এদিকে দলটির পক্ষে একাধিক কেন্দ্রিয় নেতারা বলেন অনুমতি না মিললেও ঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো অনড় আছেন। আর শেষ পর্য ন্ত ‘অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করতে না পারলে নির্বাচন প্রতিহতে অসহযোগের দিকে যেতে পারে ১৮ দল।
এদিকে, রাজধানী অভিমুখে আসা বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের পথে পথে আটকে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রুটে বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল শুক্রবার বিকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। আর ঢাকায় প্রবেশ পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সরকার দলীয় সমর্থকরাও অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। রাজধানীতেও বাস তেমন একটা চলছে না।
১৮ দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জমায়েত হতে না পারলে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে অথবা নতুন করে কী কর্মসূচি আসতে পারে এই আলোচনা এখন সর্বত্র। তবে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার যাই করুক রোববার কর্মসূচি বাস্তবায়নে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। আর খালেদা জিয়াও কর্মসূচিতে যোগ দিবেন। কিন্তু যোগ দিতে না দিলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সেক্ষেত্রে সোম অথবা মঙ্গলবার থেকে অসহযোগ কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যান্ত কর্মসূচি পালন করতে না দেয়া হলে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আর দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ইতিমধ্যে নেতাকর্মীরা রাজধানীতে জড়ো হওয়ায় অন্য কর্মসূচির তুলনায় রাজধানীতেও এই প্রতিরোধ জোরালো হবে।
বিএনপির এক শীর্ষ নেতা যিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন তার কাছে অভিযাত্রা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি নতুন বলেন, ‘বরিশালের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে ঢাকায় চলে এসছেন। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী কাল অবস্থান নেয়া হবে। তবে শেষ পর্য্ন্ত অনুমতি না পেলে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধের নির্দেশনা আছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা বলেন, ‘কর্মসূচি হবেই। তবে যদি বাধা দেয়া হয় তাহলে আন্দোলন নবউদ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা চূড়ান্ত পরিণতির আগে বন্ধ হবে না।’
কী কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাগাতার অবরোধ আসতে পারে। আবার অসহযোগের ডাক আসতে পারে। তবে সর্বশেষ পরিস্থিতি বুঝে ম্যাডাম সিদ্ধান্ত নেবেন।’
Majid, Zamtola, Khilkhet
No comments:
Post a Comment