বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে ভোটারবিহীন সরকার যদি মনে করে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী থাকতে পারবে তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ অজস্র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা দায়ের করে বর্তমান সরকার যে গভীর চক্রান্ত করছে তা কোনদিনও সফল হতে দেব না।
তিনি বলেন, ২০১৭ কিংবা ১৮-১৯ যে সালই হোক না কেন এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। তিনি আরো বলেন, তেজগাঁওয়ের জনপ্রিয় নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারকে বারবার গ্রেফতার করে তার উপর যে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তিনি তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত নাগরিক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংগঠনের সমন্বয়কারী হাফিজুর রহমান কবির এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাবেক ছাত্র নেতা ড. মনিরুজ্জামান মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কাদের সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর আলম, কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম.এ কাইয়ুম সহ তেজগাঁও-শেরে বাংলানগর ও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মজিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ইঞ্জি. মিরাজউদ্দিন হায়দার, আব্দুল মতিন, আবু জাফর পাটোয়ারী বাবু, জামাই শাহ আলম, রিনা বেগম, জ্যোসনা মনি, ছাত্রনেতা নুরুল হুদা নুরু প্রমুখ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয় অনিবার্য। সংগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তবে, সে নির্বাচন শেখ হাসিনার অধিনে হবে না।
বক্তারা বলেন, তেজগাঁও থানা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা, বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারকে গত ১০ বছরে ১৫ বারের অধিক গ্রেফতার করেছে এবং তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। রিমান্ডের নামে তাকে শারিরীকভাবে মেরে ফেলানোর উদ্দেশ্যে আঘাত করাও হয়েছে। সর্বশেষ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে ফুল দিয়ে বের হয়ে আসার সময় খামার বাড়ি নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করেছে। আমরা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাকে মুক্তি দেয়া না হলে সাংবাদিক সম্মেলনসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
No comments:
Post a Comment