তারিখঃ ২৭/০৪/২০১৯ প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১ মে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহান মে দিবসে সবেতনে সর্বাত্মক ছুটি কার্যকর, ২০ রমযানের মধ্যে উৎসব বোনাসসহ বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবিতে দেশব্যাপীবিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত-
১ মে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহান মে দিবসে সবেতনে সর্বাত্মক ছুটি কার্যকর, রমযানের অজুহাতে সকল ধরণের ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ, হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টিবেকারী শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, নিম্নতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের দাবিতে আজ ২৭ এপ্রিল২০১৯ ইং শনিবার বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন-এর উদ্যোগে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেবিকাল ৪ টায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন-এর সভাপতি আব্দুল খালেক।সমাবেশ সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি প্রবীণ জননেতা ডাঃ এম এ করিম, বাংলাদেশ ট্রেডইউনিয়ন সংঘ-এর সভাপতি হাবিব উল্লা বাচ্চু, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিকফেডারেশনের সভাপতি মোঃ ইয়াসিন, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আক্তারুজ্জামান খান, জাতীয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্যও ঢাকা মহানগর কমিটির সম্পাদক রুপালী আজাদ, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সোলেমান মল্লিকপ্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস। এই দিনে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকশ্রেণির ঐক্য, সংহতি ও মজুরি দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙ্গার শপথ নিতে মহান মেদিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হলেও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ করে হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা মে দিবস পালনসহ সকল আইনিঅধিকার থেকে বঞ্চিত। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকরা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শ্রমিকদের থাকা-খাওয়াপরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। শ্রমিকদের জন্য দেশের প্রচলিত শ্রম আইনে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, হাজিরা খাতা, সার্ভিস বহি, সেলারিশিট থাকলেও বছরের পর বছরধরে শ্রমিকরা এই সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। রমযান আসলেই মালিকরা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য রমযানের অজুহাতে কাজের মজুরি ও উৎসব বোনাস না দিয়েশ্রমিক ছাঁটাই করে দেয়। যার দরুন শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অমানবিক জীবন-যাপনে বাধ্য হয়। এ বছরেও মালিকরা পূর্বের ধারাবাহিকতায়শ্রমিকদের মহান মে দিবস পালন করতে না দেওয়া, রমযানের অজুহাতে ছাঁটাই-নির্যাতনসহ বকেয়া মজুরি ও উৎসব বোনাস না দেওয়ার বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে লিপ্ত।
বক্তারা অবিলম্বে মালিকদের এ ধরণের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বন্ধ করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহান মে দিবসে সবেতনে সর্বাত্মক ছুটি কার্যকর করাসহ বকেয়া মজুরি ওউৎসব বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানান। একইসাথে সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করে দূর্বার আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি আদায়ের পথে অগ্রসরহওয়ার জন্যে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বার্তা প্রেরক
কাওছার হোসেন
ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
No comments:
Post a Comment