প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক/প্রকাশক/মুদ্রাকর : ইশফাকুল মজিদ সম্পাদনা নির্বাহী /প্রকাশক : মামুনুল মজিদ lপ্রতিষ্ঠা:১৯৯৩(মার্চ),ডিএ:৬১২৫ lসম্পাদনা ঠিকানা : ৩৮ এনায়েতগঞ্জ আবু আর্ট প্রেস পিলখানা ১ নং গেট,লালবাগ, ঢাকা ] lপ্রেস : ইস্টার্ন কমেরসিএল সার্ভিসেস , ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি - ৮/৪-এ তোপখানা ঢাকাl##সম্পাদনা নির্বাহী সাবেক সংবাদ সংস্থা ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সী বিশেষসংবাদদাতা,দৈনিক দেশ বাংলা
http://themonthlymuktidooth.blogspot.com
Monday, September 12, 2011
Wikkilealks gave fake news On Tarek Rahman:BNO
হোমarrow_menu প্রথম পাতাarrow_menu তারেককে নিয়ে উইকিলিকস মিথ্যা তথ্য দিয়েছে :বিএনপি
তারেককে নিয়ে উইকিলিকস মিথ্যা তথ্য দিয়েছে :বিএনপি
মঙ্গল, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১, ২৯ ভাদ্র ১৪১৮
‘মার্কিন তারবার্তাগুলো বিএনপিকে হেয় করার ষড়যন্ত্র’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, উইকিলিকসের বরাত দিয়ে প্রচারিত মার্কিন তারবার্তাগুলো দেশকে রাজনীতিশূন্য এবং বিএনপিকে হেয়- প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ । তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি ও সাবেক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসির কেবলের নামে প্রচারিত বার্তাগুলো দেশকে রাজনীতিশূন্য করার বড় ষড়যন্ত্রের একটি অংশ মাত্র। কেবল দেশবাসীর কাছে বিএনপিকে হেয়- প্রতিপন্ন করাই নয়, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার একটি অপকৌশল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে উইকিলিকসের প্রকাশিত তারবার্তা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে বলেন, গীতা পাসির বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত বার্তাটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন, কয়েকটি বার্তায় যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তা জেমস এফ মরিয়ার্টির কার্যভার গ্রহণের অনেক আগে। মরিয়ার্টি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগ দেন ২০০৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা জারির সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ছিলেন প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস। ২০০৭ সালের গ্রীষ্মে মরিয়ার্টি ইরাকের ডেপুটি হেড অব মিশন পদে যোগদানের প্রায় একবছর পর ঢাকায় আসেন। তাই ওই সময়ে মরিয়ার্টি ঢাকায় কখনো আসেননি। সেই সময়ে তার বরাত দিয়ে নানান বানোয়াট কাহিনী তিনি (মরিয়ার্টি) তারবার্তায় পাঠিয়েছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তারবার্তাটি সত্যি মরিয়ার্টির হলে, তার বার্তার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও তার তত্কালীন প্রধান কর্মকর্তার ভাষা ও বিষয়বস্তুর মিল রয়েছে ।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ পৃষ্ঠপোষকতায় ফখরুদ্দীন আহমেদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের সময়ে কুখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটি (দুদক) তত্পর ছিল। যদি রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি এই ধরনের বার্তা পাঠিয়ে থাকেন, তা তিনি দুনীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদন অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মইনুদ্দিন- ফখরুদ্দিনের সেই নিন্দিত সময়ে দুদক দেশকে রাজনীতি করার মইন উ আহমেদ দুষ্ট প্রচেষ্টায় তথাকথিত ‘সুশীল সমাজের’ একাংশের জোরালো সমর্থনে তত্পর ছিল। সেই কর্মকর্তার অংশরূপে দুদক তখন শেখ হাসিনাসহ বহু রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ তুলেছিল। দেশের ব্যবসায়িক নেতারাও এই দুষ্ট প্রক্রিয়ায় শিকার হয়েছিলেন মইন-ফখরুদ্দিন সরকার ওই সময়ে কয়েকটি ক্যাঙ্গারু কোর্ট প্রতিষ্ঠা করেছিল। ওই ক্যাঙ্গারু কোর্টগুলো এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অনেকের বিচারের নামে প্রহসন করেছিল এবং অদ্ভুদ সব দণ্ড দিয়েছিল। এসব মামলার কি পরিণতি এখন হয়েছে সেটা সবাই জানে। যারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো পরিত্যক্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব মামলা ছিল রাজনৈতিক অসত্ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগগুলো সেই আলোতেই সবাইকে দেখা উচিত্। এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগ সম্পর্কে কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রে তারেক রহমানকে ভিসা না দেয়ার কোন অবস্থা কখনো সৃষ্টি হয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করতে না পারায়, চেষ্টা হয়েছে তাকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত করার। এক্ষেত্রে গীতা পাসির পাঠানো তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। কারণ ওই সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে তারেক রহমানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সফরের ব্যবস্থা তদানীন্তন আমেরিকান রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস করেছিলেন? এই সফরের আগে রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস তার বাড়িতে তারেক রহমানের সম্মানে একটা ডিনারও দিয়েছিলেন। আমেরিকায় পৌঁছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগনে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছিলেন। স্থানীয় ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠনগুলো তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানিয়েছিল। তথাকথিত তার বার্তায় তারেক রহমানকে যেভাবে দুর্নীতিপরায়ণরূপে চিত্রিত করা হয়েছে, তাকে কখনো আমেরিকায় সেভাবে দেখা হয়নি। তারেক রহমান লন্ডনে চিকিত্সাধীন থাকা অবস্থায় মার্কিন কর্মকর্তাদের তার সঙ্গে সাক্ষাতই প্রমাণ করে যে, গীতা পাসির কথিত বার্তাটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক। বিজ্ঞপ্তিতে উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে সাবেক মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পাসির বরাত দিয়ে উইকিলিকস তারেক রহমানকে বাংলাদেশের সেরা দুর্নীতিবাজ ও গোয়ার বলে তথ্য ফাঁস করে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment