেসব ভাষায় কথা বলেন মনে হয় তারা ভিনদেশের মন্ত্রী-এমপি। এদেশের নাগরিকই না। এদেশের জন্য, এদেশের মাটির জন্য, এদেশের মায়ের জন্য তাদের কোন কমিটমেন্ট নেই। এভাবে আর কতদিন। আর কত মেঘ তার মা-বাবাকে হারালে আপনার হৃদয়ে ভালবাসার সৃষ্টি হবে। আর কত মেঘ আর্তচিৎকার করে বলবে আমার মা-বাবার হত্যার বিচার চাই, বিচার চাই, বিচার চাই? আপনি কবে মেঘের মত অসহায় শিশুদের পাশে এসে দাঁড়াবেন। কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে মেঘকে যেমন ফাঁকি দিয়েছেন এখন দেশকেও ফাঁকি দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে জাতি আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করেছিল আপনি সেই প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতো সে চিৎকার করে আপনাকে থামিয়ে দিতো। তিনিও তো না ফেরার দেশে চলে গেছেন। যেমন চলে গেছে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এখন খামোশ বলার কেউ নেই। তাই তো চলছে গাড়ী যাত্রাবাড়ী। থামাবারও কেউ নেই। সবাই সংলাপ সংলাপ করছে। কিন্তু বাস্তবে সংঘাত ছাড়া আর কিইবা জাতির কপালে জুটছে। আর কত রক্ত চাই, আর কত লাশ চাই, আর কত মেঘের মত মা-বাবা হারালে দেশের শান্তি ফিরে
আসবে। প্লিজ, শেষবারের মতই বলছি। শিশু রাসেলের কথা ভাবুন। আপনার অনেক প্রিয় আদরের ছোট ভাই। ভাবুন, বঙ্গবন্ধুর কথা। তাদের কথা ভেবে তাদের আত্মার শান্তির জন্য হলেও  জাতির এই গভীর সংকট থেকে দেশকে মুক্তি দিন। মুক্তি দিন মেঘকে। কারণ
মেঘ জানে নতুন কেউ আসলে ঠিকই তার বাবা-মা’র হত্যার বিচার হবে। সাগর-রুনির আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি আর মেঘকে বলছি মেঘ তুমি আমাদের ক্ষমা করো না।

'বিক্রিত ও বিকৃত অমর একুশে গ্রন্থমেলা --// আলী নিয়ামত //"

একুশের চেতনা বহুকাল ধরে নানাভাবে বিকৃত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু বেশ কবছর হল অমর একুশে গ্রন্থমেলাও বিক্রিত হয়েছে এবং বিকৃত হচ্ছে বিভিন্ন আকারে। অভিনব উপায় বের করে একটি চক্র এই অমর একুশে গ্রন্থ মেলাকে কেন্দ্র করে চালাচ্ছে অনেক ধরনের বেচাকেনা এবং বাণিজ্য। কর্পরেট বাণিজ্যের নগ্ন প্রচারণা। গণমাধ্যমগুলো হয়েছে এতে তাদের হাতিয়ার। বেসরকারী গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনও এই অপনীতি আর অপসংস্কৃতির শিকার হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে প্রবাসী ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের একটা ছড়া উপস্থিত ১৭ জন শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছে। এতে উপস্থিত কবির সংখ্যাও ছিল মাত্র দশজন। রিটনের ছড়ায় শতাধিক বিক্রি হওয়া সরকারী-বেসরকারী-শিল্প-বানিজ্য এবং গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ ছিল। এমন কী ছড়ায় উল্লেখ আছে, ইনাদিং গোপনে কেউ কেউ নাকি নিজের মাকেও বিক্রি করছে। টেলিভিশনে যেমন বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন-সংবাদের অনুষ্ঠান, রিটনের ভাষায়। খুব সাহসী উচ্চারণ, সময় উপযোগী ছড়া এটি সন্দেহ নেই। সাহিত্যের উৎকর্ষে ছড়াটি কতটা সমৃদ্ধ তা উল্লেখ না করেই বলছি, একজন নগন্য ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে, শ্রোতা ও দর্শক হিসেবে-ছড়াটি আমি ব্যক্তিগতভাবে উপভোগ করেছি। উল্লেখ্য, রিটন নিজেও এমন একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, পরিচালক যার শিরোনাম-আইএফআইসি বই মেলা সরাসরি ২০১৫, চ্যানেল আই যা প্রতিদিন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কোটি কোটি দর্শক দেশ-বিদেশে দেখছে এবং শুনছে? আইএফআইসি বইমেলা নামে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে কোন কালে কোন বইমেলা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। ইতিহাসের
পাতাতেও তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে অমর একুশে গ্রন্থমেলা তাহলে কোনটি? ঠিক তেমনিভাবে ক্যামব্রিয়ান বইমেলা প্রতিদিন প্রচার করা হচ্ছে একই প্রাঙ্গন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে। এমনি আরও সরকারি-বেসরকারিবাণিজ্য ও অর্থপ্রতিষ্ঠান, এনজিও নানা নামে বইমেলা প্রচার করে চলেছে?বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে অমর একুশের গ্রন্থমেলাকে বিক্রি করেছে, একুশের চেতনাকে করেছে ভুলুন্ঠিত, নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শকে দিয়েছেবিসর্জন-এতে যে পাপ হয়েছে, এর শাস্তি কী?কোটি কোটি কোমলমতি শিশু দর্শক এবং সরলপ্রাণ অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত আমজনতা শ্রোতা-দর্শক প্রতিদিন অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরিবর্তে এক বা একাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত বইমেলা সরাসরি বা বইমেলা প্রতিদিন
দেখছে ও শুনছে। এক্ষেত্রে অমর একুশে গ্রন্থমেলা কর্তৃপক্ষের কি কোনই দায়দায়িত্ব নেই? সেদিন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান বললেন,”উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলা একাডেমির একাধিক পাপ আছে। একটি বড় পাপ হচ্ছে স্বৈরাচারী আইয়্যুব খানকে বাংলা একাডেমি একসময় খুব প্রশংসা করেছে। অপর পাপটি হচ্ছে- ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি জসীম উদ্দীনসহ সেসময় অনেককেই বাংলা একাডেমি পদক দেওয়া হয়নি? এছাড়াও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতিকেও বাংলা একাডেমি সম্মানিত করেছে?”- বলতে দ্বিধা নেই লুৎফর রহমান রিটনের মত নিজে অপরাধী এবং পাপী হয়েও মহাপরিচালক বাংলা একাডেমির বড় বড় পাপের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। এটাই কি আজকের জাতীয় চরিত্র? একটা সময়ে মুখে মুখে উচ্চারিত হত জাতির মননের প্রতীক বাংলা একাডেমি। এটিকে রেখেই কি আরেকটি শ্লোগান রাখা যেতনা? নিজের দেওয়া নতুন শ্লোগান রেখে আগেরটিকে বাদ দিয়ে বর্তমান মহাপরিচালক কি আরো একটি বড় পাপ করেননি? ব্যারিষ্টার সাদিয়া আমরিনকে বলেছি এই নীতি, আদর্শ ও একুশের চেতনা বিরোধী কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আইনের আশ্রয় নিতে। জানিনাতিনি বা অন্য কেউ এই কাজে এগিয়ে আসবেন কিনা? কেননা, সময়টা এখন বিক্রি হওয়ার। যেমন বিক্রিত প্রবাসী ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন এবং বাংলা একাডেমির
মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান। বাস্তবতা হল এখন যে যত বেশী বিক্রি হতেপারবে, সে তত বেশী প্রতিষ্ঠিত, স্বীকৃত, সম্মানিত এবং ক্ষমতাবান হবে। জনগন যাদের কাছে লাঞ্চিত, বঞ্চিত, অপমানিত এবং পদদলিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আলী নিয়ামত: সম্পাদক, এলামনাই নিউজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,