http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, May 16, 2020

Re: Bangladesh : FACT FINDING BY BDMW ON THE INCIDENT OF ATTACK ON HINDU HOUSES RELATING TO FACE BOOK ISSUE AT BHOLA DISTRICT ON 16.05.2020./

ফেইসবুকে শ্রীরাম দাসের ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে আবারও হামলা
এবংপুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ভোলায় গতকাল শুক্রবার ।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর মনপুরার চৌমুহনী বাজারে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে
সংঘর্ষের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এই বিষয়ে তদন্ত করছেন ।

পরে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে
মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান।

ও , সি বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচকে বলেন, যে যুবকের বিরুদ্ধে (শ্রীরাম দাস)
অবমাননাকর ফেইসবুক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত কাল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে । মামলা নং ০৫ তারিখ
১৬।০৫।২০২০ ধারাঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮, ২৪ এবং ২৫ ।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই যুবক স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে মাছের ব্যবসা করেন।
তিনি রামনেওয়াজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে।

স্থানীয়দের অভিযোগের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার ওই যুবকের ফেইসবুক
অ্যাকাউন্ট থেকে ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে’ একটি পোস্ট
দেওয়া হয়।

“এর জের ধরে আজ জুমার নামাজের পর উপজেলার রামনেওয়াজ জামে মসজিদ,
কাউয়ারটেক কিল্লার পাড় জামে মসজিদ ও চৌমুহনী জামে মসজিদের মানুষ মিছিল
করে রামনেওয়াজ চৌমুহনী বাজারে জমায়েত হয়।

“মিছিলের কিছু লোক বাজারে ওই যুবকের দোকানে হামলা চালালে খবর পেয়ে পুলিশ
গিয়ে বাধা দেয়, তাতে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পুলিশ
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।”

পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস ও রামনেওয়াজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত
উল্লা আলমগীর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জহির, সাইফুল, করিম, আল আমিন, রাহাত ও ছোট করিমের
নাম জানা গেছে। তারা সবাই উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের
বাসিন্দা বলে ওসি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, “ফেইসবুকে মন্তব্য
করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনপুরায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। জুমার নামাজের
পর চারিদিক থেকে মিছিল করে এসে মানুষ উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ করে। কিছু
উশৃঙ্খল মানুষ পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করে। সবাইকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি
শান্ত করা হয়েছে।”

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের পক্ষ থেকে আমি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ মনপুরা থানার
অফিসার ইন চার্জ শাকায়াত হোসাইনের সঙ্গে তার মোবাইলে (০১৭৩৩৭৪৩০৬) কথা
বলি তিনি আমাদের বলেছেন পরিস্তিতি আয়ত্তের মধ্যে আছে । হিন্দু ছেলে
শ্রীরাম দাস একটি বানোয়াট ফেস বুক থেকে আসা ধর্মীয় অবমাননার খবরটি
ফরওয়ার্ড করার অপরাধে মুসলমান সম্প্রদায়ের মনে ও প্রানে আঘাত পাওয়ার
কারনে এই আক্রমনের সুত্রপাত । আমি ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোঃ কাইসারের
সঙ্গে কথা বলি , তিনি আমাদের আসার খবর দিয়ে বলেন " যারা আক্রমন করেছে
তাদের বিরুদ্দেও মামলা হবে এবং গ্রেতার হবে"

আমি ভোলা জেলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকির সাথে কথা
বলি,মোঃ০১৭১৫২১১৮৯৯ । তিনি বি , ডি , এম , ডাবলু কে বলেন " গতকাল আমরা
সারাক্ষণ এই আক্রমনের ব্যাপারটি নিয়া ব্যস্ত ছিলাম - এই ভাবে ঘটনা জানার
জন্য আপনারা বিরক্ত করলে আমরা পাগল হয়ে যাব " পরে তিনি আমাকে মনপুরা
উপজেলার ইউ , এন , ও , বিপুল দাসের সঙ্গে কথা বলতে বলেন - আমি ইউ , এন ,
ও ,বিপুল দাসের সঙ্গে কথা বলি - তিনি বলেন ১৪ থেকে ১৫ টি মসজিদ থেকে
হাজার হাজার মুসল্লি জমায়েত হয়ে ইসলামের অবমাননার বিরুদ্ধে মিছিল করতে
থাকে এবং এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা অমান্য করে ভাংচুর আরম্ব করে - হিন্দু
ছেলে শ্রীরাম দাসকে গ্রেফতার করার পর পরিস্তিতি শান্ত হয় "

এর আগে গত বছরের ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এক হিন্দু তরুণের
ফেইসবুক আইডি ‘হ্যাক করে অবমাননাকর’ বক্তব্য ছড়ানোর পর ‘মুসলিম তাওহিদী
জনতা’র ব্যানারে সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল কয়েকশ মানুষ।

ওইদিন দফায় দফায় সংঘগর্ষে এক মাদ্রাসাছাত্রসহ আন্তত চারজন নিহত হন, আহত
হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এহেন আক্রমনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে -
অনাহুতভাবে শ্রীরাম দাসকে গ্রেফতারের নিন্দা করছেন । পুলিশ হামলাকারীদের
বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে ভুল করেছেন - অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের
গ্রেফতার করে আইনানুগ বাবস্তা নেবার দাবী জানাচ্ছি - শ্রীরাম দাসের ধর্ম
অবমাননার বিষয়টি সটীক তদন্ত করে তাকে ছেড়ে দেয়া হউক ।

দেশে এই মহামারী COVID-19 চলাকালীন জড়ো হওয়ার জন্য সরকারের নির্দেশ
লঙ্ঘনের জন্য আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তার করা উচিত।

No comments: