http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, April 27, 2019

অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধের দাবীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরমের শিক্ষক সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি।

বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের অবসর সুবিধা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে চাঁদার নামে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধের দাবীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরমের শিক্ষক সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি।
অদ্য ২৬ এপ্রিল'২০১৯ তারিখ বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের ব্যানারে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক শিক্ষক সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। ঢাকায় প্রায় 38 ডিগ্রী তাপমাত্রা উপেক্ষা করে উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারি উপস্থিত হয়ে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে চাঁদার নামে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে উক্ত ৪% কর্তনের প্রজ্ঞাপনটি স্থায়ী বাতিল করা সহ এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের জোর দাবী জানান। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা জানান- শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিও হতে অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতিমাসে ৬% টাকা কর্তন করে থাকে। কিন্তু  বিগত ১৫/০৬/২০১৭ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের কোনরূপ বর্ধিত সুবিধা না দিয়ে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে উক্ত ৬% এর সাথে আরো অতিরিক্ত ৪% চাঁদা কর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই এই অমানবিক অতিরিক্ত কর্তনের আদেশে দেশের বিক্ষুব্ধ শিক্ষক কর্মচারিরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি তখন স্থগিত করা হয়। ঐ প্রজ্ঞাপনটি স্থায়ীভাবে বাতিল করতে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
একই প্রজ্ঞাপন বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আবারো কার্যকর করার চেষ্টা করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। তখনও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম তীব্র প্রতিবাদ জানালে মাননীয় শিক্ষা সচিব জনাব সোহরাব হোসেন বিগত ১৭ ডিসেম্বর'২০১৮ তারিখ সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষা.কম-কে জানান, উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিটি ভুলক্রমে দেয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদার হার বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। আগের মতই চাঁদার হার ৬ শতাংশই থাকবে। তিনি বলেছিলেন, চাঁদার হার বৃদ্ধির বিষয়ে শিক্ষকদের আপত্তি রয়েছে, তাই অবসর ও কল্যাণে চাঁদা বৃদ্ধি করা হবে না। বিষয়টি নজরে আসার পর পরই আদেশটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করা হয়। শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করা ছাড়া কখনোই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলেও সচিব মহোদয় জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিগত ১৫ এপ্রিল'২০১৯ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুনরায় অবসর-কল্যাণ ট্রাষ্টে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের আদেশ জারি করে। এতে দেশব্যাপী বিক্ষুব্ধ শিক্ষক কর্মচারিরা ফোরামের ব্যানারে ১৮ এপ্রিল'১৯ তারিখ বিক্ষোভ সমাবেশ ও শিক্ষা মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় কোন রূপ কর্ণপাত না করে চলতি মাসের বেতন থেকেই অতিরিক্ত কর্তনের আদেশ বহাল ও বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম এর সভাপতি জনাব সাইদুল হাসান সেলিম ৪% অতিরিক্ত কর্তন স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবীতে নিম্নরূপ কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন।
১। আগামী ০১/০৫/২০১৯ থেকে ০৫/০৫/২০১৯ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
বক্তারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর-কল্যাণ ট্রাষ্টে শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন থেকে প্রতিমাসে ৬ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টেও নীতিমালায় শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন থেকে ৬% চাঁদা কর্তনের পরেও ঘাটতি পূরণে সরকারি সহযোগিতার কথা বলা হয়েছিল। অথচ অবসর কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা কোন ব্যাংকে জমা রাখা হয় আর লভ্যাংশ কত পায় এবং কারা এই লভ্যাংশ  ভোগ করেন তার কোনও হিসেব নিকেশ চাঁদা প্রদানকারী শিক্ষক কর্মচারিরা জানেন না । অপরদিকে ২০০২ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষায় দেখা যায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক পর্যায়ের এক কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেছে। ৪০ কোটি টাকা সরকারি ব্যাংক হতে বেসরকারি ব্যাংকের চলতি হিসাবে স্থানান্তর করে উক্ত টাকার লভ্যাংশ ভোগ করছে পরিচালনা কমিটি।  বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের চাঁদার টাকা এবং সরকারি সহযোগিতার টাকা একত্র করে অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদর অবসর সুবিধা প্রদানে কোন সমস্যা বা ঘাটতি দেখা দিবে না। তিনি অবিলম্বে দূর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা ও তদন্ত করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
উক্ত শিক্ষক সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল ইসলাম মাসুদ, সহসভাপতি বিপ্লব কান্তি দাস, হারুন অর রশিদ, মুদাচ্ছির আলম, রফিকুল ইসলাম মন্টু, মোঃ জালাল উদ্দিন, সাজিদ মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জব্বার, জি এম শাওন, দেলোয়ার হোসেন আজিজী, মো. আব্দুল হালিম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন,  মোহাম্মদ মোস্তফা ভূইয়া, আইনুল হক, আমির হোসেন, সৈয়দ এনামুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ, মো. জহিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, এ বি সিদ্দিক জুয়েল, যতিশ মজুমদার, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান দুলাল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. কামরুল হাসান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, সমাজ কল্যান সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান, এস এম ফরিদ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল মতিন, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসাম্মৎ আফরোজা খাতুন এবং জেলা উপজেলা হতে আগত নেতৃবৃন্দ।
উক্ত শিক্ষক সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ গোলাম সাদেক, মোঃ আরিফুল ইসলাম, কাজী আশরাফুজ্জামান, রিঙ্কু রঞ্জন দাস, শামসুল আরেফিন, মেহেদী হাসান, নাজমুল হাসান, মো. বাসিদ আলী, মো. আব্দুল হালিম, আফরোজা খাতুন, পাপিয়া জান্নাত, মোঃ আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মোঃ আসলাম উদ্দিন, দেবব্রত সাহা, কালীপদ রায়, লুৎফর রহমান, মোঃ রকিবুর রায়হান প্রমূখ

No comments: