স্বদেশী ছোঁয়ায় ভার্জিনিয়ায় পিঠা উৎসবঃ
গত শনিবার, ১৯শে জানুয়ারী,২০১৯ আনন্দঘন আয়োজনে ভার্জিনিয়ার লরেলহীল এলিমেন্টারী স্কুল অডিটরিয়ামে সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল 'ফ্র্যান্ডস এন্ড ফ্যামিলি'র "পিঠা উৎসব"।
প্রবাসে আমরা যারা বসবাস করছি, তারা সবাই দেশের ফেলে আসা সময়, দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-ঐতিহ্য ভীষণভাবে মিস করি। আর তাইতো প্রবাসের যেসব জায়গায় বাঙালিরা বসতি গড়ে তুলেছে, সেখানে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও গড়ে তুলেছে আত্মার তাগিদে, স্বদেশ প্রেমের গভীর অনুভূতি নিয়ে... আর সারা বছর জুড়ে আয়োজন হচ্ছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। প্রাণের উচ্ছাস নিয়ে তেমনি একটি আয়োজন ছিল ফ্র্যান্ডস এন্ড ফ্যামিলি'র এই ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে ভীষণভাবে অভিভূত হয়েছি হল ভর্তি উপচে পড়া মানুষের ভীড় দেখে, কারণ প্রতিকুল আবহাওয়ায় উপস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। ভেতরে ঢুকে বিপুল পরিমান মানুষের উপস্থিতি দেখে মনে হলো বাঙালির উৎসব আনন্দে প্রতিকুল আবহাওয়া কোন বাঁধাই নয়। পুরো প্রাঙ্গণ জুড়ে পিঠার স্টলে বাহারী পিঠার আয়োজন দেখে ফেলে আসা সময়ের স্মৃতিগুলো ফিরে আসছিল... শীত মৌসুমে নতুন গুড় দিয়ে পিঠা তৈরী হতো... চারিদিক ভরে যেত পিঠার সুগন্ধে। পরিবারের মহিলারা মিলে যখন পিঠা তৈরীতে বসে যেত, সে যেন ছিল আরেক আনন্দমেলা, রান্না ঘর থেকে ভেসে আসা হাসি আনন্দের সেই মুহূর্তগুলো আজো কানে বাজে।
গত শনিবার, ১৯শে জানুয়ারী,২০১৯ আনন্দঘন আয়োজনে ভার্জিনিয়ার লরেলহীল এলিমেন্টারী স্কুল অডিটরিয়ামে সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল 'ফ্র্যান্ডস এন্ড ফ্যামিলি'র "পিঠা উৎসব"।
প্রবাসে আমরা যারা বসবাস করছি, তারা সবাই দেশের ফেলে আসা সময়, দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-ঐতিহ্য ভীষণভাবে মিস করি। আর তাইতো প্রবাসের যেসব জায়গায় বাঙালিরা বসতি গড়ে তুলেছে, সেখানে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও গড়ে তুলেছে আত্মার তাগিদে, স্বদেশ প্রেমের গভীর অনুভূতি নিয়ে... আর সারা বছর জুড়ে আয়োজন হচ্ছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। প্রাণের উচ্ছাস নিয়ে তেমনি একটি আয়োজন ছিল ফ্র্যান্ডস এন্ড ফ্যামিলি'র এই ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে ভীষণভাবে অভিভূত হয়েছি হল ভর্তি উপচে পড়া মানুষের ভীড় দেখে, কারণ প্রতিকুল আবহাওয়ায় উপস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। ভেতরে ঢুকে বিপুল পরিমান মানুষের উপস্থিতি দেখে মনে হলো বাঙালির উৎসব আনন্দে প্রতিকুল আবহাওয়া কোন বাঁধাই নয়। পুরো প্রাঙ্গণ জুড়ে পিঠার স্টলে বাহারী পিঠার আয়োজন দেখে ফেলে আসা সময়ের স্মৃতিগুলো ফিরে আসছিল... শীত মৌসুমে নতুন গুড় দিয়ে পিঠা তৈরী হতো... চারিদিক ভরে যেত পিঠার সুগন্ধে। পরিবারের মহিলারা মিলে যখন পিঠা তৈরীতে বসে যেত, সে যেন ছিল আরেক আনন্দমেলা, রান্না ঘর থেকে ভেসে আসা হাসি আনন্দের সেই মুহূর্তগুলো আজো কানে বাজে।
আয়োজিত পিঠা উৎসবে নানা পিঠা পায়েসের পাশাপাশি ছিল অন্যান্য মুখোরচক
খাবারের আয়োজন, ছিল স্বদেশী পোশাক এবং জুয়ালারীর স্টল। এছাড়া সারা সন্ধ্যা
জুড়ে ছিল আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশনা, উপস্থাপনায় ছিলেন
ওয়াশিংটনের সবার পরিচিত মুখ শতরুপা বড়ুয়া এবং শিব্বীর আহমেদ। সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিল- একক সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত, নৃত্যের ছন্দ, ছিল নিউ
ইয়র্ক ও স্থানীয় শিল্পীসহ বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথি শিল্পীদের ( জনপ্রিয়
সঙ্গীত শিল্পী হৃদয় খান ও সায়েরা রেজা) সঙ্গীত পরিবেশনা। উল্লেখ্য,
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে আরও ছিল স্থানীয় শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের
চমৎকার নৃত্য পরিবেশনা, ছিল বর্ণমালা ও তা থৈ-এর সুন্দর পরিবেশনা, রোকেয়া
হাসির চমৎকার একক নৃত্য পরিবেশনা এবং 'হৃদয়বীণা'র বিশেষ পরিবেশনা 'চোখের
আলোয়'- অংশগ্রহণে সোমা বোস, রুমা ভৌমিক, মিজানুর রহমান খান, মোহম্মদ মজিদ
এবং প্রিয়াংকা বোস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
ফেয়াফ্যাক্স কাউন্টির কমনওয়েলথ সম্মানিত এটর্ণী জেনারেল রে মরোহ এবং বিশেষ
অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেট নেতা ড্যান হেলমার,
হিউম্যান রাইটস এটর্ণী ও ডেমোক্রেট দলীয় নেতৃ ইয়াসমিন তায়েব, ফোবানা
কেন্দ্রীয় কমিটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি জাকারিয়া চৌধুরী, এবারের ফোবানা
সম্মেলনের হোস্ট কমিটি নিউ ইয়র্কের "ড্রামা সার্কেল"-এর পক্ষ থেকে সদস্য
সচিব আবীর আলমগীর এবং সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ। অনুষ্ঠান
আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আক্তার হোসাইন, শিব্বীর আহমেদ, বোরহান আহমেদ
এবং মোস্তাফা মুকুল। পিঠা উৎসবের কিছু মুহূর্ত নিয়ে আজকের এই এ্যলবাম
আপনাদের সাথে সহভাগিতা করার জন্য I
No comments:
Post a Comment