ঢাকা, ১৪ জুলাই ২০২০
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মেডিকেল মাফিয়া চক্রের প্রধান হোতা সাহেদ আলম ও ডাঃ সাবরিনার মতো ভয়ঙ্কর অপরাধীদের দ্রুত বিচার আদালতে বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে একাত্তরে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটি। আজ (১৪ জুলাই) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
‘সম্প্রতি রিজেণ্ট হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাফল্যজনক অভিযানের পাশাপাশি করোনা সনাক্তকরণ সার্টিফিকেট জালিয়াতির অন্যতম হোতা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডাঃ সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর গ্রেফতারের পর আমাদের গোটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার গলদ সম্পর্কে গণমাধ্যমে যেসব উদ্বেগজনক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা আমাদের অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে।
‘বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীজনিত মহাদুর্যোগকালে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এই অভূতপূর্ব মহামারী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে একের পর যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের এবং পরিবারের সকল সদস্যের জীবন বিপণ্ন করে করোনাক্রান্ত ও অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন এবং এই সেবা প্রদান করতে গিয়ে নিজেদের আত্মাহুতি দিচ্ছেন। আমাদের সকল অর্জন সাহেদ ও সাবরিনাদের মতো জঘন্য দুর্বৃত্তদের নজিরবিহীন অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ভূয়া করোনা সনাক্তকরণ সার্টিফিকেট বিক্রি করে এই ধরনের দুর্বৃত্তরা দেশের জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা বিপণ্ন করার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের ভাবমূর্তি মলিন করেছে।
‘জেকেজি’র সাবরিনাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলেও রিজেণ্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ভয়ঙ্কর জালিয়াত সাহেদ এখনও গ্রেফতার হয়নি। আমরা এই দুর্বৃত্তের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি। একই সঙ্গে জালিয়াতচক্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কারা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাদের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত প্রতারক সাহেদ এবং তার লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালকে করোনা সনাক্তকরণ সনদপ্রদানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে- গোটা মেডিক্যার মাফিয়া চক্রকে খুঁজে বের করে তাদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার জন্য আমরা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ৫৬টি মামলার আসামী মেডিক্যাল মাফিয়া ডন সাহেদ প্রতারণার দায়ে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ঘনিষ্ঠ এই দুর্বৃত্ত কীভাবে কাদের মদদে আওয়ামী লীগে ঢুকেছে এবং প্রতারণার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে এটাও তদন্তের আওতায় আসা উচিত। কারণ বিষয়টি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা, রফতানি বাণিজ্য, রেমিটেন্স- সব কিছুর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহিষ্ণুতার অঙ্গীকার ও যাবতীয় অর্জন সব কিছু প্রশ্নবিদ্ধ হবে যদি সাহেদ সাবরিনাদের গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।’
সংবাদদাতা
(কাজী মুকুল)
No comments:
Post a Comment