শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ২১ জানুয়ারি রোববার
প্রেস ক্লাবের সামনে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারির ঢল
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয়করণের একদফা দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি হতে শুরু হওয়া অবস্থান অনশন কর্মসূচিতে থাকা হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাজপথে প্রচন্ড শীতের মধ্যেও আজ আমরণ অনশনের ৭ম দিন পার করছেন। জাতীয়করণের একদফা দাবিতে সারা দেশ হতে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারি প্রতিদিন আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ ২১ জানুয়ারি সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রেখে প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসুচিতে অংশ নিয়েছেন।
আমরণ অনশন কর্মসূচিতে ৬টি শিক্ষক-কর্মচারি সংগঠনের জোট “বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম” এর নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন- আমরণ অনশনের আজ ৭ম দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সরকারের তরফ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। তাই বেসরকারি শিক্ষক সমাজ আজ বাধ্য হয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারিগণ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতীয়করণের দাবীতে প্রেস ক্লাবের সামনে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষক-কর্মচারিগণ সরকারের বিরোধী পক্ষ নয়, সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে চায়। সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর জাতীয়করণ সংক্রান্ত ইতিবাচক বক্তব্যে শিক্ষক সমাজ জাতীয়করণের ব্যাপারে আশান্বিত। কিন্তু নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয়করণের সুস্পষ্ট নীতিমালা ও সময়সীমা ঘোষণা করে শিক্ষকদের দাবি পূরণের আহবান জানান। আজ আরো ১৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হন এর মধ্যে সুনামগঞ্জের সালমা আক্তার ও চাপাই নবাবগঞ্জের মামুনুর রশিদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ রবিবার জাতীয়করণের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম এবং পাক্ষিক উত্তরনের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া। তারা শিক্ষকদের এ দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আমরণ অনশন কর্মসূচির বিভিন্ন পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন, জোটের আহবায়ক মো. আব্দুল খালেক, উপদেষ্টা মো. আবুল বাসার হাওলাদার, মো. জসিম উদ্দীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম রনি, মো. রফিকুল ইসলাম মন্টু, যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল হাসান সেলিম, জি এম শাওন, মতিউর রহমান দুলাল, মোস্তফা ভূইয়া, আবুল হোসেন মিলন, প্রেস সচিব মো. এনামুল ইসলাম মাসুদ, বিপ্লব কান্তি দাস, (সহ-সভাপতি, বাবেশিকফো), আমিনুল ইসলাম (সভাপতি, বাবেশিকফো), হারুন-অর-রশিদ (সহ সভাপতি, বাবেশিকফো), মোঃ জালাল উদ্দিন (সহ সভাপতি, বাবেশিকফো), দেলোয়ার হোসেন খোকন (যুগ্ম মহাসচিব, বাবেশিকফো), রেহান উদ্দিন (যুগ্ম মহাসচিব, বাবেশিকফো), রবিউল ইসলাম, সোহেলী পারভিন (যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বাবেশিকফো), মোঃ নুরুল ইসলাম (আইসিটি সম্পাদক বাবেশিকফো) শওকত হোসেন (সভাপতি মৌলভী বাজার), শাহনাজ পারভীন (প্রেসিডিয়াম সদস্য, শিক্ষক ইউনিয়ন), আঃ হালিম (ঢাকা উত্তর), সুচিত্রা চৌধুরী , রতন কুমার দেবনাথ, জ্যোতিষ মজুমদার, কালিপদ দাস, আফরোজা খাতুন মিনু (সিরাজগঞ্জ), মজিবুর রহমান (টাঙ্গাইল) ও জেলা উপজেলা থেকে আগত বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
No comments:
Post a Comment