পিটিবি নিউজ, ঢাকা : আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গুলিতে পা-হারানো ঝালকাঠির কলেজছাত্র দরিদ্র লিমন ও তাঁর পরিবার গভীর চক্রান্তের বেড়াজালে আবদ্ধ। নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান যেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেখানে রাষ্ট্রীয় সংস্থার গুলিতে এক পা হারিয়েছেন নিরীহ-নিরাপরাধ লিমন হোসেন। আবার সেই সংস্থার মিথ্যা মামলারও শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে নিস্কৃতি মেলেনি লিমনের পরিবারের। এখন তাদের ওপর নগ্ন হামলা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন করে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকান্ড এক ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাবেশে বিভিন্ন ছাত্র ও যুব সংগঠনের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন লিমন ও তাঁর মায়ের ওপর কথিত সোর্স ইব্রাহিম হাওলাদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হামলা এবং পরবর্তী সময় লিমনের বাবা, মা ও ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবং বিচারবহির্ভুত হত্যা বন্ধের দাবিতে বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলোর বর্তমান ও প্রাক্তন নেতারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুমের পরিচালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি কাফি রতন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবমৈত্রীর সাবেক সভাপতি ও রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শরিফ, বর্তমান সভাপতি এসএম শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বর্তমান সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, যুবমৈত্রী নেতা সাব্বাহ আলম খান কলিন্স প্রমুখ।
লিমন ও তাঁর পরিবারের ওপর ধারাবাহিক অত্যাচার-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে আখ্যায়িত করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করেই একের পর এক গণবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে অপ্রত্যাশিত। নিরীহ-নিরাপরাধ লিমনের পাশে রাষ্ট্রযন্ত্র না থেকে উল্টো তার ও তাঁর পরিবারের পেছনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরকারের উদ্দেশে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে লিমন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার করে নিন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স ইব্রাহিম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনুন এবং লিমনের পরিবারের সকল সদস্য'র রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সকল প্রকার আইনি সহায়তা এবয় প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিন। অন্যথায় এর পরিণাম শুভ হবে না। কারণ গোটা জাতি আজ লিমন ও তাঁর পরিবারের পাশে ঐক্যবদ্ধ।
সমাবেশে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), ছাত্র ফেডারেশন, যুব ঐক্য'র বিপুল সংখ্যক বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তারিখ : ২৫ আগস্ট-২০১২ ইং।
No comments:
Post a Comment