http://themonthlymuktidooth.blogspot.com

Saturday, November 30, 2019

চাঁদাবজি বন্ধ বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার নিউজ

চাঁদাবাজি বন্ধ ও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২বছরের পর্যবেক্ষন
রাঙ্গামাটিতে ২মন্ত্রীর বৈঠকঃ সন্তুলারমা অনুপস্থিত?

(মোঃ মনিরুজ্জামান মনির)
০২/১২/২০১৯ইং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা ঐতিহাসিক বহুল আলোচিত শান্তিচুক্তির ২২বছর পূর্ণ হতে চলেছে। প্রায় দুই হাজার উপজাতিয় যুবক সন্তুলারমার নেত্রীত্বে গত ০২/১২/১৯৯৭ইং সরকারের কাছে ৮৭২টি অস্ত্র জমা দিয়ে  খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম এ আত্মসমর্পন করে ছিল। পর্যবেক্ষক মহল এটি কে শান্তি প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ জন্য অস্ত্রের সংখ্যা নিয়ে কিংবা আত্মসমর্পন কারী শান্তিবাহিনী সদস্য সংখ্যা নিয়ে সরকার পক্ষ ও সাংবাদিক মহল কোন উচ্চবাচ্চ করেন নাই, পাছে আবার মূল শান্তি প্রক্রিয়া যাতে ব্যাহত না হয়।
আশার কথা ছিল ০২/১২/১৯৯৭ইং এর পর ধাপে ধাপে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইতে থাকবে। কিন্তু, বাস্তবে তা আর হলো না। চুক্তির পরপরই পাহাড়ে আর একটি গ্রুপ ইউপিডিএফ নামে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার মাধ্যমে অস্ত্রের রাজনীতি সূচনা করে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে মূলত চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, এলাকা দখল, একক মাতবরী প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি নিয়েই বন্দুক যুদ্ধ চলতে থাকে। এপর্যন্ত উপজাতীদের আর্মস ক্যাডার জে এস এস বনাম ইউপিডিএফ নাম ধারী দুটি দলের হানাহানী ও বন্দুক যুদ্ধে প্রায় ১২ শত উপজাতি যুবক নিহত হয়েছে। যদিও উপজাতি নেতারা একে ভ্রাত্রী ঘাতি সংঘাত বা সামান্য ব্যাপার বলে চালিয়ে দেন, কিন্তু বাস্তবে এটা হলো ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং চাঁদা বাজির ভাগাভাগি ও নারী কর্মী দের ভোগ করন ঝগড়া। এটা আদর্শের দ্বন্দ্ব নয়, এম এন লারমার আত্মা এতে অশান্তি পাচ্ছে। উপজাতি যুবকদের হামবড়া, একগুয়েমি অস্ত্রের জোর খাটানো ইত্যাদি ছাড়া ঐই সব বন্দুক যুদ্ধ সাধারণ উপজাতি ও বাংগালীদের বিন্দুমাত্র লাভ নাই। এটা জুমল্যান্ড এর নামে শন্তুলারমার স্বঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে সমর্থন করে না।  জানা যায়-বিগত ১৯৮৪সালে উপেন্দ্রলাল চাকমার মধ্যস্থতায় বাঘাইছড়ি উপজেলার শেল ওয়েল কোম্পানীর বিদেশী প্রকৌশলী দের কে অপহরন ও মুক্তিপণ বাবদ শন্তুলারমাকে ২২কেজি স্বর্ন এবং ১ কোটি রুপী নগদে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকেই জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বাধীন ‘জুম্ম লিবারেশন আর্মী জে এল এ বা শান্তি বাহিনী চাঁদাবাজি ওমুক্তিপণ আদায়ের কালচার অনুশিলন ও শক্তিশালী করে এবং পাহাড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণ একটি লাভজনক শিল্পে পরিনত হয়। ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য বাসিদের একটাই পর্যবেক্ষণ/মন্তব্য তা হলো-“চাঁদা ছাড়া পাহাড়ে একটা গাছের পাতাও নড়েনা” (ডিবিসি নিউজ ৩০/১১/২০১৯ইং সকাল ১০টা )। জে এস এস নেতা মঙ্গলকুমার চাকমার স্বাক্ষরে ৩ পার্বত্য জেলায় লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। ০২/১২/২০১৯ইং শান্তি চুক্তি ২২বছর পালনের জন্য রশিদ দিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে এই চাঁদাবাজি। অথচ জেলা প্রশাসণ নিরব, দেখেও দেখে না, জেনেও জানে না, শুনেও শুনে না। কোন কোন কর্মকর্তার মন্তব্য-কই আমার কাছে তো কেউ চাঁদাবাজির অভিযোগ করেনাই, অভিযোগ না পেলে ব্যবস্থা নিব কি ভাবে? অন্যদিকে ভুক্তভুগি সাধারন মানুষের মনে আতঙ্ক, অভিযোগ করলে আবার যদি অত্যাচারিত হতে হয়? লিখিত ভাবে জীবনের ভয়ে অনেক বাঙ্গালী, ঠিকাদার ব্যাবসায়ী ও কাঠ ব্যাবসায়ী ইত্যাদি অভিযোগ করতে ভয়পায়। অথচ চাঁদাবাজি শিল্প কে পুঁজি করে পাহাড়ী সস্ত্রাসী’রা উত্তরোত্তর মোটাতাজা হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে খুন ডাকাতি, ধর্ষন অগ্নিসংযোগ, ভূমি দস্যুতা, বাঙ্গালী নিধন ও দেশ বিরোধী অপপ্রচার। আজ দেশে বিদেশে শান্তিচুক্তির বার্তাটি বহুল ভাবে প্রচারিত হচ্ছে। শন্তুলারমা দীর্ঘ এক যুগ এর ও বেশি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন থেকে সরকারী ও বে সরকারী যাবতীয় সুবিধাদি ভোগ করে চলছেন। ১৯৭৯ জন আত্মসমর্পণ কারী শান্তি বাহিনী ক্যাডার কে সরকারি চাকুরী দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার চাকমা শরনার্থী শিবিরে যারা ছিল তাদের লক্ষাধিক সদস্য কে ৫০হাজার টাকা, চাল, ডাল, রেশন, টিন, নাপ্পি ইত্যাদি দিয়ে নিজ নিজ ভূমি তে পূণর্বাসন করা হয়েছে। এজন্য বহু বাঙ্গালী পরিবার কে জোর করে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, বৃহত্তর শান্তির প্রত্যাশায়। অনেক সেনা ক্যাম্প এখন উপজাতি সন্ত্রাসী দের অভয়ারন্য। অনেক মসজিদ-মুসলমানের কবর ইত্যাদি ভেঙ্গে দিয়ে উপজাতিদের ঘরবাড়ি বানানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে শহীদ বীর বাঙ্গালী ও মুসলিম সৈনিক দের কবর এর গর্তটিকে উপজাতীয়রা নিজেদের টয়লেট বানিয়েছে, যেকানে গরু ছাগল চরতো যেখানে এখন উপজাতিয়রা শুকর চড়ায়।  তার পরও বাঙ্গালীদের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ অব্যাহত আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৫টি থানায় ও পুলিশ ফাড়িতে এখনো কোন চাকমার অপরাধী হলেও বাঙ্গালীরা মামলা বা জিডি করতে ভয়পায়। থানা পুলিশ চাকমা দের বিরুদ্ধে কোন মামলা রাখে না যদিও উপজাতিরা নিজেদের বিচার নিজেরাই করে হেডম্যানের বা সার্কেল চিফের মাধ্যমে। অথচ সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন উভয়েই উপজাতিদের পক্ষে থাকার পরেও চাকমা চিফ দেবাশিষ রায় এবং শন্তুলারমারা চান উপজাতীয় পুলিশ বাহিনী অথবা মিলিশিয়া বাহিনী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় পাবার জন্য তাদের হাহাকার। এজন্যেই বুঝি রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম.পি, আসার পর শান্তি আলোচনায় বসার জন্য শন্তুলারমাকে দাওয়াত দিয়ে ছিলেন, অথচ শন্তুবাবু এলেন না কেন?
পাহাড়ে দীর্ঘ দিন যাবত উপজাতী নেতারা হামবড়া মনোভাবে জর্জরিত। বিভিন্ন সময়ে শান্তি আলোচনা আমন্ত্রন পেয়েও তারা সরকারের কাছে নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে বৈঠক বানচাল করে দেন। অনেক সময় যেসব দেশ প্রমিক উপজাতি নেতা শান্তি আলোচনায় যোগ দিতেন তাদের কে বলা হতো-‘জুম্ম জাতির দুশমন, সরকারের দালাল, দুলা গুষ্টি নিপাত যাক ইত্যাদি বলে গালাগাল করা হতো, কাউকে আবার হত্যা করা হয়েছে (শান্তিময় দেওয়ান, চুনিলাল চাকমা, বংকিম দেওয়ান, মেজর পিওর, চাবাই মগ, কিনামোহন চাকমা, শুবিনয় চাকমা এবং বাঙ্গালী নেতা আব্দুল রশিদ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পার্বত্য বার্তা সম্পাদক আব্দুল রশিদ এবং দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভূমি সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহম্মদ কে একাধিক বার হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়ে ছিল, অনেক কেই করা হয়েছে কিলিং লিষ্ট) । বিচারপতি খাদিমুল ইসলাম চৌধুরী ভূমি কমিশন পাহাড়ে একটি কার্যকরি ও দ্বায়িত্ব শীল ভুমিকা পালন করেছিল । কিন্তু তিনি যখন উপজাতি নেতা দের দখলকৃত এবং বাঙ্গালী দের বসবাসকৃত বাড়ীঘর ও সরকারের খাস জমি, বনভূমি, পাহাড় অরণ্য ইত্যাদি চিহ্নিত করার জন্য ভূমি জরিপ করার জন্য উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন (ক্যাডাসট্রাল সার্ভে) তখনি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। উপজাতি হেডম্যান কারবারিরা থলের বিড়াল বের হওয়ার ভয়ে হরতাল অবরোধ ডেকে ঐ বিচার পতিকে অসম্মান করেছেন।
এক কালে শন্তুলারমা বিরোধী নেতা ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারের বিভিন্ন সময়ে সুবিধা ভোগকারী গৌতম দেওয়ান কে লেলিয়ে দেওয়া হয়ে ছিল তার বিরুদ্ধে। ৫হাজার মামলা শুনানী না করেই বিচার পতি খাদেমুল কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোন কোন উপজাতি নেতা তাকে থামানোর জন্য কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের টোপ দিয়ে ছিলেন এবং নানা রুপ লোভ লালসা দেখিয়ে নিষ্কৃয় কারার অপচেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি সরকারী দ্বায়িত্ব পালনে কোন লোভ লালসা কে প্রশ্রয় দেন নাই।
গত অক্টবর ২০১৯ইং রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউসে  সরকারের দুই মন্ত্রী (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর) এবং পুলিশ, বিজিবি, নিরাপত্তা বাহিনী, ডিসি,এসপি, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান আলোচ্য সূচি ছিল-রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান থেকে সব বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার এবং উপজাতি রাষ্ট্রদ্রোহী সস্ত্রাসী দের আত্মসমর্পনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু উক্ত বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েও জে এস এস নেতা এবং আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু সন্তুলারমা মাত্র ২০০মিটার দূরে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা সত্বেও শান্তি আলোচনায় আসেন নাই। ফলে কক্সবাজারের জলদস্যু দের আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্ত হলেও শন্তুলারমার টেকনিকের কারনে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নাই। এই ঘটনা থেকে পার্ব্যত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রিয় জনগন প্রশ্ন তুলেছেন-শন্তুলারমা আসলে কি চান? শান্তি চুক্তির মূল চেতনা ছিল সকল বেআইনি অস্ত্র জমা দান যা তিনি মোটেও পালন করেন নাই। অন্যদিকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়, আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়সহ আদিবাসি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি মূলত নিজেকে জুমল্যান্ডের পথেই ধাবিত করেছেন, তিনি বাংলাদেশের সংবিধান ও সম্মানিত দুই মন্ত্রীকে অসম্মাান করার মাধ্যমে শান্তি চুক্তির মূূল চেতনা থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন এবং শান্তি চুক্তির রোড ম্যাপ ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন।
