রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। দলের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ মহাসমাবেশ করছে সংসদের প্রধান বিরোধী দলটি।
রোববার সকাল ৮টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১০টায় শুরু হয় বক্তৃতা পর্ব।
পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন। সমাবেশে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
পার্টি সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেবে। মহাসমাবেশ সফল করতে পার্টির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মহাসমাবেশ স্মরণীয় করে রাখতে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন দলটির নেতারা। ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট প্রস্থ মূল মঞ্চ, অতিথিদের জন্য ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট প্রস্থ এবং মিডিয়ার জন্য ১৮ বাই ২৬ ফুট মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও পুরো উদ্যানে প্রায় ৫০ হাজার চেয়ার দেয়া হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পযন্ত ১৫০টি মাইক লাগানো হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের বিশাল আকৃতির ছবি শোভা পাচ্ছে মাঠজুড়ে। এছাড়া পুরো উদ্যান ভরে গেছে নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে। মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগে একাধিক তোরন নির্মাণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জাতীয় পার্টি।
এরশাদ ও রওশন এরশাদ শনিবার মহাসমাবেশের মঞ্চ নির্মাণের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে যান। এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতি, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, আতিকুর রহমান আতিকসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মহাসমাবেশকে সামনে রেখে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি যুগান্তরকে বলেন, ‘স্মরণকালের বৃহৎ মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি। সব জেলা-উপজেলা থেকে আমাদের পার্টির নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ দলে দলে এতে যোগ দেবে। মহাসমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি পুরোপুরি শেষ।’ তিনি আরও বলেন, এ মহাসমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন।
Courtesy : By The Daily Jugantaor
No comments:
Post a Comment