পাটশিল্পকে গলাটিপে মেরে সৎকারের পথ থেকে সরে আসুন: জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেয়া এবং পিপিপির অধীনে পরিচালনার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে নিজ হাতে গলা টিপে পাটশিল্পকে মেরে ফেলা ও সৎকারের আয়োজন থেকে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন, পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করার দায় শ্রমিকের না বরং যখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমুলকভাবে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করা হয়েছে। পাটশিল্পের আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণ না করে, পাট কেনায় যথাসময়ে টাকা বরাদ্দ না দিয়ে, পাটকেনায় দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে, কারখানাগুলি পরিচলনে দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করা হয়েছে। তারা বলেন, পাটশিল্পের লোকসানকে অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হিসাবে চিন্থিত করা হয়েছে। গত ৪৪ বছরে পাটশিল্পে পুঞ্জিভূত লোকসান ১০হাজার ৫০০ কোটি টাকাসহ ব্যাংক ঋণের পরিমান ৫০ হাজার কোট টাকা। কিন্ত বিমান বা বিদ্যুতের কুইক রেন্টালসহ বড় লোকসানি খাতে প্রতি বছর অর্থাৎ এক বছরে যে পরিমান লোকসান বা অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা পাটশিল্পের ৫০ বছরের পুঞ্জিভূত লোকসানের চাইতেও বেশি। ২৫ টি কারখানা মানে শুধুমাত্র ২৫হাজার শ্রমিকই পাটশিল্প মানে বিশাল পাট অর্থনীতি। এককোটি পাটচাষী থেকে শুরু করে চট উৎপাদনের মাঝখানে, অগ্র ও পশ্চাতে আরও এককোটি মানুষ পাটকেন্দ্রিক অর্থনীতি-জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত।
তারা বলেন, আদমজী বন্ধ হবার পর সেখানে আধুনিক পাটকারখানা গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি, আদমজীর জমি শিল্পপ্লট করে আরে কারখানার সবকিছু স্ক্র্যাপ করে জমি আর স্ক্র্যাপের হরিলুট হয়েছে। তারা বলেন, সরকারের পিপিপির অধীনে পাটকলগুলি চালু করার সদিচ্ছাও আদমজীর মত হরিলুটের খেলায় হারিয়ে যাবে। তারা পাটকলগুলি বন্ধ করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রতিটি পাটকারখানাকে একটি এন্টারপ্রাইজ হিসাবে পরিচালনার করার জন্য সরকার ও শ্রমিকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করার দাবি জানান। তারা বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধের জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা থেকে মাত্র ১২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২৫টি পাটকল আধুনিকায়ন করে ২৫ হাজার শ্রমিককে মাসে ২৫ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। তারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে যখন পাটের জেনম আবিস্কৃত হয়েছে, পাটের পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা চলছে তখন পাটকল বন্ধ করে দেয়া এবং পাট অর্থনীতিকে পরিত্যক্ত করার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন
দফতর সম্পাদক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেয়া এবং পিপিপির অধীনে পরিচালনার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে নিজ হাতে গলা টিপে পাটশিল্পকে মেরে ফেলা ও সৎকারের আয়োজন থেকে ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন, পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করার দায় শ্রমিকের না বরং যখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমুলকভাবে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করা হয়েছে। পাটশিল্পের আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণ না করে, পাট কেনায় যথাসময়ে টাকা বরাদ্দ না দিয়ে, পাটকেনায় দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে, কারখানাগুলি পরিচলনে দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিনত করা হয়েছে। তারা বলেন, পাটশিল্পের লোকসানকে অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হিসাবে চিন্থিত করা হয়েছে। গত ৪৪ বছরে পাটশিল্পে পুঞ্জিভূত লোকসান ১০হাজার ৫০০ কোটি টাকাসহ ব্যাংক ঋণের পরিমান ৫০ হাজার কোট টাকা। কিন্ত বিমান বা বিদ্যুতের কুইক রেন্টালসহ বড় লোকসানি খাতে প্রতি বছর অর্থাৎ এক বছরে যে পরিমান লোকসান বা অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা পাটশিল্পের ৫০ বছরের পুঞ্জিভূত লোকসানের চাইতেও বেশি। ২৫ টি কারখানা মানে শুধুমাত্র ২৫হাজার শ্রমিকই পাটশিল্প মানে বিশাল পাট অর্থনীতি। এককোটি পাটচাষী থেকে শুরু করে চট উৎপাদনের মাঝখানে, অগ্র ও পশ্চাতে আরও এককোটি মানুষ পাটকেন্দ্রিক অর্থনীতি-জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত।
তারা বলেন, আদমজী বন্ধ হবার পর সেখানে আধুনিক পাটকারখানা গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি, আদমজীর জমি শিল্পপ্লট করে আরে কারখানার সবকিছু স্ক্র্যাপ করে জমি আর স্ক্র্যাপের হরিলুট হয়েছে। তারা বলেন, সরকারের পিপিপির অধীনে পাটকলগুলি চালু করার সদিচ্ছাও আদমজীর মত হরিলুটের খেলায় হারিয়ে যাবে। তারা পাটকলগুলি বন্ধ করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রতিটি পাটকারখানাকে একটি এন্টারপ্রাইজ হিসাবে পরিচালনার করার জন্য সরকার ও শ্রমিকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করার দাবি জানান। তারা বলেন, ২৫টি পাটকল বন্ধের জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা থেকে মাত্র ১২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২৫টি পাটকল আধুনিকায়ন করে ২৫ হাজার শ্রমিককে মাসে ২৫ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। তারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে যখন পাটের জেনম আবিস্কৃত হয়েছে, পাটের পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা চলছে তখন পাটকল বন্ধ করে দেয়া এবং পাট অর্থনীতিকে পরিত্যক্ত করার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদ হোসেন
দফতর সম্পাদক
No comments:
Post a Comment