প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক/প্রকাশক/মুদ্রাকর : ইশফাকুল মজিদ সম্পাদনা নির্বাহী /প্রকাশক : মামুনুল মজিদ lপ্রতিষ্ঠা:১৯৯৩(মার্চ),ডিএ:৬১২৫ lসম্পাদনা ঠিকানা : ৩৮ এনায়েতগঞ্জ আবু আর্ট প্রেস পিলখানা ১ নং গেট,লালবাগ, ঢাকা ] lপ্রেস : ইস্টার্ন কমেরসিএল সার্ভিসেস , ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি - ৮/৪-এ তোপখানা ঢাকাl##সম্পাদনা নির্বাহী সাবেক সংবাদ সংস্থা ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সী বিশেষসংবাদদাতা,দৈনিক দেশ বাংলা
http://themonthlymuktidooth.blogspot.com
Sunday, October 16, 2011
উদ্বোধনের পরই বিআরটিসি'র বাস বন্ধ হলো Stopped BRTC Bus after just only opened
বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস সার্ভিস উদ্বোধনের পরই বন্ধ করে দিয়েছে বেসরকারি বাস মালিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে শরণখোলা-চট্টগ্রাম পথে বিআরটিসি সার্ভিস উদ্বোধন হয়।
এরপর বাসটি বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছালে আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরে খালি বাসটি বিআরটিসি'র খুলনা ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিআরটিসির কর্মকর্তা নীহার রঞ্জন মজুমদার বলেন, "বিআরটিসি'র বাসটি খুলনা ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। আপাতত শরণখোলা-চট্টগ্রাম পথে বিআরটিসি'র বাস সার্ভিস স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান নীহার রঞ্জন।"
স¤প্রতি স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ শরণখোলা-চট্টগ্রাম পথে দুটি বাস চালু করে। দুই বছর আগে এই পথে পাঁচটি বেসরকারি পরিবহন সংস্থার ১৫টি বাস চলাচল করতো। এখন শুধু বাগেরহাট থেকে দিনের বেলা চট্টগ্রাম পর্যন্ত কয়েকটি বাস চলাচল করলেও রাতে কোনো সার্ভিস নেই।
বিআরটিসি খুলনা ডিপোর ব্যবস্থাপক নীহার রঞ্জন মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সপ্তাহ দুই আগে এলাকাবাসী এই পথে বিআরটিসি বাস চালুর দাবিতে স্মারকলিপি দেয়। বিষয়টি তখন বেসরকারি বাস মালিকদের জানানো হয়। তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিক সমিতি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে কালক্ষেপণ করছিলো। ফলে কর্তৃপক্ষ এই পথে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।"
বিকাল ৪টায় উদ্বোধনের পর শরণখোলা থেকে একটি বাস ১৭ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে মোড়েলগঞ্জের ফুলমবাড়িয়ায় বেসরকারি বাস মালিকরা প্রথম গাড়িটিকে বাধা দেয় বলে জানান বিআরটিসির ওই কর্মকর্তা।
মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল খালেক বলেন, শরণখোলা-চট্টগ্রাম পথের বিআরটিসি'র বাসটি ফুলমবাড়িয়ায় প্রায় চল্লিশ মিনিট আটকে রাখা হয়। পরে গাড়িটি পুলিশি প্রহরায় বাগেরহাটের দিকে ছেড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাড়িটি বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছালে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা এবং তাদের শ্রমিকরা বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।
বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, "বিআরটিসি'র বাস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার খবর শুনে পুলিশ সেখানে গিয়ে বাসটি উদ্ধার করে। পরে তা খুলনা ডিপোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।"
এদিকে শরণখোলা-চট্টগ্রাম পথে বাস চলাচলের খবর শোনার পর পরই বেসরকারি বাস মালিকরা সকালে শরণখোলা-রায়েন্দা পথে চলাচলকারী একটি বিআরটিসি বাস মোড়েলগঞ্জের ফুলবাড়িয়ায় আটকে দেয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখার পর বাসটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে পুলিশ ও বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মিনা রাকিবুল হাসান মিলন দাবি করেন, "বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বাস চলাচ্ছে। মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে এই বাস চালু করেছে।"
"এর ফলে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ থেকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচলকারী সমিতিভুক্ত বাস মালিকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিআরটিসি'র বাস বন্ধ করতে হবে।"
তিনি জানান, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিআরটিসির সঙ্গে মালিক সমিতির ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস জেলা সদরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলার বিধান রয়েছে। তাই শরণখোলা উপজেলা পর্যন্ত বাস চলতে দেয়া হয় না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment