বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে এবং অতিরিক্ত এই কর্তন বন্ধের দাবীতে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম এর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ৪ দিনের অবস্থান কর্মসূচীর প্রথম দিন আজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারিরা প্রচন্ড গরমের মধ্যেও এই অবস্থান কর্মসূচীতে অবস্থান করছেন এবং আরো শিক্ষক-কর্মচারী উক্ত কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের জন্য ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের পথে রয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের একটিই দাবী, এই অযৌক্তিক ও অমানবিক কর্তন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে পাঁচ লক্ষ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। অমানবিক ও অযৌক্তিক এই কর্তনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তেেরর মাননীয় মহাপরিচালক মহোদয়দের সাথে সাক্ষাত করে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্য শিক্ষামন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতিবাদের প্রতি কোনরূপ কর্ণপাত না করে এই কর্তন করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং এতে সহায়তা করছে অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিবসহ সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনরূপ বর্ধিত সুবিধা প্রদান না করে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের মাসিক এমপিও হতে চলমান ৬% কর্তনের সাথে অতিরিক্ত ৪% (অবসর সুবিধা বোডের্ ২% ও কল্যাণ ট্রাস্টে ২%) যোগ কওে মোট ১০% কর্তনের প্রজ্ঞাপন জারী করে। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের তীব্র প্রতিবাদের ফলে মন্ত্রণালয় উক্ত প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত ঘোষণা করে। কিন্তু ১৭ নভেম্বর,২০১৮ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উক্ত অতিরিক্ত ৪% কর্তন ২০১৯ সনের জানুয়ারি মাসের এমপিও হতে কর্তন করা হবে বলে ঘোষণা দেন। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের তীব্র প্রতিবাদের ফলে মাননীয় শিক্ষাসচিব মহোদয় ঐদিন সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাকে জানান, উক্ত প্রজ্ঞাপনটি ভুলক্রমে এসেেছ এবং তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো জানান যে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা ছাড়া উক্ত অতিরিক্ত কর্তন করা হবে না। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিরা তাঁর কথায় আশ^স্থ হয়েছিলেন। কিন্ত গত ১৫ এপ্রিল,২০১৯ পুনরায় মাননীয় উপসচিব জনাব কামরুল হাসানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এপ্রিলের এমপিও হতে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের আদেশ জারী করা হয় এবং ৪% কর্তন করেই এপ্রিলের এমপিও এর অর্থ ছাড় করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল,২০১৯ শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের মাননীয় ডিজি মহোদয়ের সাথে ৪% এই কর্তনের বিষয় নিয়ে আলোচনাও কোনরূপ সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
আজকের এই অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম এর সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম, মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল ইসলাম মাসুদ, সহসভাপতি বিপ্লব কান্তি দাস, হারুন অর রশিদ, মুদাচ্ছির আলম, রফিকুল ইসলাম মন্টু, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জব্বার, জি এম শাওন, দেলোয়ার হোসেন আজিজী, মো. আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তফা ভূইয়া, আইনুল হক, আমির হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ, মো. জহিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, এ বি সিদ্দিক জুয়েল, জ্যোতিষ মজুমদার, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান দুলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, সমাজ কল্যান সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান, এস এম ফরিদ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ গোলাম সাদেক, মো. আরিফুল ইসলাম, শামসুল আরেফিন, মেহেদী হাসান, নাজমুল হাসান, মো. বাসিদ আলী, মো. আব্দুল হালিম, আফরোজা খাতুন, পাপিয়া জান্নাত, মোঃ আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মো. আসলাম উদ্দিনসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে আগত ফোরামের নেতা-কর্মীবৃন্দ
বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। অমানবিক ও অযৌক্তিক এই কর্তনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তেেরর মাননীয় মহাপরিচালক মহোদয়দের সাথে সাক্ষাত করে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্য শিক্ষামন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতিবাদের প্রতি কোনরূপ কর্ণপাত না করে এই কর্তন করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং এতে সহায়তা করছে অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিবসহ সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনরূপ বর্ধিত সুবিধা প্রদান না করে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের মাসিক এমপিও হতে চলমান ৬% কর্তনের সাথে অতিরিক্ত ৪% (অবসর সুবিধা বোডের্ ২% ও কল্যাণ ট্রাস্টে ২%) যোগ কওে মোট ১০% কর্তনের প্রজ্ঞাপন জারী করে। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের তীব্র প্রতিবাদের ফলে মন্ত্রণালয় উক্ত প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত ঘোষণা করে। কিন্তু ১৭ নভেম্বর,২০১৮ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উক্ত অতিরিক্ত ৪% কর্তন ২০১৯ সনের জানুয়ারি মাসের এমপিও হতে কর্তন করা হবে বলে ঘোষণা দেন। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের তীব্র প্রতিবাদের ফলে মাননীয় শিক্ষাসচিব মহোদয় ঐদিন সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাকে জানান, উক্ত প্রজ্ঞাপনটি ভুলক্রমে এসেেছ এবং তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো জানান যে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা ছাড়া উক্ত অতিরিক্ত কর্তন করা হবে না। বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিরা তাঁর কথায় আশ^স্থ হয়েছিলেন। কিন্ত গত ১৫ এপ্রিল,২০১৯ পুনরায় মাননীয় উপসচিব জনাব কামরুল হাসানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এপ্রিলের এমপিও হতে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের আদেশ জারী করা হয় এবং ৪% কর্তন করেই এপ্রিলের এমপিও এর অর্থ ছাড় করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল,২০১৯ শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের মাননীয় ডিজি মহোদয়ের সাথে ৪% এই কর্তনের বিষয় নিয়ে আলোচনাও কোনরূপ সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
আজকের এই অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম এর সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম, মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল ইসলাম মাসুদ, সহসভাপতি বিপ্লব কান্তি দাস, হারুন অর রশিদ, মুদাচ্ছির আলম, রফিকুল ইসলাম মন্টু, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জব্বার, জি এম শাওন, দেলোয়ার হোসেন আজিজী, মো. আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তফা ভূইয়া, আইনুল হক, আমির হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ, মো. জহিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, এ বি সিদ্দিক জুয়েল, জ্যোতিষ মজুমদার, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান দুলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, সমাজ কল্যান সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান, এস এম ফরিদ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ গোলাম সাদেক, মো. আরিফুল ইসলাম, শামসুল আরেফিন, মেহেদী হাসান, নাজমুল হাসান, মো. বাসিদ আলী, মো. আব্দুল হালিম, আফরোজা খাতুন, পাপিয়া জান্নাত, মোঃ আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মো. আসলাম উদ্দিনসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে আগত ফোরামের নেতা-কর্মীবৃন্দ
No comments:
Post a Comment