এই বাজেট রাষ্ট্রের শ্রেণী চরিত্রেরই প্রতিফলন - বাম ঐক্য ফ্রন্ট
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাম ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ, বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার এবারো দেশি বিদেশি ঋণের উপর নির্ভরশীল আরো বড় ধরনের ঘাটতি বাজেট দিয়েছে।
আজ ১২ জুন ২০২০ শুক্রবার বাম ঐক্য ফ্রন্টের সমন্বয়ক, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহম্মদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সরওয়ার মুর্শেদ এবং কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বাজেটে কোথায় থেকে টাকা আসবে, কোথায় খরচ হবে তার কোনো সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। বাজেটে করোনা ও আম্ফানে বিধ্বস্ত খাতগুলোর দিকে তেমন কোনো নজর দেয়া হয়নি। চড়া সুদে যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে সেই ব্যাংকগুলোর ঋণ দেয়ার ক্ষমতা আছে নাকি সেই হিসেবও করা হয়নি। প্রয়োজন ছিলো দুর্যোগ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কৃষি গ্রামীণ স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করা। তিক্ত অভিজ্ঞতায় সাধারণ মানুষও প্রত্যাশা করেছিলেন, এবার অন্তত স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও কৃষি ও গ্রামীণখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। এবারও দুই খাত কার্যত উপেক্ষিত থাকছে। করোনাকালীন ব্যয়কে স্বাস্থ্যখাতে ঢুকানো সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও তা কার্যত শুভংকরের ফাঁকি ছাড়া আর কিছু নয়। বয়স্কভাতা সামান্য বাড়ানো সহ কিছু প্রচারমূলক কর্মকান্ডের বিবরণ ছাড়া সামাজিক সুরক্ষাও উপেক্ষিত থাকছে। ইতিমধ্যে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে, এমনিতেই ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানও ব্যাপক উর্ধমূখী। পুরানো বেকারদের সাথে দেশবিদেশের সৃষ্ট বেকারদের জন্য কোনো কার্যকর পরিকল্পনা নেই এই বাজেটে। মূলত নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকনির্দেশনা দিতেও ব্যার্থ হয়েছে। প্রয়োজন ছিলো বিলাসবহুল দ্রব্য আমদানি, রাজস্ব ব্যয় সহ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমিয়ে করোনা মোকাবেলায় কালোটাকা অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ উদ্ধার করা। অথচ অর্থমন্ত্রী নীতি-নৈতিকতা ও দুর্নীতিমুক্ত করার ফুলঝুরিতে কালোটাকা সাদা করার প্রস্তাব দিয়ে দুর্নীতিকে আবারও অবারিত করা হয়েছে। এতে আরো দুর্নীতি ও ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বাড়বে। এক কথায় এই বাজেট অতীতের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের শ্রেণী চরিত্রেরই প্রতিফলন।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সরকার প্রমাণ করলো তারা পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ এর স্বার্থ রক্ষা ছাড়া কিছুই করতে পারেনা।
বার্তা প্রেরক-
(মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন)
সদস্য, বাসদ, কেন্দ্রীয় কমিটি
No comments:
Post a Comment