নির্বাচনী অঙ্গীকার-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে শিক্ষা সচিবের নির্দেশ
ডেইলিএডুকেশনডটনেট www.dailyeducation.net
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিবার্চনী অঙ্গীকার সংশ্লিট শিক্ষা প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করার এবং নতুন প্রকল্প নেয়ার চেয়ে পুরোনো প্রকল্পসমূহের দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশদিয়েছেন শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্পাধীন এলাকায় অবস্থান করারওনির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালকগণ যাতে প্রকল্পসংশিষ্ট এলাকায় অবস্থান করেন তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব [উন্নয়ন] ও পরিকল্পনা প্রধানকে বলাহয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন ছোটবড় প্রকল্পের সংখ্যা প্রায় ৫০ টি। এসব প্রকল্পের অধিকাংশেরই পরিচালক প্রশাসন ক্যাডারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদেরকর্মকতা।
আগামী শুকনা মৌসুমের মধ্যে কীভাবে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায় সে বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৫ই জুলাই জারি করা সচিবের ওই নির্দেশনা সকলপ্রকল্প পরিচালক এখনও পাননি বলে ডেইলিএডুকেশনের অনুসন্ধানে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়বিহীন উপজেলায় ৩০৬টি মডেল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও ঢাকা শহরে ১১ টিসরকারি স্কুল এবং ৬টি কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রকল্প দুটির বাস্তবায়নের বর্তমান গতিতে শিক্ষামন্ত্রী ও সচিব খুবই অসন্তুষ্ট। এ দুটি প্রকল্পেরই পরিচালক দামী গাড়ী হাঁকান এবং শিক্ষা ভবনের২য় ব্লকে অফিস।
“৩০৬ মডেল প্রকল্পের পরিচালক কে এম রফিকুল ইসলাম [বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার] এরশাদ সরকারের একজন মন্ত্রীর এপিএস ছিলেন। আবার ২০০২ থেকে ২০০৬ খৃস্টাব্দ পর্যন্তবেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা বোর্ডে কর্মরত ছিলেন। ভাগ বাটোয়ারায় বনিবনা না হলে ওই প্রতিষ্ঠানটির সদস্য-সচিব ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইঁয়া তাকে বোর্ডথেকে অন্যত্র বদলি করে দেন,” তিনি বলেন।
২০০৯ খৃস্টাব্দে ৩০৬ মডেল প্রকল্পের পরিচালক পদে আসেন রফিকুল ইসলাম। ১০০টি বিদ্যালয়ের জন্য যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতি ধরা পড়ায় সরকারের পরিকল্পনা ও মূল্যায়নবিভাগের আপত্তি এবং শিক্ষাসচিবের নির্দেশনায় প্রায় ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ আছে।
জানতে চাইলে, রফিকুল ইসলাম ডেইলিএডুকেশনডটনেটকে জানান, শুরুতে একজন যুগ্ম-সচিব [সারোয়ার খান] এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন । তাকে সরিয়ে আমাকে দেয়ার পরথেকেই নানাভাবে দুর্নীতির অজুহাত খোজাঁর চেষ্টা চলছে। মাঝখান থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রকল্পটি। এরশাদ সরকারের এক মন্ত্রীর এপিএস হিসেবে ও বিগত বিএনপি আমলে অবসরসুবিধা বোর্ডে চাকরী করার কথা স্বীকার করেন রফিকুল ইসলাম। প্রকল্পের কাজ কেন বন্ধ এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, “পিপি সংশোধনের কাজ চলছে”। রফিকুল ইসলামের ফোন নাম্বার০১৭১৫৭৮৪৭৬৫।
ঢাকা মহানগরীতে ১১টি স্কুল ও ৬টি সরকারি কলেজ প্রকল্প পরিচালক মানিক চন্দ্র দে একজন যুগ্ম-সচিব। ২০১০ খৃস্টাব্দে এ প্রকল্পে যোগ দিয়ে প্রথম ৯ মাস শুধু প্রকল্প পরিচালকেরগাড়ী কেনা ও অফিস কক্ষ বরাদ্দ পাওয়া নিয়ে সময় কেটেছে তার। মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, যতদিন গাড়ী ও অফিস পাননি ততদিন সারাদিনমন্ত্রণালয়ে ধরনা দিতো। কিন্তু এখন খুবই কম আসেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের অবস্থা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা জানান “মুখ থুবড়ে পড়ে আছে বলতে পারেন”। মানিক চন্দ্র দে বলেন,ঢাকা শহরে কেউ জমি ছাড়তে চায় না তাই কাজ আগাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের সাথে এ প্রকল্পটি সরাসরি সম্পর্কিত। মানিক চন্দ্র দে’র ফোন নাম্বার০১৭১১৯৬১২৫২।
ডেইলিএডুকেশনডটনেট/ঢাকা/৭ আগস্ট, ২০১২/র/ই/
No comments:
Post a Comment