নীরবে চলে গেলেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা আশালতা দেবী । উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিকন্যা আশীতিপর আশালতা সরকার অসুস্থ অবস্থায় তাঁর শ্রীরামপুরের বাড়িতেই ছিলেন। তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে কথা বলার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে যায় তাঁর। অথচ বাংলাদেশ সরকার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অথবা দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার- কেউ তাঁর কোনো খোঁজ রাখেনি।
গাইবান্ধার মেয়ে আশালতা দেবী। ছাত্রাবস্থাতেই স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সালটা ১৯৩০। মাস্টারদা সূর্যসেনর সংস্পর্শে আসেন আশালতা দেবী। পরিচয় হয় প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, লোকনাথ বল ও গণেশ ঘোষের সঙ্গে। তাঁদের সহযোদ্ধা হিসাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অস্ত্রাগার লু্ণ্ঠনে আশালতা দেবীর সাহস সবার নজর কাড়ে।
স্বাধীনতার পর পশ্চিমবাংলায় থাকাকালীন সেবামূলক বিভিন্ন সামাজিক কর্মে যুক্ত ছিলেন আশালতা দেবী। ১৯৭২ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে তাম্রফলক দিয়ে সম্মানিত করেন।
এই মহান বিপ্লবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। শতকোটি রক্তিম অভিবাদন।
তথ্যসূত্র: Milan Farabi
No comments:
Post a Comment