ছেলে গুম, স্বামী না ফেরার দেশে, মা কারাগারে
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। আমরা সবাই যখন খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিলে অংশগ্রহণ করছি, ঠিক সেই মুহুর্তে গুম হওয়া পরিবারের অনেক সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আমরা ভুলে গেছি বিমানবন্দর থানার মেধাবী ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার কথা। নিজাম উদ্দিন মুন্না বিমানবন্দর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল। রাজপথের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য অল্প সময়ের মধ্য দিয়ে সে সকলের নজর কেড়েছিল। তার কর্মকান্ড প্রশাসনের নজরও এড়ায়নি। ২০১৩ সালে ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০ টায় দক্ষিণখানস্থ প্রেম বাগান থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মুন্নাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দীর্ঘ ৪ বছর শেষে পাঁচ বছরে পা দিল আজও মুন্না গড়ে ফেরেনি। সন্তানের সন্ধানের দাবীতে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন মুন্নার পিতা মোঃ শামসুদ্দিন। সন্তানের শোকে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তখন তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছিলনা পরিবার। মুন্নার মা ময়ূরী বেগম বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার দেনা করে স্বামীকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ২০১৬ সালের ১৩ ই নভেম্বর রবিবার পুত্রের শোকে পিতা না ফেরার দেশে চলে যায়। মুন্না ছিল পরিবারের একমাত্র আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু। তার গুম হয়ে যাওয়ার কারণে ছোট ভাই রমিজ উদ্দিন রাজু এইচ.এস.সি পাশ করলেও আর সামনে এগুতে পারেনি। কোথাও কোন চাকরীও পায়নি। মুন্নার বড় বোন স্বামী সংসার নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছে। সেখানেই এখন ঠাই হয়েছে ময়ূরী বেগমের। মেঝো মেয়ে প্রতিবন্ধী, ছোট মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে, সেও কোন রকম স্বামী সংসার নিয়ে বেঁচে আছে। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারী মোবাইলে যখন ময়ূরী বেগমকে ফোন দিয়েছিলাম তখন ঐ প্রান্ত থেকে কান্নার শব্দ ষ্পষ্ট ভেসে আসছিল। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বললেন বাবা আমাদের সবকিছু শেষ। যিনি সব সময় আমাদেরকে ডেকে খোঁজ-খবর নিতেন এবং বিভিন্ন সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন সেই মা এখন কারাগারে। আমাদের ছোট্ট পরিবারের সবাই বিএনপি করে। চোখে মুখে এখন অন্ধকার দেখছি। ছেলে গুম, স্বামী না ফেরার দেশে, এক মেয়ে প্রতিবন্ধী, ঢাকায় বড় মেয়ের কাছে কোন রকম বেঁচে আছি। ফেনীর ছাগলনাইয়ার শুভপুরে জন্মগ্রহণ করেছে ময়ূরী বেগম। স্বামীর বাড়ী নোয়াখালী। জীবনের তাগিদে ছেলে সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস। প্রায় ৫ বছর হতে চললো প্রিয় সন্তান নিজাম উদ্দিন মুন্না গুম। আমরা কি এই অসহায় মায়ের পাশে দাড়াতে পারি না। আসুন আমরা যারা জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখি এবং সমর্থন করি, দেশে প্রবাসে যে যেখানেই থাকি না কেন সেখান থেকেই একজন মায়ের জন্য আমাদের সমর্থ অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। হয়তো জীবনের শেষ সময় মা আমাদের সহযোগিতার ফলে তার সন্তানের ফিরে আসার প্রত্যাশা নিয়ে বাকী দিনগুলো বেঁচে থাকবে।
গুম নিজাম উদ্দিন মুন্নার মা ময়ূরী বেগমের বিকাশ নাম্বার ঃ ০১৯৫০৯১৯০০৬
ব্যাংক একাউন্ট নং- ১৪০৩২০১০০০০১২৩৭৪, ইউসিবি ব্যাংক, দক্ষিণখান শাখা।
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। আমরা সবাই যখন খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিলে অংশগ্রহণ করছি, ঠিক সেই মুহুর্তে গুম হওয়া পরিবারের অনেক সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আমরা ভুলে গেছি বিমানবন্দর থানার মেধাবী ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার কথা। নিজাম উদ্দিন মুন্না বিমানবন্দর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল। রাজপথের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য অল্প সময়ের মধ্য দিয়ে সে সকলের নজর কেড়েছিল। তার কর্মকান্ড প্রশাসনের নজরও এড়ায়নি। ২০১৩ সালে ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০ টায় দক্ষিণখানস্থ প্রেম বাগান থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মুন্নাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দীর্ঘ ৪ বছর শেষে পাঁচ বছরে পা দিল আজও মুন্না গড়ে ফেরেনি। সন্তানের সন্ধানের দাবীতে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন মুন্নার পিতা মোঃ শামসুদ্দিন। সন্তানের শোকে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তখন তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছিলনা পরিবার। মুন্নার মা ময়ূরী বেগম বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার দেনা করে স্বামীকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ২০১৬ সালের ১৩ ই নভেম্বর রবিবার পুত্রের শোকে পিতা না ফেরার দেশে চলে যায়। মুন্না ছিল পরিবারের একমাত্র আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু। তার গুম হয়ে যাওয়ার কারণে ছোট ভাই রমিজ উদ্দিন রাজু এইচ.এস.সি পাশ করলেও আর সামনে এগুতে পারেনি। কোথাও কোন চাকরীও পায়নি। মুন্নার বড় বোন স্বামী সংসার নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছে। সেখানেই এখন ঠাই হয়েছে ময়ূরী বেগমের। মেঝো মেয়ে প্রতিবন্ধী, ছোট মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে, সেও কোন রকম স্বামী সংসার নিয়ে বেঁচে আছে। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারী মোবাইলে যখন ময়ূরী বেগমকে ফোন দিয়েছিলাম তখন ঐ প্রান্ত থেকে কান্নার শব্দ ষ্পষ্ট ভেসে আসছিল। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বললেন বাবা আমাদের সবকিছু শেষ। যিনি সব সময় আমাদেরকে ডেকে খোঁজ-খবর নিতেন এবং বিভিন্ন সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন সেই মা এখন কারাগারে। আমাদের ছোট্ট পরিবারের সবাই বিএনপি করে। চোখে মুখে এখন অন্ধকার দেখছি। ছেলে গুম, স্বামী না ফেরার দেশে, এক মেয়ে প্রতিবন্ধী, ঢাকায় বড় মেয়ের কাছে কোন রকম বেঁচে আছি। ফেনীর ছাগলনাইয়ার শুভপুরে জন্মগ্রহণ করেছে ময়ূরী বেগম। স্বামীর বাড়ী নোয়াখালী। জীবনের তাগিদে ছেলে সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস। প্রায় ৫ বছর হতে চললো প্রিয় সন্তান নিজাম উদ্দিন মুন্না গুম। আমরা কি এই অসহায় মায়ের পাশে দাড়াতে পারি না। আসুন আমরা যারা জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখি এবং সমর্থন করি, দেশে প্রবাসে যে যেখানেই থাকি না কেন সেখান থেকেই একজন মায়ের জন্য আমাদের সমর্থ অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। হয়তো জীবনের শেষ সময় মা আমাদের সহযোগিতার ফলে তার সন্তানের ফিরে আসার প্রত্যাশা নিয়ে বাকী দিনগুলো বেঁচে থাকবে।
গুম নিজাম উদ্দিন মুন্নার মা ময়ূরী বেগমের বিকাশ নাম্বার ঃ ০১৯৫০৯১৯০০৬
ব্যাংক একাউন্ট নং- ১৪০৩২০১০০০০১২৩৭৪, ইউসিবি ব্যাংক, দক্ষিণখান শাখা।
No comments:
Post a Comment