শান্তিচুক্তি ২২বছর পরেও আমরা পার্বত্যবাসি বাঙ্গালীরা অনাদর, অবহেলা লাঞ্চনার শিকার। পাহাড়ে তিন উপজাতি নেতাকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদায়ন এবং অফিস আদালত সসর্বত্র উপজাতি কর্মকর্তা কর্মচারী দের ভিড়। হাজার হাজার উপজাতি যুবক কে সরকারি চাকুরী, ব্যবসা বানিজ্য ঠিকাদারী ওকালতি ইত্যাদিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বাঙ্গালী দের প্রতি চলছে বিমাতাসুলভ আচরণ। কট্টর বাঙ্গালী বিদ্বেষী এনবিকে ত্রিপুরা পুলিশ অফিসার কে শন্তুলারমার শুপারিশে প্রথমে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে এবং বর্তমানে চুক্তিভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। বাঙ্গালীরা ঘরের মালিক হয়েও পাহাড়ে ভূমির মালিক হতে পারছে না। তারা ভুলে থাকছে খুনি শান্তিবাহিনী নামধারী শন্তুলারমার অনুগত সস্ত্রাসীদের গনহত্যা ও নির্যাতনের ইতিহাস-
১। লংগদু গনহত্যা (১৯৭৯এর ১৯ ডিসেম্বর) ২। কলমপতি গনহত্যা (১৯৮০ সালের ২৫ মার্চ) ৩। কাউখালি গনহত্যা (১৯৮০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর) ৪। বানরাইকারি বেলতলি, বেলছড়ি গনহত্যা (১৯৮১ সালের ২৬ জুন) ৫। মাটিরাঙ্গা গনহত্যা (১৯৮১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর) ৬। গোলাকপতিমাছড়া, মাচ্চাছড়া, তারাবনছড়ি গনহত্যা (১৯৮৩ সালের ২৬ জুন, ১১ জুলাই, ২৬-১৭ জুলাই, ৯,১০-১১ আগষ্ট) ৭। ভূষণছড়া গনহত্যা (১৯৮৪ সালের ৩১ মে) ৮। রাঙ্গামাটি লংগদু, বাঘাইছড়ি, পাকুয়া খালী গনহত্যা (১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর) ৯। বান্দরবান এর থানছি উপজেলাই ১৯ জন শ্রমীক কে কুপিয়ে হত্যা ইত্যাদি মনে হলে আজও বাঙ্গালী দের দেহ শিওরে উঠে ভেসে আসে ঐইসব নিরীহ, নিরস্ত্র, অভুক্ত, অনাহারে অর্ধাহারে জর্জরিত হাড্ডিসার বাঙ্গালী নর নারী শিশুর অশরিরী আত্মার আর্তনাদ। অথচ পাহাড়ের বাঙ্গালীদেরকে শন্তুবাবুরা বলে অবৈধ্য নাগরিক, মুসলিম অনুপ্রবেশ কারী, সেটেলর, রিফুজী এবং ভূমিদস্যু। মাঝে মাঝে অপরেশন উত্তরণ এবং পাহাড়ে ইসলাম আইজেশন হচ্ছে এবং বোদ্ধধর্ম অবলম্বনকারী দের মন্দীর এবং মঠ ইত্যাদিতে হামলার অভিয়োগ তোলে। কিন্তু চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা দের যখন খ্রীষ্ঠান বানানো হয় তখন কোন আপত্তি তোলে না। তারা বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের পাঙ্খুদেরকে উৎখাত করে সাজেক এলাকায় চাকমা ও ত্রিপুরাদের কে ভূমি দখল দিয়েছে এবং ইউপি চেয়ারম্যান লালথাঙ্গাপাঙ্খুকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছে। উপজাতি নেতারা সরকারি অফিস আদালত ব্যাবহার করে দেশে বিদেশে এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে (জাইকা, ইউএনডিপি, এডিবি, ইইসি) বাংলাদেশ বিরোধী মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া অভিযোগ তুলে আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রেলিপ্ত আছে। শান্তিচুক্তির আগে এবং শান্তিচুক্তির পরে দীর্ঘ ২২ বছরেও শন্তুবাবু দের চরিত্র মোটেও পরিবর্তন হয় নাই। তারা এখনো একটি পতাকার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের মানচিত্রে বসানোর চেষ্টায় দিবারাত্র নিরলস কাজ করে চলেছে। জাতি শন্তুলারমার কবল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষাকরার জন্য আজ ঐক্যবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত ও প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকার এবং এদেশের ১৬ কোটি মানুষ তাদের চক্রান্ত নস্যাত করে একটি আধূনিক, যুগান্তর সৃষ্টিকারী, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের ন্যায় পর্যটনের রাজধানী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সাজাতে চায়। ২২ বছর যাবত লালিত পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তি কে জাতি নতুন রূপে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। পাহাড় হবে বাঙ্গালী জাতির শান্তির নীড়।  
( লেখকঃ জনাব মনিরুজ্জান মনির, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট। দীর্ঘ দিন যাবত পার্বত্য চট্টগ্রামের সস্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনে জড়িত, লেখক গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী, মোবাইল নংঃ ০১৭১১৪৫৪৪৭৩। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙ্গালী ছাত্র গণ পরিষদ, পার্বত্য গণ পরিষদ, শান্তি বাহিনীর হাতে নিহত শহীদ পরিবার কল্যান সমিতি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক) ।

No comments: