প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক/প্রকাশক/মুদ্রাকর : ইশফাকুল মজিদ সম্পাদনা নির্বাহী /প্রকাশক : মামুনুল মজিদ lপ্রতিষ্ঠা:১৯৯৩(মার্চ),ডিএ:৬১২৫ lসম্পাদনা ঠিকানা : ৩৮ এনায়েতগঞ্জ আবু আর্ট প্রেস পিলখানা ১ নং গেট,লালবাগ, ঢাকা ] lপ্রেস : ইস্টার্ন কমেরসিএল সার্ভিসেস , ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি - ৮/৪-এ তোপখানা ঢাকাl##সম্পাদনা নির্বাহী সাবেক সংবাদ সংস্থা ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সী বিশেষসংবাদদাতা,দৈনিক দেশ বাংলা
http://themonthlymuktidooth.blogspot.com
Friday, December 9, 2011
টিপাইমুখ: খালেদার ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন
টিপাইমুখ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার সমালোচনার জবাবে উল্টো প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরকার।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে তার আগের অবস্থানের ব্যাখ্যা দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, “বিরোধীদলীয় নেত্রী ১৯৯২ ও ২০০৬ সালে দুবার ভারত সফর করলেও ১৯৯২ সালের ২৮ মে’র যৌথ ইশতেহারে বা ২০০৬ সালের ২৩ মার্চের যৌথ সংবাদ বিবরণীর কোথাও টিপাইমুখ প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা দেখা যায়নি।”
“এতে প্রতীয়মান হয় যে ইস্যুটি বাংলাদেশের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ, বিরোধীদলীয় নেত্রীর দুবার ভারত সফর সত্ত্বেও বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি সেসময় আদৌ আলোচিত হয়নি।”
এর আগে সরকারের মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে টিপাইমুখ নিয়ে খালেদার সমালোচনা করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রথম লিখিতভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বিরোধীদলীয় নেত্রীর নিজের ভারত সফরের সময় টিপাইমুখ ইস্যুতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি ভারতের নেতাদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তা একেবারেই উত্থাপন করেননি কেন, এবং তার মতে, টিপাইমুখ বাঁধের ফলে বাংলাদেশ যদি এতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাহলে এটি নির্মাণ করা থেকে ভারত বিরত থাকবে- মর্মে ভারতের কাছে থেকে বাধ্যবাধকতাপূর্ণ একটি অঙ্গীকার তিনি সে সময় আদায় করেননি কেন- বিষয়গুলো অনুগ্রহপূর্বক একটু স্পষ্টভাবে তিনি ব্যাখ্যা করবেন কি?”
ভারতে বরাক নদীর টিপাইমুখে বিতর্কিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণে অক্টোবরের শেষদিকে ভারতের কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে মণিপুর রাজ্য সরকার। এর থেকে বাংলাদেশে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
বিএনপির অভিযোগ, সরকার এ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। টিপাইমুখ প্রকল্পের বাস্তবায়নের আগে যৌথসমীক্ষার আহ্বান জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠিও লেখেন খালেদা।
অন্যদিকে সরকার বলছে, দেশের স্বার্থ রক্ষায় তারা পুরোপুরি সচেতন।
টিপাইমুখ প্রকল্পে যাতে বাংলাদেশ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারকে বলা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সরকার এবং এ প্রকল্পের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষা দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে বলা হয়েছে।”
টিপাইমুখ প্রকল্প ‘বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর বা উপকারী যাই হোক না কেন’ সেখানে ব্যাপকভিত্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ যৌথ সমীক্ষা প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের শীর্ষ পর্যায় থেকে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না করার আশ্বাসের কথা পুনর্বার তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment