প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গ: পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ “ব্রিটিশ হিল-ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল এক্ট ১৯০০ বাতিল ঘোষণার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ” .................মনিরুজ্জামান মনির

৪ হাজারতম পাড়া কেন্দ্রের উদ্বোধন করে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির মালিকানা নির্ধারনে বাংলাদেশের ভূমি আইন অনুসরন ও ব্রিটিশ হিল ট্রাক্টস ম্যানুয়েল এক্ট ১৯০০ বাতিলের ঘোষনা দেয়াতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন বর্তমান সরকারকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে। সমঅধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জনাব মনিরুজ্জামান মনির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিচুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়নের ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন জাতি পাহাড়ে শান্তি দেখতে চায়, জনসংহতি ও ইউপিডিএফ দলের বন্দুকযুদ্ধ কারোই কাম্য নয়। 


আজ ঢাকায় বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সমঅধিকার নেতা মনিরুজ্জামান মনির আরো বলেন- রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৫০৯৩ বর্গমাইল ভূমি বাংলাদেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এদেশবাসীই বাংলাদেশের ভূমির মালিক। ব্রিটিশ আমলের গোলামীর শাসন মেনে ভূমির সমস্যা মিটানো যাবেনা, এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে কাজে লাগাতে হবে। কমিশনে উপজাতি ও বাঙালি প্রতিনিধি এবং সরকারের প্রতিনিধি সমন্বয়ে সদস্য নির্ধারন পূর্বক শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালি ও উপজাতি জনগোষ্টিকে ভূমির মালিকানা বন্টন করে দিতে হবে। এজন্য অচিরেই পাহাড়ে কেডেস্ট্রাল সার্ভে প্রয়োজন। বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।  


এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনে পক্ষ থেকে পাহাড়ের আইন শৃঙ্খলার দ্রুত অবনতি ঘটায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে জনসংহতি ও ইউপিডিএফ নেতাদের চাপের মুখে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় উপজাতীয় নেতাদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং র্ঝনা চাকমা, রমেল মারমাসহ একাধিক উপজাতীয় আ’লীগ নেতাদের উপর বর্বর হানাদার চাকমা সন্ত্রাসীদের হামলা ও হতাহত করার জন্য তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এছাড়াও পার্বত্য গন পরিষদ এবং সমঅধিকার নারী আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের ভূমির বিরোধ মিটানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে ভূমি আইন অনুসরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে অচিরেই কম্বিং অপারেশন করে দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে যাবতীয় বে-আইনী অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার এবং পাহাড়ী সন্ত্রাসীদেরকে আটক করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়েছে।



অনুলিপি: সদয় অবগতি ও বহুল প্রচারের আবেদন সহ প্রেরিত হলঃ
১। মাননীয় চীফ রির্পোটার/বার্তা সম্পাদক, 
    সকলজাতীয় দৈনিক/বার্তা সংস্থা/টিভি চ্যানেল, ঢাকা, বাংলাদেশ।
    বার্তা প্রেরক

(প্রকৌশলী ফেরদৌস মানিক)
প্রচার সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন

Journalist: Mukti M Majid

Dhaka

Bangladesh