http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Monday, November 11, 2019

পাট সমিতি ঘেরাও কর্মসূচি




প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিজেএমসি’র নিকট সাধারণ পাট ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা প্রদানের দাবীতে আজ ১১ নভেম্বর ঢাকার মতিঝিলের বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেছে সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতি এবং বাংলদেশ ক্ষুদ্র পট বাবসায়ী সমিতি। সকাল ১০:০০ টা থেকে ঘেরাও কর্মসূচি পালন কালে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক খোন্দকার আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পাট ব্যবসায়ীদের দাবিতে সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ আব্দুল আজিজ, মোঃ হারুন অর রশিদ, টিপু সুলতান, মোঃ শামীম মোরল, শরিফুল ইসলাম, নাদেম দত্ত এবং মোঃ আব্দুল মালেক ভূইয়া। সারাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার সাধারণ পাট ব্যবসায়ী এবং পাট চাষী ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন ব্যসায়ীদের এই দাবী ন্যায়তো এবং যৌক্তিক, এতো বড় বিশাল জাতীয় বাজেটে উল্ল্যেখিত বকেয়া টাকা নামে মাত্র টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থা তথা সরকারের উচিৎ শীঘ্রই পাট ব্যবসায়ীদের উল্ল্যেখিত বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সংশ্লিষ্টদের নিকট পাওনা পরিশোধের অনুরোধ জানাচ্ছি।  

অন্যান্য বক্তরা বলেন গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত বিজেএমবি’র কাছে প্রায় ৫ হাজার পাট ব্যবসায়ী ও পাট চাষীদের ৪৫২ কোটি ৯২ লাখ পাওনা রয়েছে। বিজেএমসি’র বিভিন্ন পাট এর ক্রয় কেন্দ্রে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী ও পাট চাষীদের পাট সরবারাহ বাবদ এ পরিমান অর্থ পাওনা টাকা পরিশোধের দাবী জানিয়ে বরাবর বিজেএমসি কতৃপক্ষের সঙ্গে যেগাযোগ করেও কোন সাড়া মেলেনি। পাওনা টাকা আদায়ের দাবীতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যেগে বিগত দিনেও সংবাদ সম্মেলন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ এবং বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয় ঘেরাও সহ আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এরপরও সাধারণ পাট ব্যবসায়ীদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করায় তারা পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করার দাবি জানানো হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে দাবী পূরন করা না হলে বিজেএমসি’র আওতাধীন মিলঘাট সহ দেশের সমস্ত পাট ক্রয় কেন্দ্রে পাট সরবারহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বক্তারা তাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধে বিজেএমসিকে বাধ্য করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনাব অর্থমন্ত্রী এবং জনাব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর মহোয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষানা করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

বার্তা প্রেরক

(মোঃ আব্দুল আজিজ)
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতি

No comments: