http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, September 14, 2019

"রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি না করার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিশেয়ন"


গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিশেয়নের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন -আশ্রিত রোহিঙ্গারা বিভিন্নপন্থায় বাংলাদেশী সিম ব্যবহার করে সীমান্তের এপার এবং ওপারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে অনেকে চোরাচালানমাদক পাচারমানব পাচারইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। বেসরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী  লক্ষাধিক মোবাইল সিম রয়েছে রোহিঙ্গাদের মাঝে। বাংলাদেশী অপারেটরদের সিম শুধু রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে নয়সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের মংডু পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অনুরূপভাবে মিয়ানমারের চার অপারেটরের সিমকার্ড এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা ব্যবহার করে থাকে। গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠান করার পর সকল মহলে বিস্ময় ছড়িয়েছে  কারণে যেএরা কিভাবে নিজেদের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যমে এমন সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের অনিবন্ধিত সিম বিক্রি বেআইনি। আর মোবাইল সিম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। নির্বাচন কমিশনে সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মেলানোর পর ‘বায়োমেট্রিক’ নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়।  নিয়ম অনুসরণ করা হলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। তাই মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ীদের প্রতি আমার দাবি থাকবে রোহিঙ্গাদের  কাছে সিম বিক্রি না করার।
কিন্তু কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার একটি বড় অংশের হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে বিভিন্ন সময়ে। এসব অবৈধ মোবাইল সিম চাঁদাবাজিমাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা ।সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার পক্ষে রোহিঙ্গা শিবির কেন্দ্রিক মোবাইল সেবা বন্ধের কথা বলা হলেও অদ্যাবধি  ব্যাপারে কার্যকর কিছুই হয়নি। আশ্রিত রোহিঙ্গারা ঠিকই নেটওয়ার্ক পাচ্ছে। দিনরাত ব্যবহৃত হচ্ছে এদেশীয় সিম। এতে করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিমিষেই পাচার হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন সংস্থার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছেরোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনবিরোধী কর্মকা-সহ সকল অপকর্মের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনই অন্যতম। নিমিষেই তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গাদের মাঝে মোবাইল সেবা বন্ধের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে,  রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশী অপারেটদের মোবাইল সিম গেল কিভাবে। একটি নয়কারও কারও কাছে  থেকে ৭টি সিমও রয়েছে।  ব্যাপারে তথ্যানুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয় নেয়ার পর স্থানীয়রাই মূলত এদের কাছে মোবাইল সিম সরবরাহ করেছে। স্থানীয়রা নিজেদের নামে একাধিক সিমকার্ড নিয়ে কিছুটা অধিক মূল্যে রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করেছে। এসব মোবাইল সিম শুধু এদেশে আশ্রিতদের মাঝে নয়সীমান্তের ওপারেও চলে গেছে। উখিয়া টেকনাফ অঞ্চলের মোবাইল অপারেটরদের যেসব টাওয়ার রয়েছে এসব টাওয়ার থেকে নেটওয়ার্ক ওপারের মংডু পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়া দুটি মোবাইল অপারেটর সংস্থা আশ্রয় শিবির কেন্দ্রিক টাওয়ারও প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেযাতে রোহিঙ্গারা সহজে মোবাইল নেটওয়ার্ক যোগাযোগের আওতায় থাকে। সরকারের প্রতি আমাদের দাবি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে থাকা দুটি  টাওয়ার যাতে বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন।


No comments: