আরো দুই নদীতে বাঁধ প্রতিরোধে সোচ্চার হউন . . . এ এন এম ঈসা
আর্ন্তজাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক জনাব এ এন এম ঈসা এক বিবৃতিতে বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের মধ্যে অন্য দুটি অভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে ভারত। বাংলাদেশের উজানে মেঘালয়ে এই দুই নদীতে বাঁধ দেয়ার ভারতের এই পরিকল্পনার প্রতিবাদে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে আবারও স্বাধীনতার চেতনা নেয়ে স্বোচ্ছার হওয়ার আহবান জানান আর্ন্তজাতিক টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক এ এন এম ঈসা। “জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভারত মেঘালয়ে উমেয়ো ও মাইনথ্রু নদীতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জেনেছি। এই দুই প্রকল্প নিয়ে না এগোনোর জন্য আমরা তাদেরকে অনুরোধ করছি। “ভাটির দেশের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া অভিন্ন এই দুই নদীর ওপর কিছু তারা করতে পারে না,” । উমেয়ো ও মাইনথ্রু নদী ভারত ও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। তাই যথাযথ সমীক্ষা ছাড়া এই দুই নদীর ওপর কোনো ধরনের অবকাঠামো মেনে নেবে না বাংলাদেশের মানুষ। মনিপুর রাজ্যে বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, টিপাইমুখ নিয়ে আমরা উদ্বেগ এবং সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। গত সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) উপ কমিটি সমীক্ষা শুরু করেছে এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। নতুন দুই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগনকে স্বোচ্ছার হওয়ার আহবান জানান জনাব এ এন এম ঈসা। জনাব ঈসা “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। আবার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বা জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন (জেসিসি) বৈঠকেও এটা তোলা আহবান জানান,” আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে জেসিসি বৈঠক ঢাকায় হওয়ার কথা রয়েছে। আবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদেরও বাংলাদেশ সফরে এসে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। মাইনথ্রু সারি নদী নাম নিয়ে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা দিয়ে এবং উমিয়ো উমিয়ম নদী নামে সুনামগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। গ্রেটার শিলং ওয়াটার সাপ্লাই স্কিমের আওতায় উমিয়ো নদীতে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে মেঘালয় সরকার। ভারত থেকে বাংলাদেশের ৫৪টি নদী এসেছে । এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে শুধু গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হয়েছে। গত বছর তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির মুখে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। তাই আমরা ভারতে এই নতুন করে বাধ নির্মানের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি সাথে সাথে বিজয়ের মাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বাধ নির্মান প্রতিরোধে দেশবাসীকে স্বোচ্ছার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment