সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তির দাবিতে জাসদ আজ দেশব্যাপী সুশাসন দিবস পালন করছে
ঢাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে
যারা আইন, কানুন, রাষ্ট্র, সরকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে নাÑএমন বেপরোয়াদের শায়েস্তা করতে সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তি দরকরÑহসানুল হক ইনু
জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, দেশে এখন শেয়ার বাজার লুটেরা, ব্যাংক লুটেরা, দলবাজ, দুর্নীতিবাজ, অসৎ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সরকারী অফিসারসহ অপরাধীরা নিজেদের ধরা ছোয়ার বাইরে ভাবছেন। তিনি বলেন, অতীতে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনী, জঙ্গিরাও ভেবেছিল কেউই তাদের স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু তাদের দম্ভ চূর্ণ হয়েছে, কেউই রেহাই পায়নি। জনাব ইনু বলেন, যারা ভাবছেন রাষ্ট্র-সরকার-রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে-তাদের জন্য যুদ্ধাপরধী, বঙ্গবন্ধুর খুনী, জঙ্গিদের মতই করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে। জনাব ইনু বলেন, ২০০৯-২০১৮ সাল ছিল রাজনৈতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন এবং উৎপাদন-উন্নয়নের যুদ্ধ পর্ব। ২০১৯ সালে রাজনীতির নতুন পর্ব শুরু হয়েছে, সুশাসনের জন্য যুদ্ধ পর্ব। তিনি বলেন, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, মাস্তান, গুন্ডাদের সিন্ডিকেটের ঘাটি খুটি ধ্বংস করে দিতে হবে। জনাব ইনু বলেন, যারা আইন-কানুন-রাষ্ট্র-সরকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে নাÑএমন বেপরোয়াদের শায়েস্তা করতেই সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তি দরকার। জনাব ইনু তার বক্তৃতার শুরুতে এডিস মশার বিস্তার, ডেঙ্গুর প্রকোপ, অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া, ডেঙ্গুতে বেশ কয়েকজন মানুষের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের দুরাবস্থায় গভীর দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবার-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত অসুস্থদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। জনাব ইনু ডেঙ্গু প্রতিরোধে, মানুষ বাঁচাতে সবাই এক সাথে মাঠে নামা এবং এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ ও ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলায় সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। জনাব ইনু বলেন, রাষ্ট্র-প্রশাসনের স্তরে স্তরে জবাবদিহিতা-দায়িত্বহীনতা-দুর্নীতির কারণে মানুষের দুঃখ-কষ্ট-দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনাব ইনু রাষ্ট্র-প্রশাসনের সকল স্তরে আইনের শাসন-সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হতে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। জনাব ইনু আজ জাসদ ঘোষিত দেশব্যাপী সুশাসন দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এ বক্তব্য রাখেন।
এ মানবন্ধন ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. হাবিবুর রহমান শওকত, নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবিব শামীম প্রমূখ।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জঙ্গি দমনের যুদ্ধের চাইতেও কঠিন যুদ্ধ। সুশাসনের জন্য যুদ্ধ উপর থেকে এবং নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, মুখ না দেখে দল না দেখে আইনের কঠোর প্রয়োগ হলেই সুশাসনের পথে দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে শাসনদন্ড আছে সেটার কঠোর ব্যবহার এখন সময়ের দাবি।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন
সহ-দফতর সম্পাদক
ঢাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে
যারা আইন, কানুন, রাষ্ট্র, সরকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে নাÑএমন বেপরোয়াদের শায়েস্তা করতে সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তি দরকরÑহসানুল হক ইনু
জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, দেশে এখন শেয়ার বাজার লুটেরা, ব্যাংক লুটেরা, দলবাজ, দুর্নীতিবাজ, অসৎ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সরকারী অফিসারসহ অপরাধীরা নিজেদের ধরা ছোয়ার বাইরে ভাবছেন। তিনি বলেন, অতীতে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনী, জঙ্গিরাও ভেবেছিল কেউই তাদের স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু তাদের দম্ভ চূর্ণ হয়েছে, কেউই রেহাই পায়নি। জনাব ইনু বলেন, যারা ভাবছেন রাষ্ট্র-সরকার-রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে-তাদের জন্য যুদ্ধাপরধী, বঙ্গবন্ধুর খুনী, জঙ্গিদের মতই করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে। জনাব ইনু বলেন, ২০০৯-২০১৮ সাল ছিল রাজনৈতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন এবং উৎপাদন-উন্নয়নের যুদ্ধ পর্ব। ২০১৯ সালে রাজনীতির নতুন পর্ব শুরু হয়েছে, সুশাসনের জন্য যুদ্ধ পর্ব। তিনি বলেন, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, মাস্তান, গুন্ডাদের সিন্ডিকেটের ঘাটি খুটি ধ্বংস করে দিতে হবে। জনাব ইনু বলেন, যারা আইন-কানুন-রাষ্ট্র-সরকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে নাÑএমন বেপরোয়াদের শায়েস্তা করতেই সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তি দরকার। জনাব ইনু তার বক্তৃতার শুরুতে এডিস মশার বিস্তার, ডেঙ্গুর প্রকোপ, অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া, ডেঙ্গুতে বেশ কয়েকজন মানুষের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের দুরাবস্থায় গভীর দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবার-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত অসুস্থদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। জনাব ইনু ডেঙ্গু প্রতিরোধে, মানুষ বাঁচাতে সবাই এক সাথে মাঠে নামা এবং এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ ও ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলায় সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। জনাব ইনু বলেন, রাষ্ট্র-প্রশাসনের স্তরে স্তরে জবাবদিহিতা-দায়িত্বহীনতা-দুর্নীতির কারণে মানুষের দুঃখ-কষ্ট-দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনাব ইনু রাষ্ট্র-প্রশাসনের সকল স্তরে আইনের শাসন-সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হতে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। জনাব ইনু আজ জাসদ ঘোষিত দেশব্যাপী সুশাসন দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এ বক্তব্য রাখেন।
এ মানবন্ধন ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. হাবিবুর রহমান শওকত, নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবিব শামীম প্রমূখ।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জঙ্গি দমনের যুদ্ধের চাইতেও কঠিন যুদ্ধ। সুশাসনের জন্য যুদ্ধ উপর থেকে এবং নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, মুখ না দেখে দল না দেখে আইনের কঠোর প্রয়োগ হলেই সুশাসনের পথে দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে শাসনদন্ড আছে সেটার কঠোর ব্যবহার এখন সময়ের দাবি।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন
সহ-দফতর সম্পাদক
No comments:
Post a Comment