বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র
ঢাকা নগরের
উদ্যোগে আজ
১৪ জানুয়ারি
২০১৭ সকাল
সাড়ে ১০
টায় ঢাকা
রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘ ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন
২০১৬’ শীর্ষক
খসড়া আইনের
‘বিশেষ বিধান’
বাতিলের দাবিতে
মতবিনিময় সভা’
অনুষ্ঠিত হয়
। মতবিনিময়
সভায় সভাপতিত্ব
করেন ঢাকা
নগর শাখার
সভাপতি সুলতানা
আক্তার রুবি
ও সভা
পরিচালনা করেন
নগর শাখার
সাধারণ সম্পাদক
তাছলিমা নাজনীন। সভায়
উপস্থিত ছিলেন
ইমেরিটাস অধ্যাপক
সিরাজুল ইসলাম
চৌধুরী, অধ্যাপক
আনু মুহাম্মদ,
বাসদ মার্কসবাদী
কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড
শুভ্রাংশু চক্রবতী, কথা সাহিত্যিক ও কবি ঝর্ণা রহমান,
হোপ ফর
দি ডেস্টিটিউট
উইমেন এ-
চিল্ড্রেনের প্রধান নির্বাহী
ডা: দিলরুবা,
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক
মোশাহিদা সুলতানা,
জিগাতলা উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক সরকার,
বাংলাদেশ নারীমুক্তি
কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত
, নারী সংহতির
কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামলী
শীল, হিল
উইমেন্স ফেডারেশনের
কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরুপা চাকমা, প্রগতিশীল
চিকিৎসক
ফোরামের আহ্বায়ক
ডা: মজিবুল
হক, ফটোগ্রাফার
ও পাঠশালার
শিক্ষক জান্নাতুল মাওয়া।
মত বিনিময় সভার প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এই আইন কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এই আইনের দ্বারা নারীর নিরাপত্তা আরো বিঘিœত হবে। এটাকে বাল্য বিবাহ না বলে শিশু বিবাহ বলাই যথার্থ। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই দাবি করতে হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করছে যতই উন্নতি হোক, রাষ্ট্রের মৌলিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। পুঁজির শাসন এবং পিতৃতান্ত্রিকতাই এর জন্য দায়ী। আজকে যেরকম নারী নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা হচ্ছে এটা আগে এত ছিল না। কিন্তু এখন বাড়ছে কারণ রাষ্ট্র অপরাধীদের ছাড় দিচ্ছে। এই রাষ্ট্র ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্র মৌলবাদীদের ছাড় দিচ্ছে। এর ফলেই বাল্যবিবাহের মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নারীরা স্পষ্টতই নিরাপত্তহীনতায় আছেন। বাবা-মায়েরা মনে করেন মেয়েদের বিবাহ দিতে পারলেই তারা নিরাপদ হবে। এটা কিরকম অমানবিক পরিস্থিতি। কিন্তু বিয়ে হলেই কি নারী নিরাপদ হচ্ছে? পরিসংখ্যান তো বলছে স্বামীর হাতেই নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে বেশি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম, আসেনি। এটা করতে হলে বিপ্লব প্রয়োজন। এই আন্দোলন রাজনৈতিক।’
বিশেষ অতিথি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘খসড়া আইনটি স্পষ্টভাবেই সরকারের পশ্চাৎপদতা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেয়েরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার ভয়াবহ অস্ত্র তৈরি করছে, আইন করার মধ্য দিয়ে। আইনে সর্বোত্তম স্বার্থে’ যেটা বলা হচ্ছে সেটা আসলে নতুন করে কেন দরকার হলো? প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই আইন-এর সাথে সংশ্লিষ্ট। ফলে তার অসহিষ্ণুতা এতো বেশি। সরকারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচেছ যে, দেশে বাল্যবিবাহ প্রায় ৬৬ শতাংশ, ফলে পরিসংখ্যান কম দেখানো সরকারের একটা উদ্দেশ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে বয়স কমালে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো দেখানো সহজ হয়। এই কারণে সরকারের এই পশ্চাৎপদতা। ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বখাটেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আইন হতে পারে না। সন্তানের উপর মায়ের অভিভাবকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নারীর বিয়ের বয়স আরো বাড়ানো দরকার। একদিকে পরিসংখ্যান, বিশ্বে নিজেদের ভাল অবস্থান দেখানো, অন্যদিকে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্য থেকে সরকারের এই পদক্ষেপ। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সকল স্তরের নারীদের দাঁড়াতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, পুঁজির শাসন ও ধর্মান্ধগোষ্ঠীকে তুষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার এই বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের খসড়ায় বিশেষ বিধান রেখেছে।
মত বিনিময় সভার প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এই আইন কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এই আইনের দ্বারা নারীর নিরাপত্তা আরো বিঘিœত হবে। এটাকে বাল্য বিবাহ না বলে শিশু বিবাহ বলাই যথার্থ। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই দাবি করতে হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করছে যতই উন্নতি হোক, রাষ্ট্রের মৌলিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। পুঁজির শাসন এবং পিতৃতান্ত্রিকতাই এর জন্য দায়ী। আজকে যেরকম নারী নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা হচ্ছে এটা আগে এত ছিল না। কিন্তু এখন বাড়ছে কারণ রাষ্ট্র অপরাধীদের ছাড় দিচ্ছে। এই রাষ্ট্র ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্র মৌলবাদীদের ছাড় দিচ্ছে। এর ফলেই বাল্যবিবাহের মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নারীরা স্পষ্টতই নিরাপত্তহীনতায় আছেন। বাবা-মায়েরা মনে করেন মেয়েদের বিবাহ দিতে পারলেই তারা নিরাপদ হবে। এটা কিরকম অমানবিক পরিস্থিতি। কিন্তু বিয়ে হলেই কি নারী নিরাপদ হচ্ছে? পরিসংখ্যান তো বলছে স্বামীর হাতেই নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে বেশি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম, আসেনি। এটা করতে হলে বিপ্লব প্রয়োজন। এই আন্দোলন রাজনৈতিক।’
বিশেষ অতিথি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘খসড়া আইনটি স্পষ্টভাবেই সরকারের পশ্চাৎপদতা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেয়েরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার ভয়াবহ অস্ত্র তৈরি করছে, আইন করার মধ্য দিয়ে। আইনে সর্বোত্তম স্বার্থে’ যেটা বলা হচ্ছে সেটা আসলে নতুন করে কেন দরকার হলো? প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই আইন-এর সাথে সংশ্লিষ্ট। ফলে তার অসহিষ্ণুতা এতো বেশি। সরকারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচেছ যে, দেশে বাল্যবিবাহ প্রায় ৬৬ শতাংশ, ফলে পরিসংখ্যান কম দেখানো সরকারের একটা উদ্দেশ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে বয়স কমালে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো দেখানো সহজ হয়। এই কারণে সরকারের এই পশ্চাৎপদতা। ধর্ষণের কারণে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বখাটেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আইন হতে পারে না। সন্তানের উপর মায়ের অভিভাবকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নারীর বিয়ের বয়স আরো বাড়ানো দরকার। একদিকে পরিসংখ্যান, বিশ্বে নিজেদের ভাল অবস্থান দেখানো, অন্যদিকে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্য থেকে সরকারের এই পদক্ষেপ। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সকল স্তরের নারীদের দাঁড়াতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, পুঁজির শাসন ও ধর্মান্ধগোষ্ঠীকে তুষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার এই বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের খসড়ায় বিশেষ বিধান রেখেছে।
Sangbadik Majid, Peelkhana 1 No Gate,
Hazaribag-Lalbag
Dhaka 01672774603
No comments:
Post a Comment