-ঃপ্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ-
সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থের নির্বাচনে গণন্ত্র নয় বরং স্বৈরতন্ত্র ও শোষণ-লুন্ঠনকে আরো তীব্র করবে-
উদ্বোধনী সমাবেশে
ডাঃ এমএ
করিম।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর ঢাকা মহানগর কমিটির ৬ষ্ঠ সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ বিকাল ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রবীণ জননেতা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি ডাঃ এমএ করিম। উপস্থিত থাকেন শ্যামল কুমার ভৌমিক, সহ-সভাপতি-জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সভাপতি-বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি, চৌধুরী আশিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, মোঃ ইয়াসিন, সভাপতি-বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, সহ-সাধারণ সম্পাদক-জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, শাহজাহান কবির, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি, রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক-জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন, বাপ্পি দত্ত, জাতীয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য। উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাবীবউল্লা বাচ্চু। পরিচালনা করেন মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান।
উদ্বোধনী সমাবেশে ডাঃ এমএ করিম বলেন, এদেশের শ্রমিক-কৃষক-জনগণের শত্রু হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালালরা, আর এদেরকে উচ্ছেদ করতে পারলেই শহর-গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মুক্তি হবে। আর প্রতিষ্ঠিত হবে জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। নব-নির্বাচিত কমিটি সেই লড়াইয়ে দৃঢ় ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে উদ্বোধক তার উদ্বোধনী বক্তব্য শেষ করেন। এরপর প্রেস ক্লাব থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি তোপখানা রোড-পল্টন- বাইতুল মোকারম হয়ে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়। বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন শ্যামল কুমার ভৌমিক, চৌধুরী আশিকুল আলম, মোঃ ইয়াসিন, রফিকুল ইসলাম, বাপ্পি দত্ত প্রমুখ।
শ্যামল কুমার ভৌমিক তার বক্তব্যে বলেন, শোষণ-শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে গ্রামের কৃষক জমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে শহরে এস তারা এবং তাদের সন্তানেরা শ্রমজীবি মানুষের দলে ভিরছে। আজ তাই প্রয়োজন গ্রামের কৃষক, শ্রমিক, শ্রমজীবি আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বাচতে হলে দরকার কঠিন ঐক্য আর কঠিন সংগ্রাম।
চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, আমাদের দেশে বিকল্প ধারার শ্রমিক আন্দোলন নেতৃত্বের ভূমিকায় আসতে না পারার কারণে ক্ষমতাশীন প্রতিটি সরকার শ্রমিকদের অধিকার পদদলিত করে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে হিংস্র হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ছে শ্রমিকের দাবি ও অধিকার হরণ করতে। আজ শ্রমিক শ্রেণির সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শোষণ উচ্ছেদের সংগ্রাম আর আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে বিশ্ব বাজার পুনর্বন্টনের প্রশ্নে যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তার বিপরীতে শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে ন্যায় যুদ্ধকে অগ্রসর করা। সে আলোকে ঢাকা মহানগর কমিটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর কমিটি শ্রমিক আন্দোলনে সেই ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।
এর বাইরে অন্য বক্তারা বলেন, শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামকে বিভ্রান্ত-বিভক্ত করতে শাসক-শোষক গোষ্ঠি উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে।
সবশেষে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, শহর ও গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন-জীবিকার জরুরী প্রয়োজন ও সমস্যা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হতে হবে।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে হাবিবুল্লা বাচ্চুকে সভাপতি, আক্তারুজ্জামান খানকে সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ খোকনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষিত হয়।
সহ-সাধারণসম্পাদ
সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থের নির্বাচনে গণন্ত্র নয় বরং স্বৈরতন্ত্র ও শোষণ-লুন্ঠনকে আরো তীব্র করবে-
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর ঢাকা মহানগর কমিটির ৬ষ্ঠ সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ বিকাল ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রবীণ জননেতা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি ডাঃ এমএ করিম। উপস্থিত থাকেন শ্যামল কুমার ভৌমিক, সহ-সভাপতি-জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সভাপতি-বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি, চৌধুরী আশিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, মোঃ ইয়াসিন, সভাপতি-বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, সহ-সাধারণ সম্পাদক-জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, শাহজাহান কবির, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি, রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক-জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন, বাপ্পি দত্ত, জাতীয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য। উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাবীবউল্লা বাচ্চু। পরিচালনা করেন মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান।
উদ্বোধনী সমাবেশে ডাঃ এমএ করিম বলেন, এদেশের শ্রমিক-কৃষক-জনগণের শত্রু হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালালরা, আর এদেরকে উচ্ছেদ করতে পারলেই শহর-গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মুক্তি হবে। আর প্রতিষ্ঠিত হবে জাতীয় মুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। নব-নির্বাচিত কমিটি সেই লড়াইয়ে দৃঢ় ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে উদ্বোধক তার উদ্বোধনী বক্তব্য শেষ করেন। এরপর প্রেস ক্লাব থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি তোপখানা রোড-পল্টন- বাইতুল মোকারম হয়ে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়। বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন শ্যামল কুমার ভৌমিক, চৌধুরী আশিকুল আলম, মোঃ ইয়াসিন, রফিকুল ইসলাম, বাপ্পি দত্ত প্রমুখ।
শ্যামল কুমার ভৌমিক তার বক্তব্যে বলেন, শোষণ-শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে গ্রামের কৃষক জমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে শহরে এস তারা এবং তাদের সন্তানেরা শ্রমজীবি মানুষের দলে ভিরছে। আজ তাই প্রয়োজন গ্রামের কৃষক, শ্রমিক, শ্রমজীবি আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বাচতে হলে দরকার কঠিন ঐক্য আর কঠিন সংগ্রাম।
চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, আমাদের দেশে বিকল্প ধারার শ্রমিক আন্দোলন নেতৃত্বের ভূমিকায় আসতে না পারার কারণে ক্ষমতাশীন প্রতিটি সরকার শ্রমিকদের অধিকার পদদলিত করে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে হিংস্র হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ছে শ্রমিকের দাবি ও অধিকার হরণ করতে। আজ শ্রমিক শ্রেণির সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শোষণ উচ্ছেদের সংগ্রাম আর আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে বিশ্ব বাজার পুনর্বন্টনের প্রশ্নে যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তার বিপরীতে শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে ন্যায় যুদ্ধকে অগ্রসর করা। সে আলোকে ঢাকা মহানগর কমিটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর কমিটি শ্রমিক আন্দোলনে সেই ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।
এর বাইরে অন্য বক্তারা বলেন, শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামকে বিভ্রান্ত-বিভক্ত করতে শাসক-শোষক গোষ্ঠি উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে।
সবশেষে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, শহর ও গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন-জীবিকার জরুরী প্রয়োজন ও সমস্যা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হতে হবে।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে হাবিবুল্লা বাচ্চুকে সভাপতি, আক্তারুজ্জামান খানকে সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ খোকনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষিত হয়।
No comments:
Post a Comment