উপমহাদেশের সেরা রাজনীতিবিদ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবক্তা বরিশাল বিএম স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মানবতাবাদী পরোপকারী গরবী মানুষের বন্ধু মনিষী মহাত্ম অশি^নী কুমার দত্ত’র ৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্রের সবার প্রিয় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রোষ্টা ও ভারতেশ^রী হোম স্কুল এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহা’র ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দুইজন মনিষী ও গুনী ব্যক্তিদের স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ৯ নভেম্বর ২০১৯ বিকাল ৪.০০টায় সাংবাদিক নির্মলসেন মিলনায়তন, তোপখানা রোড, ঢাকা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল
বক্তব্য রাখেন- ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি’র মহাসচিব মঞ্জুর ঈসা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগে নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, সাংবাদিক মিজান শাহজাহান, বরিশাল বিভাগ সমিতি অন্যতম নেতা শহীদুন্নবি ডাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সমীরঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, মহাত্মা অশি^নী কুমার দত্ত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। সেই কারণেই ১৯১৭ সালে মহাত্মা মোহন দাস করমচাদগান্ধী ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ অশি^নী কুমার দত্তের সাথে দেখা করেন এবং এক পর্যায়ে মহাত্ম গান্ধী বলেছিলেন সারা ভাতর যখন ঘুমায় তখন থাকে জাগ্রত। কারণ অশি^নী কুমার দত্ত যা ভাবতেন এবং মানুষের কাছে বলতেন তাহাই পরবর্তীতে ফলতো। অশি^নী কুমার দত্ত ইংরেজ শাসনামলে ১৮৮৬ সালে বিএম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৮৮৯ সালে বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই কারণেই প্রতিষ্ঠা করেছেন যে উপমহাদেশকে সম্প্রতির উপমহাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। তিনি আধুনিক বরিশালের রূপকার। মহাত্মা অশি^নী কুমার দত্ত তার আইন পেশার সময় বরিশালে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন সত্য প্রেম পবিত্রতা। এই শব্দ তিনটি এখনো বিএম কলেজে আছে। আমরা যদি এই তিনটি শব্দকে অনুসরণ করতে পারি, তবেই বাংলাদেশ হবে জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র সবার বাস উপযোগী দেশ।
বক্তারা আরো বলেন, রণদা প্রসাদ সাহার লক্ষ ছিল মানুষকে শিক্ষিত করা, নারীদের জাগরণ সৃষ্টি করা এই লক্ষ্যেই তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভারতেশ^রী হোম ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং মানুসের স্বাস্থ্যসেবার জন্য মির্জাপুর হাসপাতাল করেন। এইসব গুনের অধিকারী থাকার পরও আমরা দেখতে পাই ৭১ এর ঘাতক জামায়তরা রণদাপ্রসাদ সাহাকে মেনে নিতে পারে নাই। তাই তারা ৭ই মে ১৯৭১ সালে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমরা তার হত্যার বিচার চাই এবং আজকের আলোচনা সভা থেকে ঘোষণা করতে চাই, রণদাপ্রসাদ সাহা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাঙালিদের বাংলা হবে সুশিক্ষাই শিক্ষিত মানব কল্যাণের মানব জাতি। বক্তরা আরো বলেন অশি^নী কুমার দত্তের নামানুসারে বরিশাল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামকরণের দাবী ও টাঙ্গাইলে রণদা প্রসাদ সাহার নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জোর দাবী জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। বক্তারা আরো বলেন বিএম কলেজের ছাত্র যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইত্তেফাকের সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন সাংবাদিক নির্মলসেন, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ। এই নেতাদের তৈয়ারের কারখানা যিনি প্রতিষ্ঠাতা তিনি হলেন মহাত্মা অশি^নী কুমার দত্ত। তাকেও রণদাপ্রসাদ সাহাকে শিক্ষার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য একুশে পদক দেওয়ার দাবী জানান সভা থেকে।
ধন্যবাদান্তে
কামাল হোসেন
দপ্তর সম্পাদক
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল
বক্তব্য রাখেন- ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি’র মহাসচিব মঞ্জুর ঈসা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগে নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, সাংবাদিক মিজান শাহজাহান, বরিশাল বিভাগ সমিতি অন্যতম নেতা শহীদুন্নবি ডাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সমীরঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, মহাত্মা অশি^নী কুমার দত্ত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। সেই কারণেই ১৯১৭ সালে মহাত্মা মোহন দাস করমচাদগান্ধী ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ অশি^নী কুমার দত্তের সাথে দেখা করেন এবং এক পর্যায়ে মহাত্ম গান্ধী বলেছিলেন সারা ভাতর যখন ঘুমায় তখন থাকে জাগ্রত। কারণ অশি^নী কুমার দত্ত যা ভাবতেন এবং মানুষের কাছে বলতেন তাহাই পরবর্তীতে ফলতো। অশি^নী কুমার দত্ত ইংরেজ শাসনামলে ১৮৮৬ সালে বিএম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৮৮৯ সালে বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই কারণেই প্রতিষ্ঠা করেছেন যে উপমহাদেশকে সম্প্রতির উপমহাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। তিনি আধুনিক বরিশালের রূপকার। মহাত্মা অশি^নী কুমার দত্ত তার আইন পেশার সময় বরিশালে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলেন সত্য প্রেম পবিত্রতা। এই শব্দ তিনটি এখনো বিএম কলেজে আছে। আমরা যদি এই তিনটি শব্দকে অনুসরণ করতে পারি, তবেই বাংলাদেশ হবে জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র সবার বাস উপযোগী দেশ।
বক্তারা আরো বলেন, রণদা প্রসাদ সাহার লক্ষ ছিল মানুষকে শিক্ষিত করা, নারীদের জাগরণ সৃষ্টি করা এই লক্ষ্যেই তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভারতেশ^রী হোম ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং মানুসের স্বাস্থ্যসেবার জন্য মির্জাপুর হাসপাতাল করেন। এইসব গুনের অধিকারী থাকার পরও আমরা দেখতে পাই ৭১ এর ঘাতক জামায়তরা রণদাপ্রসাদ সাহাকে মেনে নিতে পারে নাই। তাই তারা ৭ই মে ১৯৭১ সালে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমরা তার হত্যার বিচার চাই এবং আজকের আলোচনা সভা থেকে ঘোষণা করতে চাই, রণদাপ্রসাদ সাহা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাঙালিদের বাংলা হবে সুশিক্ষাই শিক্ষিত মানব কল্যাণের মানব জাতি। বক্তরা আরো বলেন অশি^নী কুমার দত্তের নামানুসারে বরিশাল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামকরণের দাবী ও টাঙ্গাইলে রণদা প্রসাদ সাহার নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জোর দাবী জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। বক্তারা আরো বলেন বিএম কলেজের ছাত্র যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইত্তেফাকের সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন সাংবাদিক নির্মলসেন, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ। এই নেতাদের তৈয়ারের কারখানা যিনি প্রতিষ্ঠাতা তিনি হলেন মহাত্মা অশি^নী কুমার দত্ত। তাকেও রণদাপ্রসাদ সাহাকে শিক্ষার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য একুশে পদক দেওয়ার দাবী জানান সভা থেকে।
ধন্যবাদান্তে
কামাল হোসেন
দপ্তর সম্পাদক
No comments:
Post a Comment