ষ্টাফ রিপোর্টার : ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করে সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি নামে যে আইন করতে যাচ্ছে সেটাকে নতুন বোতলে
পুরনো মদ বলে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বিলোপের পাশাপাশি প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯থেকে ২২ ধারা বাতিলের দাবি
জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, আর কোন টালবাহানা না করে এখনই ৫৭ ধারাসহ মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
বিরোধী সব কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
নতুন নামে আইনটি আনা হলে তা হবে নতুন বোতলে পুরনো মদ পরিবেশনের সমান। ৫৭ ধারার মতই নতুন আইনেরও
অপপ্রয়োগ হবে। প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনও গণমাধ্যমের কন্ঠ স্তব্ধ করার জন্য ভয়ানক কালো ধারা যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ
করে নেতারা বলেন, নাম পাল্টে একই আইন রাখা হলে তা দেশের সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার প্রতিবাদে এবং মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের
স্বাধীনতা বিরোধী প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ -২২ ধারা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক
ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে এ বিক্ষোভ সমাবেশে র আয়োজন করে ।
বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি রুহুল
আমীন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম
প্রধান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মুরসালীন নোমানী, সাংবাদিক
নেতা নূরুল আমিন রোকন, মোদাব্বের হোসেন, শহীদুল ইসলাম, ইলিয়াস খান, কাদের গণি চৌধুরী, সৈয়দ আলী আসফার,
বেলায়েত হোসেন, রাশেদুল হক, ডিএম আমিরুল ইসলাম, মীর হোসেন মীর, খন্দকার আলমগীর, শাজাহান শাজু, বামসাএ’র
চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাসুদ উজ জামান প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ বলেন, ৫৭ ধারা এই মুহূর্তে বাতিল করতে হবে। এ ধারায় হওয়া সব মামলা এখনই প্রত্যাহার করতে হবে। আর
নতুন করে যাতে কোন মামলা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে । ৫৭ ধারার আদলে নতুন কোন আইন বা ধারাও সাংবাদিক
সমাজ মানবে না।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের’ ১৯ থেকে ২২ ধারায় একই
বিষয়বস্ত সন্নিবেশিত করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনে কোন সংবাদে সরকার অসন্তুষ্ট হলে সাংবাদিককে ৭
বছরের জেল ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা করতে পারবে। সাংবাদিক নেতারা বলেন, নামে বা বেনামে মত প্রকাশের স্বাধীনতা
বিরোধী কালো আইন মাথায় ঝুলিয়ে রাখার মানে হচ্ছে ভীতি ও আতঙ্কে রাখা।
রুহুল আমীন গাজী বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে অতীতে কোন স্বৈরাচারী সরকার রক্ষা পায়নি । বর্তমান অবৈধ
সরকার গদি রক্ষার জন্য একের পর এক কালো আইন করছে। তাতে শেষ রক্ষা হবে না। তিনি অবিলম্বে সাগর-রুণী
হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবি জানান ।
এম আবদুল্লাহ বলেন, গত এক মাসে ৫৭ ধারায় বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকায় আজমল হক হেলাল, গোলাম
মুজতবা ধ্রুব, নাজমুল হোসেন, আহমদ রাজু, ছিদ্দিকুর রহমান, চট্টগ্রামে তৌফিকুল ইসলাম বাবর, হবিগঞ্জের গোলাম মোস্তাফা
রফিক কয়েক দিনের ব্যবধানে ৫৭ ধারার শিকার হয়েছেন। নতুন করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯থেকে ২২ ধারায়
মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের পাঁয়তারা করা হচ্ছে । সম্প্রচার আইন দিয়ে সব টেলিভিশনকে বিটিভি বানানোর ষড়যন্ত্র
পাকাপোক্ত করা হয়েছে। সাংবাদিক সমাজকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে /
Sangbadik Majid
Peelkhana
Dhaka
পুরনো মদ বলে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বিলোপের পাশাপাশি প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯থেকে ২২ ধারা বাতিলের দাবি
জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, আর কোন টালবাহানা না করে এখনই ৫৭ ধারাসহ মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
বিরোধী সব কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
নতুন নামে আইনটি আনা হলে তা হবে নতুন বোতলে পুরনো মদ পরিবেশনের সমান। ৫৭ ধারার মতই নতুন আইনেরও
অপপ্রয়োগ হবে। প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনও গণমাধ্যমের কন্ঠ স্তব্ধ করার জন্য ভয়ানক কালো ধারা যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ
করে নেতারা বলেন, নাম পাল্টে একই আইন রাখা হলে তা দেশের সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার প্রতিবাদে এবং মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের
স্বাধীনতা বিরোধী প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯ -২২ ধারা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক
ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে এ বিক্ষোভ সমাবেশে র আয়োজন করে ।
বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি রুহুল
আমীন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম
প্রধান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মুরসালীন নোমানী, সাংবাদিক
নেতা নূরুল আমিন রোকন, মোদাব্বের হোসেন, শহীদুল ইসলাম, ইলিয়াস খান, কাদের গণি চৌধুরী, সৈয়দ আলী আসফার,
বেলায়েত হোসেন, রাশেদুল হক, ডিএম আমিরুল ইসলাম, মীর হোসেন মীর, খন্দকার আলমগীর, শাজাহান শাজু, বামসাএ’র
চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাসুদ উজ জামান প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ বলেন, ৫৭ ধারা এই মুহূর্তে বাতিল করতে হবে। এ ধারায় হওয়া সব মামলা এখনই প্রত্যাহার করতে হবে। আর
নতুন করে যাতে কোন মামলা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে । ৫৭ ধারার আদলে নতুন কোন আইন বা ধারাও সাংবাদিক
সমাজ মানবে না।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের’ ১৯ থেকে ২২ ধারায় একই
বিষয়বস্ত সন্নিবেশিত করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনে কোন সংবাদে সরকার অসন্তুষ্ট হলে সাংবাদিককে ৭
বছরের জেল ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা করতে পারবে। সাংবাদিক নেতারা বলেন, নামে বা বেনামে মত প্রকাশের স্বাধীনতা
বিরোধী কালো আইন মাথায় ঝুলিয়ে রাখার মানে হচ্ছে ভীতি ও আতঙ্কে রাখা।
রুহুল আমীন গাজী বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে অতীতে কোন স্বৈরাচারী সরকার রক্ষা পায়নি । বর্তমান অবৈধ
সরকার গদি রক্ষার জন্য একের পর এক কালো আইন করছে। তাতে শেষ রক্ষা হবে না। তিনি অবিলম্বে সাগর-রুণী
হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবি জানান ।
এম আবদুল্লাহ বলেন, গত এক মাসে ৫৭ ধারায় বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকায় আজমল হক হেলাল, গোলাম
মুজতবা ধ্রুব, নাজমুল হোসেন, আহমদ রাজু, ছিদ্দিকুর রহমান, চট্টগ্রামে তৌফিকুল ইসলাম বাবর, হবিগঞ্জের গোলাম মোস্তাফা
রফিক কয়েক দিনের ব্যবধানে ৫৭ ধারার শিকার হয়েছেন। নতুন করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ১৯থেকে ২২ ধারায়
মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের পাঁয়তারা করা হচ্ছে । সম্প্রচার আইন দিয়ে সব টেলিভিশনকে বিটিভি বানানোর ষড়যন্ত্র
পাকাপোক্ত করা হয়েছে। সাংবাদিক সমাজকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে /
Sangbadik Majid
Peelkhana
Dhaka
No comments:
Post a Comment