আজ ২০ শে আগষ্ট বুধবার সকাল ১১টায় চামড়ার সিন্ডিকেট করে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাট চালিয়ে চামড়া শিল্পকে ধবংসের প্রতিবাদে গনতান্ত্রিক বাম ঐক্যর এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২২/১ তোপখানা রোডস্হজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাট করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট(মার্কসবাদী)'র সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যর সমন্বয়ক কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ,সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উওর দেন জোটের শীর্ষনেতা বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডাঃ সামছুল আলম,এসডিপির আহব্বায়ক কমরেড আবুল কালাম আজাদ কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড বিগ্গানী সামছুল হক সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যঃ
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগন,আমাদের জোটের পক্ষ থেকে ঈদের আগেই প্রেস বিগপ্তি দিয়ে সরকার কে সতর্ক করেছিলাম চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাটের পাঁয়তারা করছে কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেননাই। কারণ এই লুটপাটে সরকারের ও বাণিজ্য মন্ত্রীর হোমরা চোমরা ব্যক্তিরা জড়িত, চামড়া শিল্পকে ধ্বংসে দায়ী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি
বলা হচ্ছে সারাবিশ্বে চামড়ার দাম কমছে। আবার বলছে চামড়া যেন ভারতে পাচার না হয় সেজন্য বিজিবি সতর্ক আছে? একই সঙ্গে ঘোষণা দিল সরকার যে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানি করা যাবে। এতে করে চামড়াভারতে পাচার হবে।
ভারতের চামড়া শিল্পের বাজার বহুলাংশে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চামড়ার উপর নির্ভরশীল। পাকিস্তান ভারতের সাথে ব্যবসায় বন্ধ করে দেয়ায়, এ বছর ভারতকে বাংলাদেশের চামড়ার উপর অধিক নির্ভরশীল হতে হবে। ফলেবাজার চাহিদানুযায়ী চামড়ার দাম ভালো পাওয়ার কথা। কিন্তু এ বছর ঘটেছে সম্পূর্ণ উল্টো। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়েছেন বিশেষ কর মাদ্রাসার এতিমদের হক মারা হয়েছে এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে চামড়া পুঁতে, পুড়িয়ে বানদীতে ফেলে দিয়েছেন। এতে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ধ্বংস হবে। সাংবাদিক বন্ধুগন,স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও মেয়রদের দূর্নীতি- ব্যর্থতার কারণে ডেংগু আজ মহামারী রুপ নিয়েছে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন,তেমনিভাবে ব্যনিজ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদেরদূর্নীতি লুটপাট ব্যর্থতার কারণে চামড়াশিল্পে আজ এই অরাজকতা, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা, গণপরিবহনে চরম নৈরাজ্য সড়কে দুর্ঘটনার নামে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এর মধ্য মিরপুরের বস্তিতে আগুন দিয়ে হাজার হাজারঅসহায় মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা যারা সরকারের আশ্রয়ে প্রশয়েই থাকেে, ইতিমধ্যে শেয়ার বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে, কৃষকরা ধানের দাম না পেয়ে ধানক্ষেতে আগুন দিতে বাধ্যহয়েছে
দেশে এখন ব্রীজ কালভাট রাস্তা নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ দেয়া হচ্ছে মোট কথা দেশে এখন চরম নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলা হরিলুট চলছে সরকারের চেইন অব কমান্ড ভেংগে পরেছে এক প্রধানমন্ত্রী আর কত কি করবেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশছাড়া এখন মশা ও মারা হয় না। বন্ধুগন ্সব চাইতে বড় সমস্যা হলো দেশে এখন জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার নেই রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকার যারা রাতের ভোটে নির্বাচিত করে সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন সরকার এখনতাদের কাছেই জিম্মি হয়ে পড়েছে সরকারের উচিৎ অবিলম্বে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্হা করা নইলে ভবিষ্যৎ এ মনে হয় নিরাপদে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ বন্ধ হয়ে যাবে
এই রকম হরিলুট ব্যবস্থায় আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেটের কারণে কৃষক ধানের ন্যায্য দাম পায় না, কোরবানির পশুর চামড়ার দাম জনগণ পায় না, সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। এমনকি ডেঙ্গু মশার ওষুধক্রয়ে দুই কোম্পানি সিন্ডিকেট করে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুট করছে। আর্থিক ও ব্যাংক খাতে সিন্ডিকেটের লুটপাট চলছে। আর এসব সিন্ডিকেটের পাহারাদার এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে রাষ্ট্র ও সরকার।কতভাবে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পেতে পারেসরকার তার সব আয়োজন নিশ্চিত করে। ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণের সুদ মওকুফ করা হচ্ছে, ১০ বছরের জন্য অবলোপন করা হয় ঋণ। অপরদিকে কৃষকের মাত্র ৫০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণের কারণে তাদের নামে সার্টিফিকেট মামলাদিয়ে কোমরে দড়ি দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের কাজকারবার দেখে মনে হয়, জনগণের প্রতি সে কোনো দায় অনুভব করছে না।
আমরা এই বুর্জোয়া শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণের রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment